বিপিএলের জন্য নির্ধারিত সময়সূচী বছরের শেষভাগে, নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে। অন্তত আগের আসরগুলোর ক্ষেত্রে তাই দেখা গেছে। এ বছর হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরে। তবে পরিবর্তিত হতে পারে সেই সময়সূচী। অন্তত বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি ইসমাইল হায়দার মল্লিকের কথা সেরকমটাই বলছে। এ বছরের শেষভাগেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন, আর নির্বাচনের কারণেই পিছিয়ে যেতে পারে ২০১৮ সালের বিপিএল।
গত বুধবার ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় বিপিএল আয়োজন করলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে। নিরাপত্তারক্ষা বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্য তখন ব্যস্ত থাকবেন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে। এবারের বিপিএল তাই পিছিয়ে জানুয়ারিতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘নির্বাচনের ঠিক আগে আগে তিনটি ভেন্যুতে সাতটি দলের নিরাপত্তা দেয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা যায়, তাহলে নির্বাচনের পরে আমাদের বিপিএল আয়োজন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা জানুয়ারিতে আয়োজন করতে পারি।’
এছাড়া বিপিএলের কয়েকটি দলের মালিকপক্ষ সরাসরি জড়িত থাকবেন জাতীয় নির্বাচনের সাথে। খুলনা টাইটানস, রাজশাহী কিংস, সিলেট সিক্সার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলের মালিকেরা বর্তমান সংসদ সদস্য। তবে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলছেন, মালিকপক্ষের জন্য নয়, বরং নিরাপত্তার বিষয়টিই তাদের কাছে মূল প্রাধান্যের বিষয়।
‘কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষ নির্বাচনের সাথে সরাসরি জড়িত থাকবে, কিন্তু আমরা সেদিকে তাকাচ্ছি না। আমাদের মূল চিন্তার বিষয় হলো নিরাপত্তা। প্রত্যেকটি দলকে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশি প্রহরা দিতে না পারি, তাহলে আমাদের জন্য এটি আয়োজন করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই আশা করছি আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছে যেতে পারবো, তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিপিএল পেছানোর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।’
তবে বিপিএল পিছিয়ে গেলে তা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচির সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যেতে পারে। কারণ জানুয়ারিতেই তিন টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলার জন্য বাংলাদেশের আসার কথা রয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের। সেক্ষেত্রে জিম্বাবুয়ে সিরিজটিকে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে অক্টোবরে, যদিও অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিরিজ খেলার জন্য সাউথ আফ্রিকাতেই থাকবে জিম্বাবুয়ে দল। দেখাই যাক, বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল কি সিদ্ধান্ত নেন এই ব্যাপারে!