এক ক্যারিয়ারে অর্জন কম নেই তাঁর। তালিকা করতে গেলে কোনটির আগে কোনটি বসবে তা নির্ধারণ করতে গিয়েও হিমশিম খেতে হবে। তবে সবচেয়ে নবীন এই রেকর্ডটি নিশ্চিতভাবেই থাকবে সবচেয়ে উপরের দিকে। সাকিবের অলরাউন্ড সক্ষমতার এর চেয়ে ভালো প্রমাণ যে খুব কমই হয়!
টি-২০ এমনিতেই ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেট। মাত্র ১২০ বলের খেলা, টপ অর্ডার যেদিন সেট হয়ে যায়, মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের সেদিন খুব বেশি বল খেলার সুযোগ হয় না। আবার বোলিংয়েও পাওয়া যায় মাত্র চারটি ওভার। এতসব সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাই সাকিবের নতুন রেকর্ডটি বিশেষ কিছুই। ডোয়াইন ব্রাভোর পর মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে ৪ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন সাকিব আল হাসান। গর্ব করার মতো অর্জনই বটে!
রানের দিক থেকে ৪ হাজার আগেই পেরিয়েছিলেন। অপেক্ষা ছিল শুধু বল হাতে একটি উইকেটের। দুই ম্যাচ অপেক্ষায় রাখলেও কাঙ্ক্ষিত উইকেটটি পাননি। অবশেষে ২৪ এপ্রিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়েই হয়ে যান ৩০০ উইকেটের মালিক। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সাকিবের টি-২০ ক্যারিয়ারে মোট রান এখন ৪০৬৯, আর উইকেট সংখ্যা ৩০০। তি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ডোয়াইন ব্রাভো সাকিবের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে। চেন্নাই সুপার কিংস অলরাউন্ডারের ব্যাট হাতে রান ৫৬০৭, আর উইকেট ৪১৭ টি।
টি-২০ ক্রিকেটে বল হাতে সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট আছে মাত্র তিনজনের। ব্রাভোর কথা তো বলাই হলো, সাকিবের উপরে আর আছেন লাসিথ মালিঙ্গা (৩৪৮ উইকেট) ও সুনীল নারাইন (৩২৫ উইকেট)। এছাড়া শহীদ আফ্রিদিরও টি-২০ তে ৩০০ উইকেট আছে।
এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলা সাকিব দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। এখনো পর্যন্ত ১৩০.৮৮ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৮৯, আর ৭.৩৩ ইকোনমিতে উইকেট নিয়েছেন ৬ টি।