পৃথিবীর ইতিহাস রচিত হয়েছে মানুষের দ্বারাই। কেউ কেউ অন্যদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের, সহমর্মিতার হাত, কেউ কেউ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন হন্তারকের ছোরা। ইতিহাস তাদেরকে দিয়েছে বীরের সম্মান, কাউকে দিয়েছে কৃত কর্মের জন্য যথাযথ ঘৃণা। সে যাই হোক না কেন, বর্তমান পৃথিবী এগিয়ে চলেছে অনেকদূর। জ্ঞান বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, নৈতিক শিক্ষা ইত্যাদি নানা বিষয়ে মানুষের জানাশোনা দিগন্তজোড়া। বিভিন্ন দেশে চলছে বিভিন্ন রকম রাজনীতি, মানুষের এগিয়ে চলার মাত্রাটা যেন অন্যরকম।
আসুন, প্রিয়লেখার পাতায় আজ একজন নেতার কথা বলি। সদা হাস্যোজ্জ্বল, অমায়িক এই নেতার নাম জাস্টিন ট্রুডো । ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক রাজনীতিতে নিজের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করে মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয়, হয়ে উঠেছেন আস্থার প্রতীক। রোহিঙ্গা ইস্যু, চলমান সিরিয়া ইস্যু ইত্যাদি নানা ইস্যুতে তিনি হয়েছেন নির্ভীক, মানুষের পাশে বাড়িয়েছেন সহমর্মিতার হাত।
সংক্ষেপে জাস্টিন ট্রুডো
১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর কানাডার অটোয়াতে জন্মগ্রহণ করেন ট্রুডো। পুরো নাম জাস্টিন পিয়েরে জেমস ট্রুডো। পিতার নাম পিয়েরে ট্রুডো ও মায়ের নাম মার্গারেট ট্রুডো। পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে।
২০১৩ সাল থেকে ট্রুডো কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা এবং ২০১৫ সালে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। জো ক্লার্কের পর তিনিই কানাডার সর্বকনিষ্ঠ নেতা।
জাস্টিন ট্রুডো সম্পর্কে এবার কিছু আকর্ষনীয় তথ্য জেনে নেয়া যাক
১) জাস্টিন ট্রুডো কানাডার একদম প্রথম প্রজন্মের প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, বাবার পর সন্তানও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পিতা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডোও কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
২) জাস্টিন ট্রুডো কানাডার দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। ৪৩ বছর বয়সে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে জো ক্লার্ক ৩৯ বছর বয়সে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
৩) বেশ কিছু দাতব্য বক্সিং ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন ট্রুডো।
৪) অভিনয়েও বেশ আগ্রহ ছিল ট্রুডোর। ২০০৭ সালে সিবিসি চ্যানেলের দ্য গ্রেট ওয়ারে তিনি অভিনয় করেন।
৫) অটোয়াতে জন্মগ্রহণ করা কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী তিনিই।
৬) রাজনীতিতে প্রবেশ করবার আগে জাস্টিন ছিলেন একজন শিক্ষক। ফ্রেঞ্চ, ড্রামা এবং গণিতের ক্লাস নিতেন তিনি।
৭) পার্টিতে জাস্টিন প্রায়ই একটি মজার কাজ করেন। তা হচ্ছে, সিঁড়ি হতে নিজেকে ফেলে দেয়া।
৮) নির্বাচনে জয়ী হবার দিন জাস্টিন তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানাতে মনট্রিলের মেট্রো স্টেশনে সকালটা কাটিয়েছিলেন।
৯) জাস্টিন ট্রুডো কানাডার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যার শরীরে দুটো ট্যাটু রয়েছে! (হয়তো তিনি পৃথিবীর অন্যতম প্রধানমন্ত্রী, যার শরীরে ট্যাটু রয়েছে)
১০) স্ত্রী সোফিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মন্ট্রিলের সেন্ট জেমস হোটেলে। পরবর্তীতে এই যুগল তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনাও এই হোটেলে সম্পন্ন করেন।
১১) তিন সন্তান- এলা-গ্রেস মার্গারেট ট্রুডো, হাভিয়ের জেমস ট্রুডো, হ্যাড্রিয়েন ট্রুডো।
১২) জাস্টিন যেদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন, দিনটি ছিল বড়দিন!
১৩) পিতার ৯৬তম জন্মবার্ষিকীর ঠিক পরেরদিন নির্বাচনে ট্রুডো জয়ী হন।
১৪) জাস্টিন যেদিন তার স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন, তার ক’বছর পর ঠিক একইদিনে তার পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। দিনটি ছিল ১৮ই অক্টোবর।
১৫) Deux Ex: Human Revolution নামক গেমে দেখানো হয় কানাডা একটি অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশ। এই দেশের প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে নেয়া হয় জাস্টিন ট্রুডোকে।
(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)