রাহুল দ্রাবিড়: ক্রিকেট ব্যাকরণের এক একনিষ্ঠ পূজারী – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ক্রিকেট / রাহুল দ্রাবিড়: ক্রিকেট ব্যাকরণের এক একনিষ্ঠ পূজারী

রাহুল দ্রাবিড়: ক্রিকেট ব্যাকরণের এক একনিষ্ঠ পূজারী

“প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাঁর উইকেটটা নেয়ার চেষ্টা করুন। যদি তা না পারেন, তাহলে আপনি শুধু বাকি উইকেটগুলো নেয়ার জন্যই চেষ্টা করতে পারেন”- স্টিভ ওয়াহ।

শচীন টেন্ডুলকার কিংবা ব্রায়ান লারার মত ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভা নিয়ে জন্মাননি তিনি। রিকি পন্টিং কিংবা ম্যাথিউ হেইডেনদের মত ন্যাচারাল স্ট্রোকপ্লেয়ারও তিনি নন। তাহলে তিনি কি? ‘ক্রিকেট ব্যাকরণের একনিষ্ঠ পূজারী’। রাহুল দ্রাবিড়কে এর চেয়ে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যে সম্ভব না!

ক্রিকেট ব্যাকরণে একেকটা শট ঠিক যেভাবে খেলতে বলা হয়েছে, প্রতিটা শট তিনি ঠিক সেভাবেই খেলেছেন। ইস্পাতসম মনঃসংযোগ, নিবিড় অনুশীলন আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি- এই তিনের সমন্বয়ে তৈরি এই রাহুল দ্রাবিড়। তাঁকে বুঝতে হলে নভজ্যোত সিং সিধুর উক্তিটা হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়ক, “কেউ কেউ সফল হয়েছে, কারণ সফল হওয়া তাঁদের নিয়তি ছিল। আর রাহুল সফল হয়েছে, কারণ সে সফল হওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল”।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই রকম মনোযোগ আর নিবেদন নিয়ে উইকেটে কাটিয়ে দেয়ায় তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। প্রতিটা বল এমন নিষ্ঠার সাথে খেলতেন, যেন ইনিংসের প্রথম বল খেলছেন। উইকেটে একবার সেট হয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল রাহুল দ্রাবিড়কে আউট করা। শচীন কিংবা লারাদের মত হয়তো দর্শকদের বিনোদনের খোরাক যোগাতে পারেননি, কিন্তু তিনি যতবার দলের নির্ভরতার প্রতীক হয়েছেন, বিরুদ্ধ কন্ডিশনে দলকে উদ্ধার করেছেন, ততবার বোধহয় আর কেউই করেননি। এমনি এমনি তো আর ইয়ান চ্যাপেল বলেননি, “দল বিপদে রয়েছে? কার উপর ভরসা করবেন? নির্দ্বিধায় রাহুল দ্রাবিড়।”

তাঁকে দেয়া ‘দ্য ওয়াল’ নামটার স্বার্থকতা প্রমাণের জন্যই কিনা, পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে তিনি ব্যাট করে গেছেন এক অভেদ্য দেয়ালের মতই, যেই দেয়াল ভেদ করা ছিল একজন বোলারের জন্য সর্বোচ্চ চ্যালেঞ্জ। টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বল মোকাবেলা করা ব্যাটসম্যানটির নামও তাই রাহুল দ্রাবিড়ই। টেস্ট ক্রিকেটের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে মোকাবেলা করেছেন ৩০ হাজারের বেশি বল, সঠিক সংখ্যায় বলতে গেলে ৩১ হাজার ২৫৮ টি। যেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা শচীন টেন্ডুলকার খেলেছেন ২৯ হাজার ৪৩৭ বল, জ্যাক ক্যালিস খেলেছেন ২৮ হাজার ৯০৩ বল। বলের হিসাব ছেড়ে এবার সময়ের হিসাবে আসুন, সেখানেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাহুল দ্রাবিড়। টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো ব্যাটসম্যানটির নামও এই রাহুল দ্রাবিড়, পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারে উইকেটে কাটিয়েছেন ৪৪ হাজার ১৫২ মিনিট, এর চেয়ে বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি আর কেউই। শচীন টেন্ডুলকার ক্রিজে কাটিয়েছেন ৪১ হাজার ৩০৪ মিনিট।

উইকেট আঁকড়ে পরে থাকতে পারেন যিনি, তিনি যে রানের বন্যাও ছোটাবেন সে আর আশ্চর্যের কি? টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৪র্থ সর্বোচ্চ রানের মালিক তাই রাহুল দ্রাবিড়। ১৩ হাজার ২৮৮ রানের মালিকের সামনে কেবল শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং আর জ্যাক ক্যালিস। অন্য আরেকটি জায়গায় আবার বাকি সবার চেয়েই অনন্য দ্রাবিড়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেই অনন্য এক রেকর্ডের মালিক হন দ্রাবিড়, আজ অব্দি যেই উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেননি আর কোন ব্যাটসম্যান। দশটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মাটিতেই টেস্ট সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। সব কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার যে বিরল ক্ষমতার মালিক তিনি, এর চেয়ে উৎকৃষ্ট প্রমাণ আর কোথায় পাবেন?

এই যে এত এত অর্জন, এর কোনটিই রাতারাতি তাঁর হাতে এসে ধরা দেয়নি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের প্রতিটি ধাপ নিজ যোগ্যতায় পেরিয়ে এসে আজকের কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে কর্ণাটকের এই ছেলেটি। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্মালেও দ্রাবিড়ের বেড়ে ওঠা ব্যাঙ্গালোরেই। দ্রাবিড় তাই যতটা না ইন্দোরের, তাঁর চেয়ে অনেক গুণ বেশি ব্যাঙ্গালোরের। দ্রাবিড় আর ব্যাঙ্গালোর নাম দুটি এখন সমার্থক।

চিন্বাস্বামী স্টেডিয়ামে এক সামার ক্যাম্পে ছোট্ট দ্রাবিড়কে প্রথম খেয়াল করেন সাবেক ক্রিকেটার কেকি তারাপোড়ে। এরপর কর্ণাটকের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭, ১৯ সব ধাপই পেরিয়েছেন তিনি। কলেজে পড়া অবস্থায়ই ১৯৯১ সালে অভিষেক হয় রঞ্জি ট্রফিতে। প্রথম পূর্ণ মৌসুমে ৬৩.৩ গড়ে করেছিলেন ৩৮০ রান। এই পারফরম্যান্স দিয়ে জায়গা করে নিলেন দুলীপ ট্রফির সাউথ জোন দলেও।

ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে থাকা দ্রাবিড় অবশেষে ভারতীয় জার্সিতে সুযোগ পেলেন ১৯৯৬ সালে সিঙ্গার কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ওয়ানডে অভিষেক খুব একটা সুখকর না হলেও টেস্ট অভিষেকে নিজের আসল জাত চিনিয়েছিলেন, বিশুদ্ধ টেকনিকের অনুপম প্রদর্শনী দেখিয়েছিলেন ক্রিকেটের পুণ্যভূমি লর্ডসে। অথচ অভিষেকের ১০ মিনিট আগে পর্যন্তও তিনি জানতেন না, ওই ম্যাচে খেলতে নামছেন তিনি! সিনিয়র ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ফিটনেস টেস্টে উতরাতে না পারলে টসের ১০ মিনিট আগে এসে নির্বাচন সন্দ্বীপ পাতিল তাঁকে জানালেন, সঞ্জয়ের জায়গায় খেলতে নামছেন তিনি। সন্দ্বীপ নিজেই বলেছেন, ‘ওকে বলার পর ওর মুখে কোন নার্ভাসনেসের চিহ্ন দেখতে পাইনি, বরং আত্মবিশ্বাসে চকচক করে উঠেছিল মুখটা।’

৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অখণ্ড মনোযোগ দেখিয়ে ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যাট করে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছেন, তাঁর নামের পাশে তখন ৯৫ রান। নটিংহ্যামে পরের টেস্টেও উজ্জ্বল দ্রাবিড়, এবার করলেন ৮৪ রান। এরপর থেকে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ভারতের সবচেয়ে বড় নির্ভরতার নামটি ছিল রাহুল দ্রাবিড়, আস্তে আস্তে ৭ থেকে উঠে এসেছেন ৩ নম্বরে, রিকি পন্টিংয়ের সাথে যিনি ৩ নম্বরের সর্বকালের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের একজন।

১৯৯৬ বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পেলেও ১৯৯৯ বিশ্বকাপের আগে তাঁকে বাদ দেয়ার উপায় ছিল না। ভারত সেমিফাইনালে না উঠতে পারলেও দ্রাবিড় ঠিকই হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ডের কন্ডিশনে তিনিই যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হবেন, এতে আশ্চর্যের কিছুই ছিল না। বিদেশের মাটিতে তর্কাতীতভাবে ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান যে তিনিই ছিলেন।

ক্যারিয়ারে মনে রাখার মত ইনিংস কম খেলেননি তিনি। তবে তাঁর মধ্যেও আলাদা করে কিছু ইনিংস আছে, যেগুলো ভারতীয় ইতিহাস ছাড়িয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসেই অমর হয়ে থাকবে। ২০০১ সালের সেই বিখ্যাত কলকাতা টেস্টে লক্ষ্মণের সাথে মহাকাব্যিক সেই জুটি আর ১৮০ রানের ইনিংস দিয়ে আজীবনের মত ঠাঁই পেয়ে গেছেন ইতিহাসে।

দ্রাবিড় সম্ভবত তাঁর ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে ভয়ানক রূপ দেখিয়েছেন ২০০২ সালের ইংল্যান্ড সফরে। ১ম টেস্টে তিনি রান পাননি, ভারতও হারে বাজেভাবে। দ্বিতীয় টেস্টের ১ম ইনিংসেও ব্যর্থ তিনি, ব্যর্থ ভারতও। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বরূপে ফিরলেন তিনি, ভারতও পেল লড়াই করার রসদ। ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চুরি করে হারা ম্যাচ ড্র করে ফেরেন। ৩য় টেস্টে পেসারদের স্বর্গ হেডিংলিতে খেললেন অনবদ্য ১৪৮ রানের ইনিংস। দীর্ঘ সাত ঘণ্টা ধরে ব্যাট করা দ্রাবিড়ের ইনিংসের মাহাত্ম্য এতটাই ছিল যে, টেন্ডুলকার ১৯৩ করার পরেও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন দ্রাবিড়ই।

নিজের এই ফর্ম ধরে রাখলেন ওভালে শেষ টেস্টেও। এবার আর শুধু সেঞ্চুরিতে থামলেন না, ইনিংস টেনে নিয়ে গেলেন ২১৭ রান পর্যন্ত। ৪ টেস্টের ওই সিরিজে দ্রাবিড় ছিলেন রীতিমত ইংলিশ বোলারদের আতঙ্ক, ১০০.৩৩ গড়ে করেছিলেন মোট ৬০২ রান। মাইকেল ভনের সাথে যৌথভাবে ম্যান অফ দ্য সিরিজও নির্বাচিত হন। ঠিক পরের ইনিংসেই ওয়াংখেড়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সেঞ্চুরি করে হয়ে যান টানা চার টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরি করা প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান।

ম্যাচ জেতানো ইনিংসের কথা বলতে গেলে ২০০৩ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের অ্যাডিলেড টেস্টের কথা অবশ্যই বলতে হবে। রিকি পন্টিংয়ের ডাবল সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার ১ম ইনিংসের সংগ্রহ ছিল ৫৫৬ রান। পন্টিংয়ের যোগ্য জবাব দেয়ার জন্য যার দিকে তাকিয়ে ছিল, হতাশ করেননি সেই রাহুল দ্রাবিড়। খেললেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ২৩৩ রানের ইনিংস। সঙ্গী হিসেবে এখানেও পেলেন লক্ষ্মণকে, তিনি করলেন ১৪৮। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অজিত আগারকারের তোপের মুখে পড়লে ভারতের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩০ রানের। অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেই একেবারে মাঠ ছেড়েছিলেন ‘দ্য ওয়াল’।

কিছু অর্জনের কথা তো লেখার শুরুর দিকেই বলা হয়েছে, রাহুলের ক্যারিয়ারে মণি-মুক্তো খচিত অর্জন আছে আরও। ব্যাটসম্যান হিসেবে তো অসাধারণ ছিলেনই, স্লিপ কর্ডনে রাহুল দ্রাবিড়ের হাতজোড়ার চেয়ে বিশ্বস্ত হাত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। টেস্ট ক্রিকেটে উইকেট কিপার ব্যতীত অন্য যেকোনো ফিল্ডারের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১০ টি ক্যাচের রেকর্ড দ্রাবিড়ের দখলে। দ্রাবিড়ের দখলে আছে একটি ব্যতিক্রমী রেকর্ডও। টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৮৬ ইনিংসে ব্যাট করে কখনোই গোল্ডেন ডাক মারেননি তিনি, যা একটি বিশ্বরেকর্ড। দেশকে অনেক সম্মানের মুহূর্ত এনে দিয়েছেন, ভারত সরকার তার প্রতিদান দিয়েছে তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ ও ‘পদ্মভূষণ’ খেতাবে ভূষিত করে (ভারতের ৩য় ও ৪র্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব)।

দ্রাবিড় যে শুধু টেস্ট ব্যাটসম্যান ছিলেন তা নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটেও তিনি কিংবদন্তিদের একজন। টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ধরণের ফরম্যাটেই ১০ হাজারের বেশি রান করার নজির আছে এমন গুটিকয়েক ব্যাটসম্যানের একজন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দুইটি জুটির সাথে জড়িয়ে আছে দ্রাবিড়ের নাম। ওয়ানডে ক্রিকেট প্রথম ৩০০+ রানের জুটি দেখেছিল রাহুল দ্রাবিড়- সৌরভ গাঙ্গুলীর সৌজন্যে। আর ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ৩৩১ রানের পার্টনারশিপে শচীন টেন্ডুলকারের পার্টনারও ছিলেন দ্রাবিড়ই। অভিষেকের পর থেকে শূন্য রানে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার রেকর্ডটিও দ্রাবিড়ের দখলেই।

২০০০ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন দ্রাবিড়। ২০০৪ সালে আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার দেয়ার নিয়ম চালু করলে প্রথমবারেই বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার ও বর্ষসেরা ক্রিকেটার দুটো খেতাবই জেতেন দ্রাবিড়। ২০১২ সালে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনো ক্রিকেটের সাথেই আছেন এই কিংবদন্তি, নিয়োজিত আছেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ হিসেবে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের আজ ৪৫ তম জন্মদিন, প্রিয়লেখা পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর জন্য থাকছে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

দ্রাবিড়কে নিয়ে করা কিংবদন্তিদের কিছু বিখ্যাত উক্তি:

  • “আমি যদি আজীবন কাউকে ব্যাট করতে দেখতে চাই, তাহলে সে হয় জ্যাক ক্যালিস, নয়তো রাহুল দ্রাবিড়”- ব্রায়ান লারা।
  • “তরুণদের জন্য সবচেয়ে নিখুঁত রোলমডেল দ্রাবিড়”- শচীন টেন্ডুলকার।
  • “দ্রাবিড়ের ‘দ্য ওয়াল’ নামটা একেবারে যথার্থ। ‘দুর্গ’ নামটাও ওর সাথে যায়। কারণ একবার সেট হয়ে গেলে ওর উইকেট তুলতে আপনাকে এক ডজন কামান ব্যবহার করতে হবে”- শেন ওয়ার্ন।
  • “রাহুল এমন একজন ব্যক্তি, তরুণেরা যাকে আদর্শ মানতে পারে। শুধু ওর সাফল্যের জন্য নয়, ও যেভাবে নিজেকে পরিচালনা করে, সেটার জন্য”- স্টিভ ওয়াহ।
  • “দ্রাবিড় দীর্ঘ সময় ধরে একজন ক্লাস প্লেয়ার, এবং অন্য যে কারোর চেয়ে ওর ক্লাস আমরা সবচেয়ে ভালো জানি। ও প্রত্যেক বলে রান করা ব্যাটসম্যানদের মত না, কিন্তু ওর খেলায় আপনি কোন দুর্বলতা পাবেন না”- গ্লেন ম্যাকগ্রা।
  • “দ্রাবিড় আমার মত অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলতে পারবে, কিন্তু আমি কখনো ওর মত ক্রিকেট খেলতে পারব না”- ক্রিস গেইল।
  • “মাঠে যা কিছু চলছে তা অ্যাগ্রেসন নয়। আপনি অ্যাগ্রেসন দেখতে চান? তাহলে রাহুলের চোখের দিকে তাকান”- ম্যাথু হেইডেন।
  • “রাহুল দ্রাবিড় এমন একজন খেলোয়াড়, যে দলের প্রয়োজনে ভাঙ্গা চশমা নিয়েও খেলতে নেমে যেতে প্রস্তুত”- নভজ্যোত সিং সিধু।
  • “ক্রিকেটে আমার দেখা সবচেয়ে ভদ্র মানুষটির নাম রাহুল দ্রাবিড়। ও একজন ফেনোমেনন”- শেন ওয়াটসন।
  • “যদিও শচীন গ্রেট একজন খেলোয়াড়, কিন্তু আমি সবসময়ই রাহুলকে আউট করতে বেশি ভুগেছি। ওর ডিফেন্স খুবই সলিড, অন্যদের থেকে শটও খেলে অনেক কম। সেজন্য ও ভুলও করে অন্যদের থেকে অনেক কম”- শোয়েব আখতার।
  • “রাহুল সবসময়ই শচীনের ছায়ায় ঢাকা পড়েছিল। আপনি দুজনের তুলনা করতে পারেন না, কারণ দুজন দুই ধরণের। রাহুল একজন পরিপূর্ণ ক্রিকেটার”- মুত্তিয়া মুরালিধরণ।
  • “আমি যখন আমার পেশা থেকে অবসর নেব, তখন যদি আমি রাহুল দ্রাবিড়ের মত খ্যাতি নিয়ে যেতে পারতাম!”- হার্শা ভোগলে।
  • “যদি একজন ভারতীয় ক্রিকেটারও নব্বইয়ের শেষভাগের বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান টিমে সরাসরি জায়গা করে নিতে পারে, তবে সে হল রাহুল দ্রাবিড়”- গ্লেন ম্যাকগ্রা।

About Sanjoy Basak Partha

Check Also

এ.বি.ডি ভিলিয়ার্স: ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’র অবিশ্বাস্য কিছু রেকর্ড  

মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি নামটা তাঁর চেয়ে ভালো আর কারোর সাথে যাওয়া সম্ভব না। বল যেখানেই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *