৮০০ বছরের পুরনো এক চৈনিক শাসকের গল্প – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / ৮০০ বছরের পুরনো এক চৈনিক শাসকের গল্প

৮০০ বছরের পুরনো এক চৈনিক শাসকের গল্প

গল্পটা আজ থেকে প্রায় ৮০০ বছরেরও আগের। চীনের ঝেইজাং রাজ্যের কিংউয়ান অঞ্চলে হু হং নামের একজন রাজা ছিলেন। তার স্ত্রী নাম ছিল নি উ। হু হংকে বলা হত ‘কাউন্সিলের গ্রান্ডমাস্টার’। তবে হু হং কিংবা নি উ, তারা কেউই আজ বেঁচে নেই। সম্প্রতি তাদের সমাধি আবিষ্কৃত হয়েছে চীনের ঝেইজাং রাজ্য থেকে।


হু হং যে আমলে শাসন করতেন, চীন দুটো শাসনামলে বিভক্ত ছিল। দক্ষিণাত্যের চীনকে বলা হত ‘সং ডাইনাস্টি’। সমাধির ভেতর থেকে কিছু লেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারাই এসব প্রকাশ করেছেন জনসম্মুখে। বিশাল দৈর্ঘ্যের এই লেখায় বলা হয়েছে হু হং-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী। এছাড়াও লেখা আছে, “এই সমাধিতে যিনি শুয়ে আছেন, তা যেন অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে।”
১১৯৫ সালের কথা। হু হং তখন তার শাসনকার্য পরিচালনা করছেন। এমন সময় তার ওপর একটি দায়িত্ব এসে পড়ে। আর তা হচ্ছে, তাও-সুয়েহ নামক একটি বিদ্রোহী দলকে দমন করতে হবে। তৎকালীন রাজা ও তার মন্ত্রীসভার মন্ত্রীদের নানাভাবে সমালোচনা ও হেয় করা হচ্ছিলো। হু হং কঠোর হস্তে অপরাধীদের শাস্তি দেন। এছাড়াও যেসকল উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা সুরাপান করত ও বহুবিবাহ করত, তাদেরকে চিহ্নিত করা ও শাস্তিদান করতেন হু হং।

সমাধির ভেতর কি আছে?
ঝেজিয়াং প্রদেশের কালচারাল রেলিকস এন্ড আর্কিওলজি ইন্সটিটিউটের একজন গবেষক, জিয়ানমিং ঝেং ও তার দল এই সমাধিক্ষেত্রটি আবিষ্কার করেন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, হু হং-এর কবর থেকে কিছু জিনিস চুরি করা হয়েছে তবে তার স্ত্রীর সমাধি অক্ষত ছিল। তাদের দুজনের সমাধিতে যেসকল লেখা ছিল, তার বেশিরভাগই এসেছে নি উয়ের ফলক থেকে। বেশিরভাগ অংশই ক্ষয়ে গিয়েছিল। তবে নি উয়ের সমাধিতে অত্যধিক পরিমাণে পারদের ব্যবহার দেখা যায়। গবেষকেরা ধারণা করছেন, সংরক্ষণ করবার জন্যই এটি করা হয়ে থাকতে পারে।


সমাধির ভেতরে পোর্সেলিনের জারে আঁকা হাতির নকশা, স্বর্নালংকার, স্বর্ণের চিরুনি, স্ফটিকের পাত্র ইত্যাদি নানা জিনিস পাওয়া গিয়েছে।

কে ছিলেন হু হং?
১১৪৭ সালের এপ্রিলে হু হং জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক অবস্থা খুব একটা স্বচ্ছল ছিল না। পিতা উক্ত অঞ্চলের অধিবাসীদের কনফুসিয়াসের দর্শন ও শিক্ষা প্রদান করতেন। হু এর পূর্বপুরুষ লংকুয়ান রাজ্য থেকে কিংউয়ানে আসেন। ১০ম শতাব্দীতে চীনে একটি গৃহযুদ্ধ হয়, যার কারণে হাজারো মানুষ হয়েছিল বাস্তুহারা। এই কারণে তারা নিজেদের ভূমি ত্যাগ করে এই অঞ্চলে এসেছিল।


ইতিহাস থেকে জানা যায়, হু হং পড়াশোনা করতে পছন্দ করতেন। তবে আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারণে পিতা বই কিনে দিতে পারতেন না। হু হং তাই ফেরিওয়ালার নিকট থেকে বই ধার নিয়ে পড়তেন, পরের দিন ফেরত দিতেন। নিজের মেধা, যোগ্যতা ও পরিশ্রমের কারণে হু হং ধীরে ধীরে উচ্চপদে আসীন হন এবং শাসন করতে শুরু করেন। ১১৯৩ সালে “বেস্ট কাউন্টি ম্যাজিস্ট্রেট” খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।
১২০০ সালে ইয়াও গোত্র নামের এক যুদ্ধবাজ গোত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, যেটিকে অত্যন্ত কঠোর হস্তে দমন করতে সমর্থ হয়েছিলেন হু হং। হু হং তার স্ত্রী নি উকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। নি উ তার সচ্চরিত্র ও গুণের কারণে প্রসিদ্ধ ছিলেন। আপন গুণাবলীর কারণে হুকে অনেক সময় বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতেন তিনি। তাদের ঘরে দুটো ছেলে ও তিনটে মেয়ে সন্তান হয়েছিল।

(ফিচারটি তৈরি করতে সাহায্য নেয়া হয়েছে এই সাইটের)

 

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *