যে কোন প্রতীক সবসময়ই করে তোলে আমাদের কৌতূহলী। কারণ প্রতিটি প্রতীকের রয়েছে কিছু তাৎপর্য অথবা তার সাথে জড়িয়ে রয়েছে কোন অজানা ইতিহাস। অর্থহীন কোন প্রতীকের অস্তিত্ব কিন্তু আপনি কোথাও খুঁজে পাবেন না। বর্তমান সময়ে এমন অনেক প্রতীক চিহ্নের ব্যবহার রয়েছে যার বেশিরভাগ গ্রীস কিংবা রোমে ব্যবহৃত হতো খানিকটা ভিন্নভাবে। যা সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তীত হয়েছে। আচ্ছা আপনাদের মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে যে, প্রশ্নবোধক চিহ্নটি কোথায় থেকে এলো? কিংবা আপেল কিভাবে হল আইকনিক লোগো? জানতে চান? তাহলে পড়ে ফেলুন নিচের লিখাটি-
The Peace Sign
এই চিহ্নটি দুটি বর্ণ N এবং D এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে যা “পারমানবিক নিরস্ত্রিকরণ“ শব্দটি থেকে এসেছে।
The Heart Symbol
অনেকেই মনে করেন ভালোবাসার চিহ্নটি এসেছে হার্ট আকৃতির আইভি পাতা থেকে যা শুধুমাত্র উর্বর স্থানে হয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ মনে করেন এই চিহ্নের সাথে সিলফিয়ামের আকৃতিগত মিল রয়েছে। রোমান এবং গ্রীকরা তাদের জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য সিলফিয়াম ফানেল ব্যবহার করতেো।
The Ampersand (“&”)
আপনি কি জানেন অ্যাম্পার্ডসেন কোন চিহ্নকে বলে? “এবং” শব্দটির পরিবর্তে “&” এই চিহ্নটি আমরা খুব বেশিই ব্যবহার করি, তাই না? জানেন কি এটি এসেছে কোথা থেকে? “et” বর্ণ দুটি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়ে “&” এই চিহ্নটিতে পরিণত হয়েছে।
Question mark ?
প্রাথমিকযুগে বিরামচিহ্নগুলো শুধুমাত্র একটি বিন্দুর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত চিহ্ন হিসেবে সবক্ষেত্রে যদি আমরা একটি বিন্দু ব্যবহার করি তাহলে মনের ভাব আসলে সঠিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। কথার টোন থাকে প্রশ্নবোধক, কিন্তু শেষ হয় ডট দিয়ে, পাঠক আপনি ভাবুন প্রন কে কিভাবে মতামত হতে আলাদা করবেন? তাই সময়ের প্রয়োজনে বিন্দুর উপরে লাইটের চিহ্ন যোগ করে প্রশ্ন বোধক হিসেবে উৎপত্তি প্রশ্নবোধক চিহ্নের , যা অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়।
Power on symbol
এই চিহ্নটি বাইনারী কোড ১,০ থেকে এসেছে। যেখানে অন বুঝাতে ১ এবং অফ বুঝাতে ০ সংখ্যাটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
Apple logo
অ্যাপেলের লোগোটি দেখে অনেকে মনে করেছিলেন এটার তৈরীর পেছনে রয়েছে ইডেন গার্ডেনের সেই অ্যাডাম ও ইভের কাহিনী । আবার একদল মনে করেন, স্টিভ জবস খুব সাধারন ধারনা থেকে এই লোগোটি ব্যবহার করেছন, তিনি শুধুমাত্র লোগোর অ্যালাইনমেন্ট ঠিক রাখার জন্য কিংবা লোগোটা যেন চেরী ফলের মত না লাগে তাই অ্যাপেলের লোগোটি আধ খাওয়া আপেলের আকৃতিতে করেছেন ডিজাইনাররা।
Bluetooth symbol
এই চিহ্নটি ইংরেজি H, B বর্ণ এবং ডেনিস ২টি বর্ণের সমন্বয় থেকে এসেছে। ডেনিস এই বর্ণ ১০ম শতাব্দির ডেনমার্কের রাজার স্বাক্ষরে ছিলো এবং এমনও কথিত রয়েছে সেই রাজার ডাকনাম ছিল Bluetooth। আবার Bluetooth নামের পেছনেও রয়েছে মজার এক গল্প। সেই ডেনিশ রাজা Blueberry ফল অনেক পছন্দ করতেন বলে তাঁকে Bluetooth নামে ডাকা হতো।
@ symbol
এক সময় এই চিহ্ন টি ব্যবসায়িক কাজে পরিশোধিত অর্থের মূল্য নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হত। ১৯৭০ সালে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রে টমিলসনের ই-মেইল সিস্টেমের জন্য একটি ইউনিক চিহ্ন খুঁজতে গিয়ে তার চোখ আটকে যায় কি-বোর্ডের এই চিহ্নটিতে। তখন থেকেই @ চিহ্নটি তিনি মেইলে ব্যবহার করেন যা আজ সারা বিশ্বে প্রচলিত।
Mitsubishi Logo
Mitsubishi Logo টি তোসা এবং আইওয়াস্কা পরিবারের পারিবারিক ক্রেস্টের চিহ্নের সমন্বয়ে তৈরী করা হয়েছে। সুকুমো শোকাই একটি শিপিং কোম্পানি যা আইওয়াস্কা অধিগ্রহন করে এবং পরে তা মিতসুবিসি নামে পরিচিতি পায়।
আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে আগামীতে ‘প্রিয়লেখার’ পাতায় নতুন কিছু নিয়ে। ততদিন আমাদের সাথেই থাকুন।
তথ্য ও ছবি নেওয়া হয়েছে এই সাইট হতে।