গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক পরিচর্যাই সুস্থ সন্তানের নিয়ামক – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / স্বাস্থ্যবার্তা / গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক পরিচর্যাই সুস্থ সন্তানের নিয়ামক

গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক পরিচর্যাই সুস্থ সন্তানের নিয়ামক

সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে বেচে থাকার জন্য প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় সুষম খাদ্য থাকা অত্যন্ত জরুরি।আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা এমন হওয়া উচিত যেন তা আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।আর যখন কথা আসে গর্ভবতী মায়ের খাদ্যতালিকা নিয়ে তখন আমাদের একটু ভাবতেই হয়। কেননা তখন একজন মেয়ের পাশাপাশি সে মা হয়ে উঠতে থাকে। তখন তার পাশাপাশি তার ভেতরের ছোট সত্ত্বা্টাকে নিয়ে বেশি ভাবতে হয় কোন খাবারটা তার জন্য ভালো আর কোনটাই বা তার জন্য ক্ষতিকর।

সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার আনন্দ কোন অনুভূতি দিয়ে বর্ননা করা সত্যি অনেক কঠিন। পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন সবার মনে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।সকলে চায় শিশুটি যেন  সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখে আর সেজন্য চাই গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক পরিচর্যা এবং খাদ্যাভাস।

স্বাভাবিকের তুলনায় গর্ভাবস্থায় মাকে বেশি খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়।কিন্তু এমন যদি হয় সেই খাদ্য আপনার লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি করছে?  আসুন তবে জেনে নেই কোন খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্য ক্ষতিকর-

ডিম-

পুষ্টিগুন বিচার করা হলে ডিমকে খাদ্য তালিকার শীর্ষে স্থান দিতে হয়। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না ডিমের কুসুম কাঁচা অবস্থায় খাওয়া আপনার আগত সন্তানের জন্য কতটা ক্ষতিকর।তাই গর্ভাবস্থায় মা কে অবশ্যই ভালভাবে সিদ্ধ করে বা ভেজে অথবা রান্না করতে খেতে হবে। মেয়ানিজ জাতীয় খাবার এবং কাঁচা ডিমের তৈরি খাবার গ্রহন থেকে বিরত থাকুন।

দুধ-

সুষম খাদ্যের উৎকৃষ্ট উদাহরন দুধ। এতে আপনি একসাথে পাবেন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, আয়রন,কপার ও ম্যাঙ্গানিজ।তাই গর্ভাবস্থায় দুধ খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত যদি অন্য কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে। কিন্তু গর্ভবতী মাকে অবশ্যই অপাস্তুরিত দুধ খেতে দেওয়া যাবে না। অপাস্তুরিত দুধ এবং এর তৈরী খাবার (যেমন পনির) গর্ভপাতের কারনও হতে পারে।তাই এইবিষয়ে  বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন।তবে দই খেতে পারেন।

মাংস-

প্রোটিনের প্রধান উৎস মাংস। এবং আঁশযুক্ত খাবারও বটে যা একজন মায়ের জন্য অতীব জরুরী। কিন্তু কাঁচা মাংসের মধ্যে থাকে স্যালমোনেলা, কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া এবং টক্সোপ্লাজমোসিস যা গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় খাবার নির্বাচনে টাটকা রান্না করা মাংসকে প্রাধান্য দিন। মাংস পুনরায় গরম করলে তাতে লিস্টেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে যা গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

মাছ-

মাছ এমন এক আমিষ যাতে নেই কোন উচ্চ কোলেস্টেরল ভাবনা তাই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় মাছ থাকলে দৈনন্দিন ক্যালরির চাহিদা পূরন হবে।কিন্তু যখন প্রসঙ্গ আসে গর্ভবতী মায়ের তখন একটু ভাবতেই হয়।টাইল মাছ, তিমি মাছ, সোর্ডফিস এবং ম্যাকরেল মাছে প্রচুর পরিমাণে মারকারি পাওয়া যায় যা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর।এটি স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এ কারণে গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়া সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। গর্ভকালীন খাদ্যাভ্যাস বা খাদ্যের তালিকায় এসব সামুদ্রিক মাছ যুক্ত করার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।

কাঁচা ফল বা সবজি-

মায়ের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই সবুজ ও রঙ্গিন ফল ও সবজি থাকা চাই।কিন্তু সেই ফল, সবজি অবশ্যই খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে খেতে হবে। কেননা ফল ও সবজির দেহে নানা পরজীবী ,টক্সোপ্লাজমা,অনুজীব লেগে থাকতে পারে তা হয়ত আপনার জন্য ক্ষতিকর।তাই কাঁচা ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালভাবে ধুয়ে খাবেন।

মধু-

মধু একটি হাই ইমিউনিটি সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়া খুব বেশি ক্ষতিকর। কেননা এটি ক্লস্ট্রিডিয়া স্পোর সৃষ্টি করে গর্ভের বাচ্চার খাদ্যে টক্সিনের পরিমান বৃদ্ধি করে খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে যা বাচ্চার জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। তাই মধু পরিহার করাই ভালো।

এইসব খাবার ছাড়াও কাঁচা  পেঁপের মধ্যে ল্যাটেক্স থাকে যা ইউটেরিন কন্ট্র্যাকশন ঘটায়। যা গর্ভের শিশুর ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় খাবার নির্ধারণে কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে এড়িয়ে চলুন।

এছাড়াও আনারস, বাদাম, ভেষজ চা সহ ক্যাফেইনযুক্ত খাবার অতিমাত্রায় গ্রহন থেকে বিরত থাকা উচিত।

সুস্থ মা উপহার দিতে পারেন সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান যা আমাদের সকলের কাম্য। তাই মা বাঁচান তাহলে বাঁচবে শিশু।

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে পাশে থাকুন আর নিয়মিত চোখ রাখুন প্রিয়লেখায়।

 

About CIT-Inst

Check Also

ডায়াবেটিস আসলে ভিন্ন ভিন্ন ৫টি রোগের জোট!

বিশ্ব জুড়ে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রবণতা ভয়ঙ্করভাবে বাড়ছে। বিশ্বে প্রায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *