আপনি কি নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্তুষ্ট, আরেকটু ভাবুন – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / স্বাস্থ্যবার্তা / আপনি কি নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্তুষ্ট, আরেকটু ভাবুন

আপনি কি নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্তুষ্ট, আরেকটু ভাবুন

“মানুষের শারীরবৃত্তীয় প্রতিটি দিকই নিয়ন্ত্রন করে মস্তিষ্কের সাথে সংশ্লিষ্ট নানা জৈব উপাদান। যার ভিত্তিতে আসে দেহের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, উন্নয়ন, চেহারার ভঙ্গি পরিবর্তন সহ আরও অনেক কিছু। এসব প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রয়োজন হাজার হাজার মিথস্ক্রিয় জিন। মানব শরীর হাজারো কোষ বিন্যাস ও অঙ্গ সঞ্চালন ব্যবস্থাপনার জটিল পর্যায়করণ কে  প্রতিনিধিত্ব করে।” – ডঃ জোসেফ কাহন

কখনও কখনও স্বাস্থ্য অমূল্য সম্পদের বিপরীতে অসহনীয় দায়ও হতে পারে। আমরা যতই ভাল খাওয়া, ব্যায়াম, বা শান্তির ঘুমের প্রচেষ্টা চালাই না কেন, শরীর যন্ত্রটি বিকল হতে পারে নিজের অজান্তেই।  আপনি আসলে ঠিক কতটা সুস্থ? জানতে মিলিয়ে নিতে পারেন এই  লক্ষণগুলো-

পেট ফুলে যাওয়া 

শুনতে খানিকটা অপরিচিত শুনালেও এটি এমন একটি অসুখ যার পরিচয় তার লক্ষনে। আমরা লক্ষণকেই একটি নাম দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাই। চিকিৎসা শাস্ত্রে একে বলা হচ্ছে ‘Bloating’। খাওয়ার পর পর অনেকেই শরীর একটু ভার ভার অনুভব করেন। অনেকে অস্বস্তি কাটাতে হাল্কা হাঁটাহাঁটি করেন। আবার অনেকে খাওয়ার পর পরই শুয়ে পরেন।  কি কারণে এই অস্বস্তি বা কি ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুক্ষীন আপনি হতে পারেন, কখনো ভেবেছেন কি?  অনেকে পেটে ভার অনুভব করেন, অনেকের পেটে ও বুকে গ্যাস উৎপন্ন হয়। সবচেয়ে বড় অস্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে যতক্ষণ আপনার ঢেক না উঠছে ততক্ষন আপনার গ্রহণকৃত খাদ্য হজম হচ্ছে না। ফলাফল হজম ও পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা। আর সবচেয়ে অস্বস্তিকর সমস্যাটির নাম হচ্ছে হিক্কা যাকে ইংরেজীতে বলা হচ্ছে Hiccup. অনবরত ‘হিক্কা’ উঠার ফলে না আপনি খেয়ে শান্তি পাবেন না শুয়ে, আর এর কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে গ্যাস এর প্রভাবকে।এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হিসেবে পান করতে পারেন ক্যামোমিল চা বা আদা, যা আপনার পেটে গ্যাস জমার আগেই তা থেকে দিতে পারে মুক্তি।

দীর্ঘমেয়াদী অবসন্নতা

স্বাস্থ্য সমস্যার আরেকটি বড় উৎস হয়ে  দেখা দিতে পারে ক্লান্তির অনুভব। মানুষ ক্লান্তি নানাভাবেই অনুভব করতে পারে। ক্লান্তি হতে পারে সাধারণত, স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী। সাধারনত স্বল্পমেয়াদী  ক্লান্তির কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ, ঘুমের অভাব,অথবা মানসিক চাপের অবস্থাকে। দীর্ঘমেয়াদী অবসন্নতা বা ক্লান্তির গল্প মানুষ ভেদে ভিন্নতরও হতে পারে।

সমস্যা হতে মুক্তি পেতে: আপনার জীবনধারা এবং ঘুমের অভ্যাস পরীক্ষা করুন (নিজের সাথে সততা বজায় রাখুন),অ্যালকোহল এবং নিকোটিন থেকে বিরত থাকুন, এবং ভাল ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যবিধির অনুশীলন করুন। এতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা বাঞ্ছনীয়।

দীর্ঘমেয়াদী অবসন্নতা

অনিদ্রা

ঘুম আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্ক এর সম্পদ এর ঘাটতি পূরনের জন্য অত্যাবশ্যক। আমরা পর্যাপ্ত ঘুম ছাড়া কোন কাজই সঠিকভাবে  করতে পারি না – এবং আমাদের চেষ্টা করা উচিত যেন নিয়মিত ঘুম হয়। অনিদ্রা, বলতে চিকিৎসকের ভাষায় কমপক্ষে এক মাস ঠিক ভাবে ঘুম না আসা বা অনিয়ন্ত্রিত ঘুম, ঘুম থেকে কিছুক্ষন পর পর চমকে জেগে উঠা এই ধরণের সমস্যাগুলোকে বলা হয়।  এই Insomnia বা অনিদ্রা থেকে বাঁঁচতে চিকিৎসকের সহায়তা প্রয়োজন।

অনিদ্রা

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এক মহা বিব্রতকর সমস্যার নাম যা না সহ্য করা যা না কাউকে বলা যায়। হাজারো কারণ থাকতে পারে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হবার: খাদ্য, তামাক, খারাপ স্বাস্থ্যবিধি, শুষ্ক মুখ, ঔষধ, অথবা অন্যান্য।

সমস্যা হতে মুক্তি পেতে: যদি মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি সাহায্য না করে (দৈনিক দুইবার ব্রাশ, একবার ফ্লস করুন, টাঙ্গ স্ক্র্যাপার ব্যবহার করুন), মাসে অন্তত একবার দাঁতের ডাক্তারের সাথে নিয়ম করে দেখা করুন।  লিভার এবং কিডনি রোগগুলির নিয়ন্ত্রণেও এই নিয়ম অনুসরণ করা উচিত।

মাথাব্যাথা

অনিয়মিত মাথাব্যাথায় সাধারণত তেমন ভয়ের কিছু নেই। আমরা প্রায়সই এমন মাথা ব্যাথায় ভুগে থাকি;  কিন্তু যদি দেখতে পান আপনার মাথাব্যাথা আরও গুরুতর বা ঘন ঘন বাড়ছে – বিশেষ করে যদি অন্য উপসর্গগুলি সহকারে – তবে এখনই ডাক্তার এর পরামর্শ নিন  ।

সমস্যা হতে মুক্তি পেতে: প্রচুর পানি পান করুন, পর্যাপ্ত ঘুম দিন এবং চোখের যত্ন নিন । ক্রমাগত স্নায়ুবিক উপসর্গগুলির বিরূপ শিকার হওয়া মোটেও হেলাফেলার বিষয় নয়। ব্যাপারটিকে গুরুত্বের সাথে নিন।

অদ্ভুত গড়নের নখ

শুনতে অবাক শুনালেও, আমাদের নখের চেহারা কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক তথ্যই প্রকাশ করতে পারে। নখ আমাদের ত্বকের সাথে সম্পৃক্ত বাড়তি সৌন্দর্যের পরিচায়ক এবং নখের সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর পুষ্টি প্রয়োজন। নখের চেহারা যদি অফ কালার (বিশেষত হলুদ) হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

সমস্যা হতে মুক্তি পেতে: সুন্দর নখের জন্য প্রচুর পুষ্টি  প্রয়োজন। সুস্বাস্থ্যের জন্য সুষম সমতুল্য খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন এবং প্রতিদিন অন্তত ৬৪ আউন্স পানি পান করা প্রয়োজন। নখে ফাঙ্গাস হলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিজেই করা যেতে পারে, নখে কিন্তু চর্ম রোগের ও সংক্রমন হতে পারে তখন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতামত বিশেষভাবে প্রয়োজন।

অনিয়মিত অন্ত্রের  গতিবিধি

https://www.youtube.com/watch?v=9f5wxYW0Z3k

অনবরত চুল হারানো

চুল ঝড়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া; প্রথমত যা আপনার জিন দ্বারা প্রভাবিত এবং দ্বিতীয়ত চুল পড়ে যাওয়ার পিছনে আপনার ব্যক্তিগত জীবন যাপনের ধারাও কিছুটা দায়ী। আপনার জীবনধারা যাইহোক না কেন হঠাৎ করেই আপনার চুল পড়া শুরু  হয়েছে ব্যপারটা কিন্তু তা নয়, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা বয়সের সাথে বৃদ্ধি পায়। আপনার যদি হঠাৎ করেই বেশি চুল পড়া শুরু হয়, তবে তা আপনার শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে কোন ঔষধ নেওয়ার প্রভাব ও হতে পারে। তাই কোন ঔষধ গ্রহণের পূর্বে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিকিৎসক এর নিকট হতে ভালোভাবে জেনে নিন।

সমস্যা হতে মুক্তি পেতে: চুল হারানো স্বাভাবিক ব্যপার। তবে যত্ন নিলে এর পরিমাণ কমানো সম্ভব। মাথায় তেলের ব্যবহার, সপ্তাহে অন্তত দুই দিন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার এর ব্যবহার, খুশকি দূর করতে ও ভালো চুল গজাতে ব্যবহার করা যেতে পারে পেঁয়াজ বা রসুনের রস কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমানে এটিসিন যা চুল গঠনে সহায়ক ইত্যাদি।

চুল পরে যাওয়া

শারীরিক ওজনের তারতম্য

বয়সের সাথে সাথে ওজন খানিকটা বাড়বে, মেদ-ভুঁড়ি দেখা দিবে এটাই স্বাভাবিক। চেষ্টাচরিত্র করে যদি আপনি ওজন কমান ও ( জিম করে, ডায়েট করে) তবু কিছুদিন পর আবার ওজন বাড়ার বিষয়টি পুনরায় চলে আসে। বয়সের সাথে সাথে বডি মেটাবলিজম হ্রাস পেতে থাকে, এটা তারই প্রতিক্রিয়া। যাই হোক না কেন ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া বা দ্রুত কমে যাওয়া দুটোই সমান ভাবে ক্ষতিকর। এতে যে কেউ শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন  হতে পারে। তাই তাকে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সমস্যা হতে মুক্তি পেতে: আকস্মিক ভাবে যদি কারো ওজন বেড়ে যায় হ্রাস পায় তা নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই জরুরী। দ্রুত ওজন বৃদ্ধির ফলে শরীরে নানাবিধ অসুখ খুব সহজেই বাসা বাঁধে। এমন এক অসুখের নাম Obesity. এটি একটি সিরিয়াস মেডিকেল কন্ডিশন। তাই অবশ্যই ডাক্তার এর মতামত অনুসরণ করুন।

আপনার সুস্বাস্থ্য বাড়াবে আপনার কর্মস্পৃহা। আপনার সাফল্য কে আপনি উপভোগ করবেন পরিপূর্ণভাবে। তাই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হন। সুস্থ্য থাকুন ভালো থাকুন। প্রিয়লেখার সাথেই থাকুন।

লেখাটি লিখেছেনঃ

নাসীব উর রহমান

 

 

About Priyolekha

Check Also

ডায়াবেটিস এর খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীরা যা খাবেন , যা খাবেন না

ডায়াবেটিস রোগীদের নিত্য ঝামেলার মধ্যে অন্যতম একটি হল খাবার সমস্যা। কি খাব, কি খাব না …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *