বিপুল আয়ের উৎস উবার- স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / বিপুল আয়ের উৎস উবার- স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা

বিপুল আয়ের উৎস উবার- স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা

সারা বছরের সব ঝক্কি-ঝামেলার কথা নাহয় বাদই দিলাম, প্রতি বছর শুধুমাত্র বাণিজ্য মেলা থেকে ঘরে ফেরা মানুষই ভাল বলতে পারবেন পরিবহন সংকট আর বিড়ম্বনা কাকে বলে! একে তো ট্যাক্সি পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলেও আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে ট্যাক্সি ড্রাইভার যেতে চাইবে না, আর যদি একান্ত যেতে রাজি হয়েই যায় তাও মিটারে যাওয়ার তো কোন প্রশ্নই ওঠে না। সব মিলিয়ে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে মেলবন্ধন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ-তিনগুণ যাত্রীবাহী পাবলিক বাস।http://priyolekha.com

বাংলাদেশে নাগরিক পরিবহন সেবার ধারণাই যেন বদলে দিয়েছে উবার। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এই ট্যাক্সি সার্ভিসটি বিশ্বের প্রায় সব উন্নত দেশেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও দৈনন্দিন পরিবহন ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে শুধুমাত্র যাত্রী পরিবহনই নয় বরং উবারে গাড়ি ভাড়া দেয়ার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগও থাকছে এখানে।

‘আপনি কি গাড়ির মালিক? উবারে গাড়ি পাঠিয়ে দিন এবং ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিন’,  বাংলাদেশে নিজেদের সার্ভিসে গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে এমনই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে উবার। তাদের ভাষ্যমতে উবারে গাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রতি সপ্তাহে আয় করা সম্ভব প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে তাই উবারে গাড়ি ভাড়া দেয়ার রীতিমত হিড়িক পড়ে গেছে। কেউ কেউ তাই উবারকে “টাকার গাছ” বলে আখ্যা দিতেও ছাড়ছেন না।

এখানে একটি সমস্যা হল ব্যবসায় আয় এবং লাভ এই দুইটি ধারণাকে অনেকে এক করে ফেলছেন। কারো কারো মতে প্রতি সপ্তাহে আয় যদি হয় ২০ হাজার, তবে মাস শেষে টাকার অঙ্কটা দাঁড়াচ্ছে ৮০ হাজারে। এই ৮০ হাজার টাকা কিন্তু আপনার মোট আয়, লাভ বা প্রফিট নয়। লোভনীয় এই ব্যবসার দিকে যারা ঝুঁকতে যাচ্ছেন তাদের অনেকেই আয়-ব্যয়ের হিসাবটি মিলাতে পারছেন না। তাদের জন্য পুরো হিসাবটি থাকছে এখানে। আসুন বাস্তবতা মিলিয়ে দেখি।

প্রকৃত খরচঃ

প্রতি মাসে একটি গাড়ি সর্বোচ্চ ২৫ দিন চালানো যাবে। সপ্তাহে একদিন ছুটি থাকবে। সে হিসেবে প্রতিদিন আয় হবে ৩,২০০ টাকা।

১. উবারের কমিশন = ৮০,০০০*২৫% = ২০,০০০ টাকা

২. ড্রাইভারের বেতন = ১৫,০০০ টাকা (গড়ে)

৩. ড্রাইভারের দুপুরের খাবার = ১০০ টাকা প্রতিদিন = মাসে ২,৫০০ টাকা

৪. প্রতিদিন ৩,২০০ টাকা আয় করতে হলে সিএনজিবাবদ খরচ হবে ১০০০ টাকা = মাসে ২৫,০০০ টাকা।

তাহলে মাসিক খরচ দাঁড়াচ্ছে ২০,০০০+১৫,০০০+২,৫০০+২৫,০০০ = ৬২,৫০০ টাকা

আর লাভ হবে ৮০,০০০-৬২,৫০০ = ১৭,৫০০

কিন্তু এটাই পুরো লাভ নয়।

প্রতি বছর বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ ২৫,০০০ টাকা খরচ করতে হবে। এর অর্থ প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা।

প্রতিদিন ৩,২০০ টাকা আয় করতে হলে কমবেশি ১০০ কি:মি: চালাতে হবে। সেই হিসাবে প্রতি বছর ৩০,০০০ কি:মি: গাড়ি চলবে। ৩০,০০০ কি:মি: গাড়ি চলতে হলে চারটি চাকা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। এর অর্থ প্রতি বছরে খরচ হবে ২০,০০০ টাকা = মাসে ১,৫০০ টাকার মত।
প্রতি মাসে ইঞ্জিন মোবিল বদলাতে হবে। তাতে খরচ হবে প্রায় ২,০০০ টাকা।

বছরে ৩০,০০০ কি:মি: গাড়ি চলার জন্য এসিও চালু রাখতে হবে। এতে করে এসির রেডিয়েটর পরিবর্তন ও গ্যাস রিফুয়েলিং-এর জন্য বছরে খরচ হবে ১২,০০০ টাকার মত। অর্থাৎ প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা।

দুই বছরে যখন গাড়িটি প্রায় ৬০,০০০ কি:মি: এর মত চলবে, তখন গাড়ির ইঞ্জিন, গিয়ার অয়েল, ব্রেক অয়েল এবং গিয়ার বক্স রিপ্লেস করা লাগবে। এতে খরচ হতে পারে ধরলাম ৩০,০০০, যাতে মাসে দাঁড়ায় ১,২৫০ টাকার মত। আর অন্যান্য সার্ভিসিং চার্জ নাহয় বাদই দিলাম। রাস্তায় যদি কোন অঘটন ঘটে সেটাও বাদ দিলাম।

তাহলে আরও খরচ দাঁড়াচ্ছে ২,০০০+১,৫০০+২,০০০+১,০০০+১,২৫০= ৭,৭৫০ টাকা খরচ প্রতি মাসে।

তাহলে একটি গাড়ির পিছনে এক মাসে মোট খরচ হচ্ছে ৬২,৫০০+৭,৭৫০= ৭০,২৫০ টাকা।

প্রকৃত লাভঃ

৮০,০০০-৬২,৫০০-৭,৭৫০= ৯,৭৫০ টাকা। প্রতি মাসে এটাই হচ্ছে আসল লাভ।

যদি ১০ লাখ টাকা খরচ করে উবারে একটি গাড়ি দেয়া হয় তাহলে সেটার মূল টাকা উঠে আসতে কমপক্ষে ৮ বছর লাগবে। কাজেই যারা উবারে গাড়ি ভাড়া দিয়ে রাতারাতি মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন, বাস্তবতাটা তার চেয়েও কিছুটা নিষ্ঠুর।

তবে এখানেও কিছু কথা থেকে যায়। আপনি যদি গাড়ি উবারে না দিয়ে নিজের কাজেই ব্যবহার করেন তাহলেও কিন্তু ড্রাইভারের বেতন, খাবার, সিএনজি খরচ, বছর শেষে লাইসেন্স নবায়ন, চাকা ও এসির পরিবর্তনের মতো খুঁটিনাটি অনেক খরচ থেকেই যায়। আর ২৪ ঘণ্টা একটি গাড়ি ব্যবহার করাও হয় না। তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে উবার প্রায় ৫ হাজার টাকার মতো বোনাসের ব্যবস্থা করে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে আপনি যদি আপনার গাড়িটি উবারে ভাড়া দেন তবে বাড়তি কিছু আয়ের একটা ব্যবস্থা কিন্তু হয়েই যায়।

বাধা না পেরিয়ে সাফল্যের ছোঁয়া পেয়েছে এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। আর ব্যবসার ক্ষেত্রে আয় করতে হলে ব্যয় করতে হবে এটা তো চিরন্তন সত্য। সবদিক বিবেচনা করে শুধু উবার নয় যেকোনো ব্যবসায় অর্থ লগ্নি করলে লসের ঘানি টানার বদলে লাভের পাল্লা ভারী করে ঘরে ফেরা যায়।

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/groups/car.vault
https://m.facebook.com/groups
http://techshohor.com

About CIT-Inst

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *