তাঁর দেশ সুইডেন খেলছে রাশিয়া বিশ্বকাপে, কিন্তু তিনি নেই স্কোয়াডে। ইব্রাহিমোভিচকে ছাড়া বিশ্বকাপ যে অনেকটাই রঙ হারাবে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই কোন। তবে মাঠে না থাকলেও মাঠের বাইরে রাশিয়ায় ঠিকই থাকছেন ইব্রা। জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ভিসার একটি প্রচারণার অংশ হিসেবে রাশিয়ায় উপস্থিত থাকবেন ৩৬ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। তবে তার আগে ফিফাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন নিজের বিশ্বকাপ ভাবনার কথা।
ফিফা: বিশ্বকাপে আপনার থাকা না থাকা নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। ভিসার সাথে মিলে রাশিয়ায়া আসার সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ কী?
ইব্রাহিমোভিচ: জাতীয় দলে যে জায়গা পাব না, এটা অনেকটা পরিষ্কারই ছিল। কিন্তু চার বছর আগে যেমনটা বলেছিলাম, এখনো বলছি, আমাকে ছাড়া বিশ্বকাপ জমবে না! মাঠে না থেকেও তাই মাঠের বাইরে আমি থাকছি। আমি কাছাকাছি থেকেই বিশ্বকাপ উপভোগ করব।
ফিফা: স্বাগতিক হিসেবে রাশিয়ার কাছ থেকে কী আশা করছেন?
ইব্রাহিমোভিচ: আমার মনে হয় এটা দারুণ হবে। রাশিয়া অনেক বড় দেশ, অনেক মানুষ আছে। এমন একটা দেশে বিশ্বকাপ হওয়া মানে দারুণ ব্যাপার। বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক, আমি বিশ্বকাপ উপভোগ করবই, তা সেটা সরাসরি হোক বা টেলিভিশনের পর্দায়।
ফিফা: আপনার চোখে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ফেভারিট কারা?
ইব্রাহিমোভিচ: আমার মনে হয় ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেন এবং অবশ্যই সুইডেন। যদিও আর্জেন্টিনা নিজেদের ফেভারিট দাবি করছে না, তবুও তারা ফেভারিটের তালিকায় থাকবে। আমার খারাপ লাগছে যে আমার নতুন বাসস্থল যুক্তরাষ্ট্র এবারের বিশ্বকাপে নেই।
ফিফা: সুইডেনের বিশ্বকাপ জয়ের আশা কতটা বাস্তবসম্মত?
ইব্রাহিমোভিচ: বিশ্বকাপে আসার পথে তারা বেশ কিছু বড় দলকেই হারিয়ে এসেছে। সুতরাং দেখা যাক কি হয়। আপনি আগে থেকেই বলতে পারেন না বিশ্বকাপে কী হবে। নির্দিষ্ট মুহূর্তে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে।
ফিফা: সুইডেনকে খেলতে দেখে কি আপনি নার্ভাস বোধ করবেন?
ইব্রাহিমোভিচ: না না, একদমই নয়। আমি উত্তেজিত, কিন্তু নার্ভাস নই।
ফিফা: কোন নতুন তারকা বিশ্বকাপে ইমপ্যাক্ট তৈরি করবে বলে মনে হয় আপনার?
ইব্রাহিমোভিচ: আমার মনে হয় পগবা অবশ্যই ভালো করবে। এছাড়া কিলিয়ান এমবাপ্পে আছে, ভবিষ্যতের তারকা হলেও শীর্ষ পর্যায়ে ওর এখনো অনেক কিছু শেখার আছে।
ফিফা: আর সবচেয়ে বড় তারকা মনে হচ্ছে কাদের?
ইব্রাহিমোভিচ: এটা কিন্তু কোন ব্যক্তিগত খেলা নয়, ফুটবল একটি দলীয় খেলা। তারপরেও আমার মনে হয় নেইমার এবার বিশেষ ক্ষুধার্ত থাকবে। ওর দলকে শিরোপার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে ও। মেসির উপর তো নজর রাখতেই হবে, ও বিশ্বসেরা। একই কথা রোনালদোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে তারা একটি দীর্ঘ মৌসুম শেষ করে আসছে। সবাই ক্লান্ত থাকবে। যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে শতভাগ ফিট থাকবে, তাদের সম্ভাবনাই বেশি থাকবে।
ফিফা: নিজের প্রথম বিশ্বকাপ সম্পর্কে কিছু স্মৃতি শেয়ার করুন।
ইব্রাহিমোভিচ: ১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ ছিল আমার প্রথম বিশ্বকাপ। সুইডেন সেবার ৩য় হয়েছিল, যা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন ছিল।
ফিফা: দর্শকদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?
ইব্রাহিমোভিচ: দর্শকদের শুধু বলবো, আপনারা ধৈর্য ধরুন। আমি আসছি!