সুলতান গাজী সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর কারণ কী? – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ইতিহাস / সুলতান গাজী সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর কারণ কী?

সুলতান গাজী সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর কারণ কী?

১২ শতাব্দীতে মুসলমানদের যিনি একত্রিত করতে পেরেছিলেন, তৃতীয় ক্রুসেডে যিনি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন এবং খ্রিস্টানদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছিলেন জেরুজালেমকে- সে সুলতান সালাহউদ্দিনকে কে বা কী হত্যা করেছিল তা একটি বিরাট প্রশ্ন ছিল এতদিন। তবে ৮০০ বছরেরও আগে লিখে যাওয়া সুলতানের মেডিকেল রিপোর্ট পড়ে বর্তমানের ডাক্তাররা নির্ধারণ করতে পেরেছেন যে সুলতান সালাহউদ্দিনকে হত্যার কারণ কী ছিল।
ডক্টর স্টিফেন গ্লাকম্যান, পেনিসিলভ্যানিয়া স্কুল অব মেডিসিনের একজন প্রফেসর, বলেছেন যে সুলতান সালাহউদ্দিনকে হত্যা করেছিল ভীষণমাত্রায় টাইফয়েড। অর্থাৎ তরবারির আঘাতে কিংবা শত্রুর দেয়া বিষপানে তাকে খুন হতে হয়নি। প্রতি বছর বিশেষজ্ঞরা সভাসমিতির মাধ্যমে ইতিহাসের বিখ্যাত কিছু ব্যক্তিবর্গের হত্যারহস্যের প্রকৃত কারণ কী, তা উদঘাটন করেন এবং গত বছর এটি আলোচনা হয়েছিল লেনিন, ডারউইন, এলিনর রুজভেল্ট এবং প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে নিয়ে।


গ্লাকম্যান অবশ্য এটিও বলেছেন যে একদম প্রকৃত কারণ কী, সেটি সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়ত হবে না। কারণ সালাহউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেছিলেন আধুনিক রোগ নির্ধারণ যন্ত্র আবিষ্কার হবার আগেই। তবে টাইফয়েড সংঘটিত হবার কারণ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়াম সালমোনেলা টাইফি নামক জীবাণু যদি খাবার কিংবা পানিতে মিশে যায় এবং মানুষ যদি এগুলো পান কিংবা খেয়ে থাকে। আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে যে সুলতান সালাহউদ্দিনের টাইফয়েড হয়েছিল। সুলতান সালাহউদ্দিন এমন একজন চরিত্র যিনি ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস বদল করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক টম আসব্রিজ লাইভ সাইন্সকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “নিঃসন্দেহে গাজী সালাহউদ্দিন মধ্যযুগে যেসব ক্রুসেড হয়েছিল, তার রুপরেখা বদল করতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। মুসলমানদের একজন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতা তো বটেই!”
মিশরের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জামাল আবদেল নাসের, ইরাকের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ ব্যক্তিরা সালাহউদ্দিনের ইতিহাস ও জীবনী নিয়ে চূড়ান্তমাত্রায় নেশাগ্রস্থ ছিলেন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, এরা উভয়েই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নেতা এবং যিনি ইতিহাসে এই অঞ্চলের রুপরেখা বদল করতে ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁর প্রতি যে তারা তন্ময় হয়ে থাকবেন, এতে অবাক হবার কিছু নেই। স্ট্যাম্পে নিজেদের চেহারাকে তারা সালাহউদ্দিনের পাশে প্রতিকৃতি দিতে পছন্দ করতেন, এমনকি স্কুলের বাচ্চাদের ইতিহাসের বইতেও থাকত সুলতানের জীবনী।
১১৩৭ (মতান্তরে ১১৩৮) সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ইরাকের তিকরিত নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পরিবার ছিল মার্সেনারি কুর্দিশ গোত্রের। অর্থাত, সংঘাত সালাহউদ্দিনের রক্তেই ছিল। মিশরীয় খলিফাতের বিরুদ্ধে চাচারপাশে থেকে লড়াই করেছিলেন সালাহউদ্দিন। তাঁর চাচা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন সামরিক নেতা ছিলেন। ১১৬৯ সালে মৃত্যুবরণ করবার পর সালাহউদ্দিন চাচার স্থলাভিষিক্ত হন। তখন তাঁর বয়স ৩১ কি ৩২। যুদ্ধে জয়লাভ করবার পর তাকে সিরিয়ান বাহিনীতে সামরিক কমাণ্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং ফাতিমিদ খলিফাতের উজির হিসেবেও তিনি নিয়োজিত হন।


১১৮৭ সালে সালাহউদ্দিন তাঁর বাহিনী নিয়ে জেরুজালেমের পবিত্র শহর জয়লাভ করেন এবং প্রথম ক্রুসেড থেকেই যারা এই শহরটিকে দখল করে রেখেছিল, তাদের হটিয়ে দেন। তাঁর কাজকর্ম সালাহউদ্দিনকে আরও একবার ক্রুসেডে অবতীর্ণ হতে বাধ্য করে এবং এখানে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম রিচার্ড (রিচার্ড দ্য লায়নহার্ট) সামিল হন। ১১৯৩ সালে অদ্ভুত একটিরোগে ভুগে সালাহউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। তাকে রক্ষা করবার জন্য তৎকালীন চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি।
বর্তমানে টাইফয়েডের রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক ধরনের ঔষধ পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে কিন্তু ১২ শতকে এটি তেমন সহজে পাওয়া যেত না। গ্লাকম্যান বলেন যে বর্তমানে টাইফয়েড রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের চাহিদা খুবই ব্যাপকাকারে বাড়ছে। তিনি আরও বলেন,
“ইনফেকশন হবার ক্ষেত্রে আমাদের কাছে প্রতিষেধক রয়েছে। অন্যান্য ঔষধগুলোও তাদের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের পাশে দাঁড়িয়ে এগুলোর কার্যকারিতা এখন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।”
গ্লাকম্যান এটিও যোগ করতে ভুললেন না যে সকল অ্যান্টিবায়োটিক টাইফয়েডের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করবে এমনটিও এখনও তৈরি হতে পারেনি।
(সূত্রঃ লাইভ সাইন্স)

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

দেশপ্রেমিক ও বিপ্লবী নেতাদের নাম উঠলে একদম উপরের সারিতেই থাকবে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের নাম। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *