ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও ‘হ্যান্ড অফ গড’: বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত গোল – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফুটবল / ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও ‘হ্যান্ড অফ গড’: বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত গোল

ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও ‘হ্যান্ড অফ গড’: বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত গোল

দরজায় কড়া নাড়ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ, ফুটবলপ্রেমীদের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। ছাদে ছাদে প্রিয় দলের পতাকা টানানোও শুরু হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। আর এমন উত্তেজনার মৌসুমে ফুটবলপ্রেমীদের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতেই প্রিয়লেখা নিয়ে এলো বিশ্বকাপ স্পেশাল আয়োজন। পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই বিশ্বকাপের আমেজ দিতে তৈরি প্রিয়লেখা, পাঠকদের জন্য থাকছে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ২৫ টি স্পেশাল ফিচার। বিশেষ এই আয়োজনেরই প্রথম পর্ব থাকছে আজ।

১৯৩০ এর উরুগুয়ে থেকে শুরু করে ২০১৪ এর ব্রাজিল- ২০ টি বিশ্বকাপে নন্দিত ও নিন্দিত গোল কম দেখেনি ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি একই সাথে এমন দুটি নন্দিত ও নিন্দিত গোল দেখেছে, যার সমতুল্য গোল বিশ্বকাপ ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া ভার। দুটি গোলের জন্মদাতা একজনই, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার, কিংবা অনেকের চোখে সর্বকালের সেরা, ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা। তবে প্রিয়লেখার বিশ্বকাপ স্পেশাল আয়োজনে আজ নন্দিত গোলটি নয়, বরং বিস্তারিত থাকছে নিন্দিত গোলটি নিয়েই, ইতিহাসে যেটি পরিচিত হয়ে আছে ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে।

১৯৮৬ তে ম্যারাডোনা:

১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা; ছবি কৃতজ্ঞতা: গোল ডট কম

একজন ফুটবলারের জন্য আদর্শ সময়েই ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। বয়স তখন ২৫, আছেনও ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। মাত্র দুই বছর আগেই দ্বিতীয়বারের মতো দলবদলের বিশ্বরেকর্ড ভেঙে ৬.৯ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে বার্সেলোনা থেকে যোগ দিয়েছেন ইতালির ক্লাব নাপোলিতে। এসেই নিজের জাদু দেখানো শুরু করেছেন, দুই মৌসুম আগে যেই ক্লাবের অবনমন এড়াতেই লড়াই করতে হচ্ছিল, ম্যারাডোনা এসেই জাদুর ছোঁয়ায় বদলে দিতে লাগলেন সেই দলকে, পরপর দুই মৌসুমে করলেন যথাক্রমে অষ্টম ও তৃতীয়। আর বিশ্বকাপের ঠিক পরের মৌসুমে তো নাপোলিকে লীগ চ্যাম্পিয়নই বানালেন, সাথে জিতলেন কোপা ইতালিয়াও।

বিশ্বকাপের আগে নাপোলিতে আলো ছড়িয়ে নিজেকে বিশ্বকাপের জন্য একদম ঘষেমেজে প্রস্তুত করে রেখেছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৮২ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে গ্রুপ ‘সি’ থেকে ব্রাজিল ও ইতালির কাছে হেরে বাদ পড়ায়, ও ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে রেকর্ড সংখ্যক ২৩ বার ফাউলের শিকার হওয়ায় ম্যারাডোনার নিজেরও অনেক কিছুই প্রমাণ করার ছিল মেক্সিকো বিশ্বকাপে।

আর্জেন্টিনা বনাম ইংল্যান্ড: বৈরিতার পূর্ব ইতিহাস

এমনিতেই এই দুই দেশ মুখোমুখি হলে উত্তেজনার কমতি থাকে না। ফুটবল মাঠে এবং মাঠের বাইরে, দুই দেশের মধ্যে বিতর্কের উপাদান ছিল দুই ক্ষেত্রেই। মাঠের ঘটনা ১৯৬৬ বিশ্বকাপের। ওয়েম্বলিতে কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচে অত্যধিক ফাউল করে খেলছিল ইংলিশরা, এর প্রতিবাদ করায় জার্মান রেফারি উল্টো লাল কার্ড দেখান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক অ্যান্টোনিও রাটিনকেই। লাল কার্ডে ক্ষুব্ধ রাটিন অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে ইউরোপিয়ান দেশ ইংল্যান্ডকে অন্যায় সুবিধা দিয়েছেন ইউরোপিয়ান রেফারি রুডলফ ক্রেইটলেইন। এই বিতর্কের জের ধরেই ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজার আলফ রামসে আর্জেন্টাইনদের ‘পশু’ বলে অভিহিত করেন, স্বাভাবিকভাবেই রামসের এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল আর্জেন্টাইনরা।

আর মাঠের বাইরের ঘটনা ১৯৮২ তে ফকল্যান্ড দ্বীপকে কেন্দ্র করে। দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ফকল্যান্ড দ্বীপকে দুই দেশই নিজেদের অধিভুক্ত এলাকা বলে দাবি করে আসছিল। ১৯৮২ সালের ০২ এপ্রিল আর্জেন্টিনা দ্বীপটি দখল করে নেয়। এই ঘটনাকে নিজেদের ভূখণ্ডের উপর বহিঃশত্রুর আক্রমণ গণ্য করে ওই বছরেরই ১৪ জুন নৌবাহিনী পাঠিয়ে দ্বীপটি পুনরায় দখল করে নেয় ইংল্যান্ড। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশ কোন যুদ্ধে জড়ায়নি, কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫৮ জন ব্রিটিশ ও ৬৫৫ জন আর্জেন্টাইন সৈন্যের হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। মর্মান্তিক এই ঘটনার মাত্র চার বছরের মাথায় বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো মঞ্চে দুই দলের মুখোমুখি হওয়াটা যেন উত্তেজনার আগুনে আরও ঘি ঢেলে দিয়েছিল।

ঐতিহাসিক সেই ম্যাচ ও ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অফ গড’:

পেছনে এমন উত্তেজনাময় ইতিহাস রেখেই মেক্সিকো বিশ্বকাপে এস্তাদিও অ্যাজটেকা স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। ৪-৫-১-১ ফর্মেশনে হোর্হে ভালদানোর পেছনে থেকে শুরু করলেন ম্যারাডোনা। আর ইংল্যান্ড নামলো ৪-৪-২ ফর্মেশনে।

ঐতিহাসিক সেই ম্যাচের দুই দলের লাইন-আপ; ছবি কৃতজ্ঞতা: গোল ডট কম

প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা প্রভাব বিস্তার করে খেললেও ইংলিশ গোলকিপার পিটার শিলটনের দৃঢ়তায় প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই। ইংল্যান্ডের পিটার বিয়ার্ডসলি ও ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে কাজে লাগাতে পারেননি। তবে দ্বিতীয়ার্ধ নিয়ে আসে এমন দুটি মুহূর্ত, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ বানিয়ে দিয়েছে এই ম্যাচটিকে।

ম্যাচের বয়স তখন ৫১ মিনিট। গ্লেন হডলকে কাটিয়ে এবং আরও দুই ইংলিশ ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে ঢুকে পড়ে ভালদানোর উদ্দেশ্যে পাস বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ম্যারাডোনা। ভালদানো ঠিকভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি, তবে এর চেয়েও বড় ভুল করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার স্টিভ হজ। ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের গোলের দিকেই বল ঠেলে দেন তিনি। বল ক্লিয়ার করার জন্য গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ইংলিশ কিপার পিটার শিলটন, কিন্তু দ্রুতপায়ে এগিয়ে গিয়ে ‘হেড করে’ বল জালে জড়িয়ে দেন ম্যারাডোনা।

হ্যাঁ পাঠক, ম্যারাডোনা হেডে গোল করেছেন, প্রথমে এমনটাই মনে হয়েছিল। কেউই প্রথমে ধরতে পারেননি আসল ব্যাপারটা। কিছুক্ষণের জন্য ইংলিশ খেলোয়াড়েরা গোল বাতিলের জন্য রেফারি আলী বিন নাসেরের কাছে আবেদন জানাতে থাকেন। ইংলিশ ধারাভাষ্যকার ব্যারি ডেভিস ভেবেছিলেন অফসাইড দাবি করে গোল বাতিলের আবেদন জানাচ্ছেন ইংলিশরা। কিন্তু বল তো ইংলিশ খেলোয়াড়ের পায়ে লেগেই বক্সে গেছে, এটি কীভাবে অফসাইড হয় সেটিই বুঝে উঠতে পারছিলেন না ডেভিস। রিপ্লে দেখার সময় ডেভিস দেখলেন, ম্যারাডোনার একটা হাত ও মাথার সাথে উপরে উঠেছে, কিন্তু তখনো তিনি বুঝতে পারেননি গোলটা কীভাবে হয়েছে। আরও দুইবার রিপ্লে দেখার পর ইংলিশ ধারাভাষ্যকারদের মনে প্রথম সন্দেহ জাগে, ম্যারাডোনা কী বলটি হাত দিয়ে গোলে ঢুকিয়েছেন!

হাত দিয়ে বল জালে জড়াচ্ছেন ম্যারাডোনা; ছবি কৃতজ্ঞতা: গোল ডট কম

তবে ম্যারাডোনা নিজে তো সাথে সাথেই জানতেন, মাথা দিয়ে নয়, বরং বাঁ হাত দিয়ে তিনি বল জালে ঠেলেছেন! গোল হওয়ার সাথে সাথেই সময় নষ্ট না করে বুদ্ধিমানের মতো উদযাপন করতে করতে গ্যালারির দিকে যেতে থাকেন তিনি। মাঝে একবার মিলিসেকেণ্ডের জন্য পেছনে ফেরেন রেফারি গোল বাতিল করেছেন কিনা তা দেখার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তিউনিসিয়ান রেফারি কিছুই ধরতে পারলেন না, হাত দিয়ে বল জালে ঠেলে দিয়েও তাই গোল পেয়ে গেলেন ম্যারাডোনা।

খুব সামনে থেকে পুরো ঘটনাতা দেখায় পিটার শিলটন তাৎক্ষণিকভাবেই গোল বাতিলের জন্য আবেদন জানাতে থাকেন। হাত দিয়ে ইশারা করে রেফারিকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকেন, গোলটি মাথা দিয়ে নয়, বরং অবৈধভাবে হাত দিয়ে করা হয়েছে। ইংলিশ খেলোয়াড়েরাও ততক্ষণে আসল ঘটনা বুঝতে পেরে ঘিরে ধরেন রেফারিকে। কিন্তু রেফারি নিজেও স্পষ্টভাবে ঘটনাটি দেখতে না পাওয়ায় গোল বাতিল করেননি তিনি, সাথে জন্ম দিয়ে দেন বিশ্বকাপের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্তগুলোর একটিরও।

ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া:

ম্যাচের পর বারবার রিপ্লে দেখে যখন পরিষ্কার হয়ে গেছে গোলটা ম্যারাডোনা হাত দিয়েই দিয়েছেন, আর্জেন্টাইন নাম্বার টেন নিজেও আর অস্বীকার করলেন না বিষয়টা। নিজ মুখেই জানিয়ে দিলেন, ‘কিছুটা আমার মাথার সহায়তায়, আর কিছুটা ঈশ্বরের হাতের সহায়তায় এই গোল হয়েছে।’ সেই থেকেই এই গোল বিখ্যাত হয়ে আছে ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে।

অমন কাজ যে তিনি জেনেবুঝেই করেছিলেন তা আরও স্পষ্ট করেছিলেন পরবর্তীতে, ‘আমি অপেক্ষা করছিলাম কখন আমার সতীর্থরা এসে আমায় আলিঙ্গন করবে। কিন্তু ওরা কেউই আসছিল না। আমি তাদেরকে বলছিলাম, এসো আমাকে জড়িয়ে ধরে গোল উদযাপন করো, নাহলে রেফারি গোল বাতিল করে দেবে।’

পিটার শিলটনের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়াচ্ছেন ম্যারাডোনা; ছবি কৃতজ্ঞতা: গোল ডট কম

এদিকে মূল রেফারি বিন নাসের ও সহকারী রেফারি ডশেফ দায় চাপালেন একে অপরের উপর। বছরখানেক পরে মূল রেফারি বিন নাসের জানান, ‘আসলে ঠিক কী হয়েছে তা জানার জন্য আমি ডশেফের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম, কিন্তু সে আমাকে হ্যান্ডবলের বিষয়ে কিছু জানায়নি। ম্যাচের আগে আমাদের উদ্দেশ্যে ফিফার বার্তাও ছিলো পরিষ্কার, আমার চেয়ে আমার সহকারী যদি ভালো অবস্থানে থাকেন, তাহলে তাঁর সিদ্ধান্তকেই আমার সম্মান জানানো উচিত হবে। আমিও তাই করেছি।’

আর ডশেফ তো প্রশ্ন তুলে ফেলেন অমন গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচে ফিফা কীভাবে তিউনিশিয়ার কোন রেফারিকে মূল রেফারির দায়িত্ব দিয়েছিল সেটা নিয়েই! ‘আমি সাথে সাথেই বুঝেছিলাম কিছু একটা ঘটেছে, কিন্তু ফিফা তখন কোন বিষয়ে রেফারির সাথে সহকারী রেফারীর আলোচনা সমর্থন করতো না। আমি নিশ্চিত, এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফিফা যদি ইউরোপের কোন রেফারিকে মূল রেফারি হিসেবে রাখতো, তাহলে ম্যারাডোনার প্রথম গোলটা অবশ্যই বাতিল হয়ে যেত।’

ইংলিশ ম্যানেজার ববি রবসনও জানালেন, তিনি সাথে সাথেই হ্যান্ডবলের ঘটনা দেখেছেন, ‘আমি দেখলাম বাতাসে থাকা বলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য ম্যারাডোনা লাফিয়ে উঠলো। শিলটন এগিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ম্যারাডোনা হাত দিয়ে সেটিকে জালে ঠেলে দিলো। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে এরকম সিদ্ধান্ত আমরা কেউই আশা করি না।’

এদিকে আর্জেন্টাইনরা ম্যারাডোনার এই গোলকে দেখতে লাগলো ১৯৬৬ বিশ্বকাপ ও ফকল্যান্ড বিবাদের প্রতিশোধ হিসেবে। সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার রবার্তো পারফিউমো তো সরাসরিই বলেছিলেন, ‘১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচ জেতাটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল। বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ইংল্যান্ডকে হারানোই আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল।’

বিশ্বকাপ জিতে উল্লাসরত আর্জেন্টাইন দল; ছবি কৃতজ্ঞতা: গোল ডট কম

শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় লক্ষ্যও পূর্ণ হয়েছিল আর্জেন্টাইনদের, সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারানোর পর ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। প্রায় একা হাতেই দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে নিজেও অমরত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে যান আর্জেন্টাইনদের ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।

ফিচার ইমেজ ক্রেডিট: দ্য গার্ডিয়ান

ঐতিহাসিক সেই গোলের ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=-ccNkksrfls 

 

About Sanjoy Basak Partha

Check Also

কোটি সমর্থকের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনা

একটি একটি করে সেকেন্ড পার হচ্ছিল, আর আর্জেন্টিনা সমর্থকদের বিষাদ আরও গভীরতর হচ্ছিল। তবে কি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *