ইন্টারনেটের ফাঁদে আজকের শিশুরা – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / ইন্টারনেটের ফাঁদে আজকের শিশুরা

ইন্টারনেটের ফাঁদে আজকের শিশুরা

আজকের শিশুরা চাইলেই পেয়ে যাচ্ছে আধুনিক গ্যাজেট। মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই শিশুদের হাতে আই ফোন দেখে চমকে যাই। আধুনিক বাবা-মা আরও এগিয়ে জন্মদিনে তারা দিচ্ছেন নতুন মোবাইল বা ছেলে মেয়ের সাথে কনসাল্টেন্সি করে কিনছেন পিসি, মোবাইল, নোট বুক। না আমরা বলছি না এতে কোন ক্ষতি রয়েছে। সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এক পরম সম্পদ যা ভবিষ্যতের পাথেয়ও বটে।

তবু সন্তানরা আসলে কতটা সচেতনতার সাথে ব্যবহার করছে ইন্টারনেট !

তাদের সচেতন করে গড়ে তোলা প্রতিটি অভিভাবকের দায়িত্ব।

আপনার সন্তানকে প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দিনঃ

  • ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল, তথ্য উৎস, কোন খেলনা নয়।
  • মনে রাখা উচিৎ যে তথ্য আপনি একবার ইন্টারনেটে শেয়ার করলেন তা আজীবনের জন্য সেখানে রয়ে যাইবে, চাইলেও কেউ তা সম্পূর্ণ মুছতে পারবেন না।
  • শুধুমাত্র তাদের সাথেই ইন্টারনেটে যোগাযোগ রাখতে দিন (বিশেষত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) যাদেরকে আপনারা ব্যাক্তিগত ভাবে চিনেন।
  • ইন্টারনেট সেই জগত যেখানে কেউ সত্য বলছে না মিথ্যা তা জানার কোন উপায় নেই, যে কেউ যে কাউকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে, ধোঁকা দিতে পারে, ইন্টারনেটে কেউ কিছু বলছে আর আমি তা মুহূর্তে বিশ্বাস করে নিচ্ছে আপনার সন্তানেরা এমন যেন না হয়।
  • নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিজেকে নিশ্চিত করানো সেখান, ব্যক্তিগত ছবি, তথ্য শেয়ারে বাঁধা দিন।

 কি বলছে টেক জেনারেশন এর কিশোরকিশোরীরাঃ

  • কিশোরকিশোরীরা সারাদিন কম হলেও ৭ ঘন্টা সময় ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে।
  • পরিসংখ্যান বলে ৭০% শতাংশের উপর ছেলেমেয়ে অনলাইনে কি করে তা অভিভাবকের  নিকট গোপন করতে কৌশলের আশ্রয় নেয়।
  • ৫৩% শতাংশ ছেলেমেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের পর ওয়েবসাইট এর হিস্টোরি মুছে দেয় যেন কেউ তার ভিজিটেড সাইট সম্পর্কে কোন তথ্য না পায়।
  • একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৯০% ছেলেমেয়ে তেমন কোন আপত্তি প্রকাশ করে না যদি অভিভাবক ফোন ও পিসি ব্যবহারের কোন নিয়মনীতি নির্ধারণ করে দেন।
  • কলোরাডো স্টাডিতে দেখা গিয়েছে ৫ জনের মধ্যে ৩ জনের একের অধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে।

পরিসংখ্যান আরও বলছে বেশীরভাগ কিশোরকিশোরী বিশ্বাস করে অনলাইনে তারা কি করে সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি রয়েছে। আর তা হতে রক্ষা পেতেই তারা তাদের আলাপে এমন কিছু সংক্ষিপ্ত শব্দের ব্যবহার করে ভাবের প্রকাশ করে যা অভিভাবকদের কাছে দুর্বোধ্য ও অপরিচিত।

যৌন বার্তা প্রেরনঃ

  • পরিসংখ্যান বলে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক ৪৬% শতাংশ কিশোরকিশোরী বলে তাদের ইনবক্সে যৌন ছবি আসে ।
  • ১৩ থেকে ১৭ বছরের ৮৩% শতাংশ ছেলেমেয়ে সহপাঠীদের চাপে পড়ে এই ধরণের ঘটনায় জড়িয়ে পরে।
  • সন্তানদের আইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলুন।
  • অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় ও অবস্থানকে সম্মান করুন, প্রত্যেকের নিজের শরীর প্রদর্শন ও গোপন করার আইনত অধিকার রয়েছে।
  • এই ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে নৈতিকতাকে গুরুত্ব দিন।

হাজারো প্রোগ্রাম ও অ্যাপ্লিকেশনের ফাঁদঃ

হাজারো গেম, অ্যাপস, প্রোগ্রামের ফাঁদে হারিয়ে যাচ্ছে সন্তানেরা। কখনো নিছক মজা করতে গিয়ে, কখনো বা ভুল করে ক্লিক করে সন্তানেরা শিকার হচ্ছে সাইবার ক্রাইমের।

কিভাবে আমরা করতে পারি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা বিধান !

বেশির ভাগ শিশুর মাঝেই বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব থাকে না, কিন্তু প্রত্যেক শিশুকিশোরের অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজনঃ

  • নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখুন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর প্রাইভেট ব্রাউজিং অথবা গুগল ক্রোম এর কগনিটো মোড ব্যবহার করার উপর। কারণ এই মোড গুলো ব্যবহার করায় ব্রাউজিং হিস্টোরি খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।
  • ইন্সটল করা ও ব্যবহৃত  অ্যাপস গুলো প্রতিদিন চেক করুন।
  • আপনার সন্তানেরা প্রতিদিন কার সাথে চ্যাট করছে লক্ষ্য করুন।
  • কোন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার সন্তানেরা একটিভ সে দিকে খেয়াল রাখুন।
  • শুধুমাত্র ওয়াইফাই বা আপনার হোম নেটওয়ার্ক দিয়ে যে আপনার সন্তানেরা অনলাইন ভিজিট করছে এটা ভাবা কিন্তু ঠিক নয়, তারা নিজস্ব ফোন থেকে হটস্পটও ব্যবহার করতে পারে।
  •  আপনার পারিবারিক সদস্যদের ব্যবহৃত ডিভাইস গুলো চেক ক্রুন।
  • খেয়াল রাখুন কোন ধরণের অ্যাপস গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • প্রশ্ন করুন কার সাথে, কেন, কিসের আলাপ।

আইওএস- এ রয়েছে বিল্ট ইন প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সেটিংস ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যাপস ম্যানেজারঃ

  • আইফোন, আইপড টাচ, আইপ্যাডস্টাবলিশ এমন সেটিংস্ এর প্রয়োগ ঘটাচ্ছে যে পাসওয়ার্ড এর ব্যবহার ছাড়া কোন অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল বা ডিলিট এমন কি ডাউনলোড করাও সম্ভব না।
  • যে কোন আইটিউন ক্রয় করতে, বা কোন অ্যাপস ইন্সটল করতে সেট ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অনুমতির প্রয়োজন।
  • যেভাবে আক্টিভেট করবেনঃ সেটিংস-জেনারেল রেস্ট্রিকশনস-এনেবল পাসওয়ার্ডস-চুজ দ্য অপশন্স ইউ ওয়ান্ট (অ্যাপস, টিভি, মুভিস, এক্সপ্লিসিট মিউজিক)
  • আপনি যদি না জানেন কোন কাজের জন্য কোন অ্যাপটি ব্যবহার করবেন তবে জেনে রাখুন সকল ধরণের অ্যাপের বিবরনী গুগল প্লে স্টোর  ও আইটিউনস এ পাবেন।

কোন কিছু কি বাকি রয়ে গেলোঃ

  • মনে রাখবেন, আপনার সন্তানের নিরাপত্তা তাদের গোপনীয়তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।একজন অভিভাবক হিসাবে, আপনি তাদের সেল ফোন চেক দ্বারা ব্যক্তি

স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন না বরং অনলাইনে তাকে নিরাপদ রাখতে সচেষ্ট হয়েছেন।

  • দৃষ্টি সীমার মধ্যে স্মার্ট ডিভাইস ও গ্যাজেট চার্জ করার ব্যবস্থা রাখুন যেন চাইলেই আপনি তা চেক করতে পারেন।
  • ব্যক্তিগত কক্ষে পিসি বা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করার অনুমতি দিবেন না।
  • নিয়ম বেঁধে দিন যে কতটুকু সময় অনলাইনে অবস্থান করতে পারবে।
  • সন্তানের বয়স অনুপাতে তার সাথে খোলামেলা আচরণ করুন যে কেন তার উপর নিয়মনীতির এত কড়াকড়ি। তাকে বুঝিয়ে দিন যা করছেন তা তার নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্যই করছেন।

অনলাইনে নিরাপদ থাকা বা ব্যক্তি জীবনে নিরাপদ থাকার মধ্যে কোন পার্থক্য নেইঃ

  • আপনি আপনার সন্তানকে শুধু মাত্র একটিবার রাস্তা পার করে দিয়েই রাস্তা পার হওয়া শিখাবেন না, বছরের পর বছর ধরে সতর্ক করে সচেতন ভাবে গড়ে তুলবেন যেন রাস্তা পার হওয়ার সময় উভয় দিকে নজর রাখে যেন কোন দূর্ঘটনা না ঘটে।
  • ঠিক একই ভাবে অনলাইনের উপস্থিতি ও অ্যাপ ব্যবহারে সন্তানকে সতর্ক করে তুলতে হবে।
  • আপনার যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে থাকে ও আপনি দূর্ঘটনাবশত তার স্মার্ট ডিভাইসে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ দেখতে পান তবে তাকে সতর্ক করা আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য।

আপনি আলাপের সূচনা করতে পারেন যেভাবেঃ-

  1. YikYak জন্য কথোপকথন স্টার্টার– কি ধরনের জিনিস হবে একটি মানুষ বেনামে পোস্ট করতে চান? কিভাবে আপনি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করবে এই এ্যাপটি? আপনি কি বেনামে পোস্ট করবেন? কেন?
  2. SnapChat জন্য কথোপকথন স্টার্টার – আপনি কেন পাঠাতে চান সে ছবিগুলি যা অদৃশ্য হয়ে যায়? আপনি যে ছবি শেয়ার করছেন আপনি কি তা তাকে সত্যই দেখতে দিতে চান?
  3. হুইস্পারের জন্য কথোপকথন স্টার্টার – কেন আপনি আপনার গোপনীয়তা শেয়ার করবেন অপরিচিতদের সঙ্গে? যদি আপনি কোন পরিস্থিতির সঙ্গে সংগ্রামে লিপ্ত কিভাবে বিশ্বাস করবেন সেই অচেনা মানুষটি আপনাকে সাহায্য করতে সক্ষম হবেন? আপনি কি মনে করেন তাদের সাহায্য / বন্ধুত্ব গ্রহণ নিরাপদ হবে?
  4. যেকোনো অ্যাপের জন্য কথোপকথন স্টার্টার – অপরিচিত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে আপনি কতটুকু নিরাপদ? আপনি অন্যদের অধ: পতনে  উৎসাহিত করছেন? আপনি কি অনলাইনে নিপীড়িত হচ্ছেন? আপনি কি খুব বেশী তথ্য শেয়ার করে ফেলেছেন?

অনলাইন যেন যে কারো জন্য শুধুমাত্র আশীর্বাদ বয়ে আনে অভিশাপ এর কারণ হয়ে না দাঁড়ায় এই আমাদের প্রত্যাশা। অনলাইনে নিরাপদ থাকুক বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, সচেতন থাকুন অভিভবক ও আজকের এবং আগামীর শিশুরা।

 

About Naseeb Ur Rahman

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *