কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌরাত্ম্যে মানবজাতি কতটা বিপন্ন? – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি / কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌরাত্ম্যে মানবজাতি কতটা বিপন্ন?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌরাত্ম্যে মানবজাতি কতটা বিপন্ন?

আপনাকে যদি প্রিয় বৈশ্বিক নেতার কথা ভাবতে বলা হয়, তাহলে কার কথা ভাববেন? যত ইচ্ছা সময় নিন, কোনো ক্ষতি নেই। একইসাথে আরও একটি জিনিস ভাবুন এবার। কারো একজনের প্রিয় বৈশ্বিক নেতা আদতে কোনো মানুষ নয়, বরং একটি বিশাল নেটওয়ার্ক যেটিকে ছেয়ে আছে লাখো কম্পিউটার। এই ডিজি-ডিকটেটর (ডিজিটাল ডিকটেটর) এমন একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক, যেটির কাছে কিনা পৃথিবীর সমস্ত মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা রয়েছে। শুনতে অনেকটা সাইন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের মতো শোনায়, কিন্তু এমনটাই কিন্তু ঘটতে চলেছে আর কিছুদিন পর। সেকেন্ডের মাঝেই জটিল জটিল সব সমীকরণের হিসাব, সমস্ত পৃথিবীর অর্থনীতি ও সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ঈশ্বরের মতো ক্ষমতার অধিকারী এই আর্টিফিশিয়াল নেটওয়ার্ক সিস্টেমের কোনো মৃত্যু ঘটবে না, বার্ধক্য কিংবা জরা নেই- এটিই সবচেয়ে ভয়ের কারণ।
টেসলা ও স্পেসএস এর মতো সংস্থার পরিচালক এলন মাস্কের মতে, সমগ্র মানব জাতির জন্য সামনে খুবই কঠিন দিন অপেক্ষা করে আছে। মানুষকে এখন খুবই সাবধানে দিন গুণতে হবে। সেদিন আর বেশী দেরি নেই যেদিন কৃত্রিম একটি ব্যবস্থার হাতে সব মানুষের দায়ভার কিংবা তাদের শাসনের অধিকার ন্যস্ত হবে। এই ডিজিটাল ডিকটেটর বা স্বৈরশাসককে উৎখাত করতে মানুষের বেগ পেতে হবে। মাস্ক ধারণা করছেন ক্ষমতার মসনদ থেকে একে হটানো হবে খুবই কঠিন এবং দুর্যোগপূর্ণ।


“ডু ইউ ট্রাস্ট দিস কম্পিউটার?” শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্রে এলন মাস্ক তার কথনে বলেন,
‘আমরা বেশ দ্রুতগতিতে এমন একটি অবস্থার দিকে পৌছাচ্ছি যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে টেক্কা দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এটা খুবই সাধারণ একটি কথা। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এমন একটি সুপার ইন্টেলিজেন্সসম্পন্ন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে, তাহলে সমগ্র পৃথিবীর শাসনভার তাদের হাতে তুলে নিতে খুব বেশী দেরি করবে না।’ প্রামাণ্যচিত্রটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন ক্রিস পেইন। এর আগেও এলন ক্রিসনির্মিত ‘হু কিলড দ্য ইলেকট্রিক কার?’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্রে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। মাস্ক আরও বলেন যে এর আগেও মানুষ সমগ্র পৃথিবীর শাসনভার নিজের হাতে তুলে নিতে চেষ্টা করেছিল। সেটি নিজের হাতে হোক কিংবা কোনো একটি উছিলার মাধ্যমে। তবে সাম্রাজ্যবাদী একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম সবসময়ই চাইবে নিজেকে মানুষের থেকে যোগ্য করে তুলতে, আর সে রসদটাও তাকে জোটাবে মানুষই।
মাস্ক আরও বলেন যে একজন খারাপ স্বৈরশাসকের হাতে জনগণের মৃত্যু ঘটবে এটাই ইতিহাসে হয়ে এসেছে। তবে কৃত্রিম একটি শক্তি ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেয়া মানে সেখানে কোনও মৃত্যু ঘটবে না ঠিকই কিন্তু শাসকেরো অবসান ঘটবে না। যুগের পর যুগ চলতে থাকবে অত্যাচারীর অন্যায় রাজত্ব। এর থেকে পালাবার পথ পাওয়া যাবে না। মানুষের জন্য সামান্যতম হুমকি হবার জন্য এটিকে কোনো ধরনের ভূমিকা অবলম্বন করতে হবেনা, বরং এটি এমন এক শাসনব্যবস্থা স্থাপন করবে যেটি মানুষ শুনতে বাধ্য।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাঝে যদি এমন কোনো ভাবনা আসে এবং সেখানে যদি মানুষ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে মানুষকে হটিয়ে দিতে এটি একটুও কুণ্ঠাবোধ করবে না। শুনতে খারাপ লাগলেও এমনটাই ঘটবে। ধরুন আপনি রাস্তা তৈরি করছেন, সেখানে একটি পিঁপড়ের দল হাঁটাহাঁটি করছে। রাস্তা তৈরি করতে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে আপনার। এমতাবস্থায় কী করা যেতে পারে? হয় রাস্তা তৈরি হবে, নয়ত পিঁপড়েরা। আপনি রাস্তা তৈরি করতে শুরু করলেন, পিঁপড়েরা বরণ করল করুণ পরিণতি। আমাদের সাথেও ঠিক এমনটিই ঘটবে বলে মনে হচ্ছে- প্রামাণ্যচিত্রে এই কথা বলেন এলন মাস্ক।


মাস্কের এই ধরনের কথা শুনে যদি আপনি অবাক হয়ে থাকেন, তাহলে একটু ইতিহাসের দিকে ফিরে যান। টেকনোলজি জগতের এই মোগল অনেক আগে থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌরাত্ম্যের কারণে মানবসমাজ হুমকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে, সেটি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে মানবজাতির ধংসের জন্য দায়ী প্রধান হাতিয়ার কী, সে নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। ২০১৫ সালে আরও বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। স্টিফেন হকিংয়ের কাছে ছুটে যান যাতে জাতিসংঘে কিলার রোবটদের উচ্ছেদ করা হয়। তিনি বলেন যে প্রযুক্তির এই বিস্তার কখনও কখনও উত্তর কোরিয়ার হুঁশিয়ারিকেও অনেক তুচ্ছ করে দেয়। আমরা সবসময় বর্তমানটা নিয়েই চিন্তায় থাকি বলে ভবিষ্যতে আমাদের সাথে কী ঘটবে, তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছি না। এলন শুরু থেকেই এটি নিয়ে সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
‘মানুষ যা দেখতে পায়না, সেটিই তাকে সমস্যার মাঝে ফেলে দেয়।’- বলে টুইট করেন এলন।
এছাড়াও এই প্রামাণ্যচিত্রে মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা কথা বলা হয় এবং ভবিষ্যতের দিনগুলোতে এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে মানুষের আরও কী কী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী, তা সম্পর্কেও নানা বিষয় উঠে আসে। সেখানে এলন মাস্কের এই বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ।
(সূত্রঃ লাইভ সাইন্স)

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

সূর্যের মৃত্যু ঘটলে কেমন হবে ভাবুন তো!

বিজ্ঞানীরা বলেন যে একটা সময় সকল নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটবে। আসলে নক্ষত্রের মৃত্যুটা ঠিক কেমন হবে? …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *