জানেন, ইস্টার এগ কী? – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / জানেন, ইস্টার এগ কী?

জানেন, ইস্টার এগ কী?

গতকাল খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডের ছুটি কাটালাম আমরা। ইন্টারনেট, চলচ্চিত্র কিংবা বইয়ের বদৌলতে ইস্টার এগ শব্দটি মোটামুটি আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। কিন্তু ইস্টার এগ বলতে মূলত কী বোঝায় এবং ইস্টার এগের ধারণাটি কোথা থেকে এল, তা কি আমরা জানি? আসুন, আজ এটি সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক।
ইস্টার এগ (বা প্যাশাল এগ) মূলত একধরনের কৃত্রিম সাজানো ডিম। ইস্টার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এটি তৈরি করা হয়ে থাকে। ইস্টারটাইড বা ইস্টার মৌসুমে এই ডিম সাজানো হয়ে থাকে। পূর্বে মুরগির ডিমকে রঙ দিয়ে নানাভাবে সাজিয়ে একে অন্যকে উপহার দেয়া হতো। কালের পরিক্রমায় এই রীতিটি এখন বদলে গিয়েছে চকোলেট এগ বা চকোলেটের তৈরি ডিমের মাধ্যমে। এছাড়াও অনেকে ডিম্বাকৃতির কাঠের বস্তু কিংবা প্লাস্টিকের খেলনা বানিয়েও একে অন্যকে উপহার দেন। সাধারণ অর্থে ইস্টার এগ বলতে উর্বরতা এবং পুনর্জন্মের একটি ধারনাকে বোঝানো হয়ে থাকে। তবে ইস্টার মৌসুমে, খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন প্রভু যীশুর শূন্য সমাধি এবং সেখান থেকে যে যীশু পুনরুত্থিত হয়েছিলেন, সে ধারণাকে। কোনো কোনো প্রাচীন প্রথানুযায়ী ইস্টার এগকে লাল রঙে রাঙানো হতো। এর মানে, ক্রুসিফিক্সন বা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করবার সময় তার রক্তে রাঙা হয়েছিল যে মাটি এবং ক্রুশ, সেটিকে ধারণ করা। প্রথমে এটি মেসোপটেমিয়ায়, এরপর এটি রাশিয়া, সাইবেরিয়ার অর্থোডক্স চার্চে পালন করা হয়। আস্তে আস্তে এই ধারণাটি গোটা ইউরোপ এবং পরবর্তীতে ক্যাথোলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট, দুই রীতির অনুযায়ী সবার মাঝেই ছড়িয়ে পড়ে।


তবে ইস্টার এগের আদান প্রদানকে বাণিজ্যিকীকরণ করেছে পশ্চিমারাই। নানাভাবে, নানারুপে, নানা মোড়কে ইস্টার এগকে নিয়ে চলছে ব্যবসা। বিভিন্ন সমাজে, বিভিন্ন গোত্রে ইস্টার পরিণত হয়েছে বিপুল একটি লাভজনক ব্যবসায়। ইস্টার এগের কিছু মজাদার ফ্যাক্ট সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক এবার।
২০১১ সালে ইতালিতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইস্টার এগ তৈরি করা হয়েছিল। এটির উচ্চতা ছিল ১০.৩৯ মিটার এবং ওজন ছিল প্রায় ৭,২০০ কেজি!
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে মাত্র ১২টি অঙ্গরাজ্যে গুড ফ্রাইডেকে একটি ছুটির দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইস্টার এগকে রঙ করবার চিন্তাধারা প্রথমে মাথায় আসে ইউক্রেনে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পিসাংকা (pysanka). মোম ও কাপড়ে ব্যবহৃত রঙ দ্বারা প্রথমে ইস্টার এগ অলংকৃত করা হতো।
ইস্টার এগ নামকরণ করা হয় অ্যাংলো স্যাক্সন দেবী ইস্ত্রে (Eastre) এর নামে। তিনি হাঁস ও হাঁসের ডিমের প্রতীক ধারণ করেন।
ইস্টার প্রথার বহু আগেই ইস্টার এগ বিনিময় করা হতো। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ইস্টার এগের বিনিময়ের অর্থ বা প্রতীক ছিল পুনর্জন্ম।
ইস্টারের সময় আমেরিকানরা ৭কোটিরও বেশি ইস্টার এগ ক্রয় করে থাকে। সারা পৃথিবীতে ইস্টার এগ কেনার প্রবণতা আমেরিকানদের মাঝেই বেশি।
ইস্টারে কেবলমাত্র ইস্টার এগই নয়, চকোলেট বানি (চকোলেটের তৈরি খরগোস) বিক্রি করা হয়। একটি গবেষণায় মজার একটি তথ্য বেরিয়ে আসে। চকোলেট বানি ক্রেতা বা গ্রহীতাদের মধ্যে মোট ৭৬ শতাংশ গ্রহীতা প্রথমে চকোলেটের তৈরি খরগোসের কান দুটো কামড়ে খেয়ে ফেলে।


হ্যালোইনের পর ইস্টারই হচ্ছে একমাত্র উৎসব, যেখানে সর্বাধিক চকোলেট ক্রয় ও বিক্রয় করা হয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু অঞ্চলে ইস্টার উপলক্ষ্যে মুরগি রঙ করা নিষিদ্ধ। তবে ফ্লোরিডায় নতুন একটি আইন পাশ করা হয়েছে, যেখানে মুরগী রঙ করে বিক্রয় করা যাবে।
আমাদের মাঝে অনেকেই চলচ্চিত্রের ইস্টার এগ শব্দটি শুনেছি। এই ইস্টার এগ মানে হচ্ছে চলচ্চিত্রের মাঝে এমন একটি লুকোনো সংকেত যেটি বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকে। এই তথ্যের মাঝে রয়েছে মজাদার কৌতুক, লুকোনো বার্তা কিংবা কোড, এমনকি আলোচ্য অনুষ্ঠানের ভবিষ্যত কী হতে পারে, সেটিও বলে দেয়া হয় এই ইস্টার এগের মাধ্যমে। ইস্টার এগ প্রথায় একটি মজার খেলা প্রচলিত আছে। এই খেলায় শিশুরা বিভিন্ন স্থান থেকে ইস্টার এগ সংগ্রহ করে থাকে। পিতামাতা তাদের নানারকম ধাঁধাঁ দিয়ে থাকেন, যা সমাধান করে বের করতে হবে লুকোনো ইস্টার এগ। মূলত এই খেলা থেকেই চলচ্চিত্রে ইস্টার এগ হান্ট চালু হয়েছে।
(সূত্রঃ এলিটডেইলি ডট কম)

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *