২০০৭ বিশ্বকাপ : ক্যারিবিয়ান সৌন্দর্যে যেদিন রুপকথা লিখেছিল বাংলাদেশ – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ক্রিকেট / ২০০৭ বিশ্বকাপ : ক্যারিবিয়ান সৌন্দর্যে যেদিন রুপকথা লিখেছিল বাংলাদেশ

২০০৭ বিশ্বকাপ : ক্যারিবিয়ান সৌন্দর্যে যেদিন রুপকথা লিখেছিল বাংলাদেশ

১৭ মার্চ, ২০০৭ বিশ্বকাপ

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অমর অক্ষয় হয়ে থাকা এক দিন।১৭ মার্চ, ২০০৭ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে রচিত এক দিন। সবচেয়ে স্মরণীয় দিনগুলোর একটিও নয় কি?

পোর্ট অফ স্পেনে সেদিন গ্রুপ বি এর ম্যাচে মাঠে উপস্থিত সাড়ে ৯ হাজার দর্শক, আর বঙ্গোপসাগর পাড়ে কোটি কোটি মানুষ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছিল এক দল বাঘের গর্জন, এক ক্রিকেট পরাশক্তিকে হারিয়ে দিয়ে গর্জে ওঠা এক বাঘের হুঙ্কার। নিজেদের প্রিয় বন্ধু হারানোর শোকে উজ্জীবিত একদল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাঘের সংকল্প কতটা ভয়ংকর হতে পারে, ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ সেদিন টের পেয়েছিল শচীন-সৌরভের ভারত।

কে ছিল না সেদিন ভারত দলে? শেবাগ-শচীন-সৌরভ-দ্রাবিড়-যুবরাজ-ধোনি-জহির, পূর্ণশক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশের মোকাবেলা করতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের যে ছিল একজন মানজারুল ইসলাম রানা! মাঠে না থেকেও যিনি সেদিন উপস্থিত ছিলেন গোটা ম্যাচে, প্রতিটা বাংলাদেশির অন্তরে।

বাংলাদেশের রাজকীয় জয়

ম্যাচের আগের দিনই আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ দল জানতে পারে, তাদের প্রিয়তম বন্ধু, সতীর্থ মানজারুল ইসলাম রানা আর তাদের মাঝে নেই, সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে অমিত সম্ভাবনাময় একটি তাজা প্রাণ। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল গোটা বাংলাদেশ দল, বিশেষ করে মাশরাফি মর্তুজা আর সৈয়দ রাসেল। রানা যে এই দুইজনের অন্তরাত্মা ছিল!

শোকে মুষড়ে পড়েনি বাংলাদেশ, বরং রানার শোককে শক্তিতে পরিণত করে রানাকে শেষ উপহার দিতে মাঠে নেমেছিল সেদিন। উপহার দেয়ার কাজটা সবচেয়ে ভালোভাবে কে করলেন? রানার বন্ধু মাশরাফি। শেবাগের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে বুনো চিৎকার আর উল্লাস, বা আগারকার-উথাপ্পাদের ফেরানোর পর উদযাপন, সবকিছুই বলে দিচ্ছিল, এই ম্যাচ আর কারোর নয়, শুধু রানার ম্যাচ, রানাকে বিদায়ী উপহার দেয়ার ম্যাচ।

২০০৭ বিশ্বকাপ - মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিক

উপহারটা এমনই মধুর ছিল, রানা বেঁচে থাকলে হয়তো সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন তিনিই। তারকাসমৃদ্ধ ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে টুর্নামেন্টের ফেভারিটদের যে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল বাংলাদেশ!

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু প্রথম থেকে কোণঠাসা বোলিংয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন বাংলাদেশি বোলাররা, আর তার অগ্রভাগে ছিলেন মাশরাফি। ৯.৩ ওভার বল করে মাত্র ৩৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। আর দুই স্পিনার মোহাম্মদ রফিক ও আব্দুর রাজ্জাক সমানভাবে ভাগাভাগি করে নেন ৬ টি উইকেট।

২০০৭ বিশ্বকাপ - বিষণ্ণ এবং বিধ্বস্ত ভারত

বোলিংয়ে গল্প লিখেছেন মাশরাফি-রফিক-রাজ্জাক ত্রিমূর্তি, আর ব্যাটিংয়ে সেই গল্পের রুপকার তিন তরুণ, যারা পরে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন মহীরুহ, তামিম-সাকিব-মুশফিক। তিনজনেই দারুণ তিনটি ফিফটি করে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের আবির্ভাব জানান দেন। এর মধ্যে তামিমের বিস্ফোরক ইনিংসটি জায়গা করে নেয় অনেকের মনেই। বিশেষ করে জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারা ছক্কাটা আজও চোখে ভাসে বাংলাদেশ ভক্তদের।ম্যাচটাও কি ভাসে না! এই ম্যাচ যে চাইলেও ভোলার উপায় নেই ক্রিকেটপ্রেমীদের! সাথে অমর হয়ে গিয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপ !

মুশফিকুর রহিম এর তান্ডব

৩ ওভারে তখন ২৭ রান লাগে, হাতে আছে ৬ উইকেট। ক্রিজে আছেন দলের অন্যতম দুই ভরসা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। খেলা তো তখন বাংলাদেশেরই পক্ষে! কিন্তু তারপরেও কি দর্শকদের মনে একটু হলেও অবিশ্বাসের দোলাচল খেলা করে যায়নি? দুই বছর আগে এর চেয়ে হাজার গুণ সহজ সমীকরণও যে মেলাতে পারেননি এই দুই ব্যাটসম্যান!

About Sanjoy Basak Partha

Check Also

প্রসিধ কৃষ্ণা: নেট বোলার থেকে আইপিএল মাতানো তরুণের গল্প

প্রথমবার যখন শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটের স্বাদ পেলেন, প্রসিধ কৃষ্ণার বয়স তখন ১৯ বছর। ২০১৫ সালে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *