কার্ল ফ্রিডরিখ গজঃ গণিতের বরপুত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / কার্ল ফ্রিডরিখ গজঃ গণিতের বরপুত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

কার্ল ফ্রিডরিখ গজঃ গণিতের বরপুত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ইয়োহান ফ্রিড্ররিখ চার্লস গজ একজন জার্মান গণিতিবিদ। সর্বকালের অন্যতম সেরা গণিতবিদ হিসেবেও তার নাম উচ্চারিত হয় শ্রদ্ধার সাথে। তাকে ‘গণিতের যুবরাজ’ এবং ‘সর্বকালের সেরা গণিতবিদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ছোটবেলে থেকেই অসম্ভব প্রতিভাবান এই গণিতবিদ ছিলেন মেধাবী। তার গণিত সমাধানের কাহিনী বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রায় কিংবদন্তীতুল্য। ১৮৯৭ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি ডিসকিশিয়নেস অ্যারিথমেটিক বইটি লিখে ফেলেন, যা তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। বইটি প্রকাশিত হয় ১৮০১ সালে। সংখ্যাতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে লেখা এই বই গণিতের শাখায় খুবই মূল্যবান এবং এটি একটি স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করে।
১৭৭৭ সালের ২০ এপ্রিল ব্রাউনশভাইগে এই প্রতিভাবান গণিতবিদের জন্ম। তার পরিবার ছিল নিম্নবিত্ত, নিতান্তই খেটে খাওয়াদের অন্তর্ভুক্ত। ছোটবেলা থেকেই গণিতের প্রতি তার অসামান্য মনোযোগ ও প্রীতি প্রকাশ পায়। তিন বছর বয়সে যখন শিশুদের মুখে আধো আধো বোলও ঠিকমতো ফোটে না, ঠিক ঐ বয়সেই গজ তার বাবার বেতনের হিসাব করতে শুরু করেন।


গজকে নিয়ে আরো বিস্ময়কর গল্প রয়েছে। ক্লাসে ছেলেদের দুষ্টুমি বন্ধকরবার জন্য শিক্ষক ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো যোগ করলে কত হয় তা নির্ণয় করতে বলেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে খাতা কলমের সাহায্য ছাড়াই গজ মুখে মুখে সমস্যাটির সমাধান করে ফেলেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। স্লেটের মধ্যে উত্তরটি লিখে তিনি শিক্ষকের ডেস্কে গিয়ে বললেন, “এটাই হচ্ছে উত্তর”। শিক্ষক এতটাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন যে নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে গজকে চমৎকার কিছু বীজগণিতের ওপর বই কিনে দিলেন। বললেন, “সে আমাকেও টেক্কা দিয়ে দিয়েছে। ওকে শিক্ষা দেয়া আমার কম্ম নয়”। প্রকৃতপক্ষেই গজ অন্যান্যদের গণিত শিক্ষক বনে উঠেছিলেন এবং ইতিহাসের অন্যতম সেরা গণিতবিদ। তবে জোসেফ রটম্যান তার বই এ ফার্স্ট কোর্স ইন অ্যালজেবরা-তে এই ধরনের কোনো ঘটনা আদৌ ঘটেছিল কি না, তা নিয়ে বেশ সংশয় প্রকাশ করেন।
গজের বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা তৎকালীন সময়ে ঐ অঞ্চলের ডিউকের নজর কাড়ে এবং তিনি গজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবার সুযোগ করে দেন। ১৭৯২ থেকে ১৭৯৫ পর্যন্ত গজ সেখানে লেখাপড়া করেন। সেখানে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপপাদ্য নতুন করে আবিষ্কার করেন এবং প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে সুষম বহুভুজের সংখ্যা ফের্মা মৌলিক সংখ্যা এবং তাদের কম্পাস ও দাগ-না কাটা স্কেল ব্যবহার করে আঁকা সম্ভব। এই সমস্যাটি অনেকদিন ধরেই গ্রীকদের ভাবিয়ে আসছিল এবং এটিই পরবর্তীতে গজকে ভাষাবিজ্ঞানের পরিবর্তে গণিতকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে অনুপ্রাণিত করে।


১৭৯৬ সালটি গজের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ। এই বছরের মার্চের ৩০ তারিখ গজ সপ্তদশভুজ অঙ্কনের একটি কৌশল আবিষ্কার করেন। এছাড়াও মডিউলভিত্তিক পাটিগণিত আবিষ্কার করেন, যা সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাব নিকাশ বহুগুণে সহজ করে দিয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। ৪ এপ্রিল তিনি দ্বিঘাত অন্যোন্যতা বা কোয়াড্রাটিক রেসিপ্রোসিটি নিয়মটি প্রমাণ করেন যার মাধ্যমে কোনো দ্বিঘাত সমীকরণ মডুলার পাটিগণিতের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব কি না, তা নির্ধারণ করা যায়। ৩১মে তিনি মৌলিক সংখ্যা উপপাদ্যটি অনুমান করেন, যা মৌলিক সংখ্যার বণ্টন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে।
মহান এই বিজ্ঞানী ১৮৫৫ সালে গোটিগেনে মৃত্যুবরণ করেন। গণিতের অপার এই দুনিয়া তাকে সারাজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *