ভিভ রিচার্ডস: বোলারদের ধ্বংস করে দেয়া এক সাহসী সম্রাটের গল্প – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ক্রিকেট / ভিভ রিচার্ডস: বোলারদের ধ্বংস করে দেয়া এক সাহসী সম্রাটের গল্প

ভিভ রিচার্ডস: বোলারদের ধ্বংস করে দেয়া এক সাহসী সম্রাটের গল্প

ইমরান খান তাঁকে জিনিয়াস বলতে রাজি ছিলেন না। ইমরানের ভাষ্যমতে, জিনিয়াস কেবল তাঁদেরই বলা যায় যারা খেলাটিতে চিন্তাশীলতা যোগ করেছেন। ভিভের খেলায় সেটি ছিল না বলেই ইমরান তাঁকে জিনিয়াস শব্দটি দ্বারা ভূষিত করতে চাননি। তবে এটুকু পড়েই ইমরানকে ভিভ বিদ্বেষী ভেবে বসবেন না। শুধু ইমরান কেন, বেশিরভাগ বোদ্ধার চোখেই যে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানটির নাম ভিভ রিচার্ডস!

চুইংগাম চিবোতে চিবোতে বীরের বেশে মাঠে নামতেন তিনি। প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে উঠত বোলারদের ধ্বংস করে দেয়ার প্রতিজ্ঞা, চোখ মুখ ঠিকরে বেরিয়ে আসত অগাধ আত্মবিশ্বাস। মাঠে পা দেয়ার মুহূর্ত থেকেই প্রতিটা সেকেন্ডে বুঝিয়ে দিতে চাইতেন, আমি যতক্ষণ উইকেটে আছি, এই উইকেটের সম্রাট আমি। শুধু হাবভাবেই নয়, নিজের এই রাজকীয় আভিজাত্য ব্যাটিংয়েও বজায় রেখেছেন পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে। খেলাটির উপর গভীর ইমপ্যাক্ট ফেলেছেন, এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সেই কম খেলোয়াড়দের মধ্যেই সবার উপরের দিকে থাকবে একটি নাম, ক্যারিবীয় সম্রাট, অ্যান্টিগার ঘরের ছেলে, আর ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটসম্যান, স্যার আইজ্যাক ভিভিয়ান রিচার্ডস।

হেলমেট ছাড়া দুঃসাহসী ভিভ: 

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর ও গতিশীল ফাস্ট বোলারদের যুগে খেলেছেন তিনি। তারপরেও ক্যারিয়ারে একবারের জন্যেও হেলমেট ব্যবহার করেননি তিনি। ডেনিস লিলি, জেফ থমসনের মত বোলারদের বিপক্ষে রাজার মত ব্যাট করেছেন, হেলমেট ছাড়া! ইমরান, কপিলদের সামলেছেন, নিজ দলের ‘ক্যারিবিয়ান এক্সপ্রেস’ খ্যাত হোল্ডিং, রবার্টস, মার্শাল, গার্নারদের খেলেছেন, সেটিও হেলমেট ছাড়াই। এমন দুঃসাহস কবে কে দেখিয়েছেন? নিজের দৃষ্টিশক্তি আর স্নায়ুর উপর অগাধ ভরসা, আর বুক ভরা সাহস তাঁকে ভিভ রিচার্ডস বানিয়েছে, করেছে বাকি সকলের থেকে আলাদা।

তাঁকে ডাকা হত ‘ব্ল্যাক ব্র্যাডম্যান’। সেটি শুধু ব্র্যাডম্যানের মত বিশাল বিশাল স্কোর করতেন বলে নয়, বোলার হাত থেকে বল ছাড়ার আগেই সেটি পড়ে ফেলতে পারার অমানুষিক ক্ষমতার কারণেও। এতটাই দুর্দান্ত ছিল তাঁর রিফ্লেক্স, সবচেয়ে গতিশীল বোলারেরাও তাঁকে বল করতে ভয় পেতেন। বোলিং ফিগার তো বটেই, বোলারের সম্পূর্ণ মনোবলই যে দুমড়ে মুচড়ে দিতেন ভিভ! যেখানে যার বিপক্ষেই খেলতে নামুন, ভিভের মন্ত্র ছিল একটাই, হয় আমি জিতব, নাহয় বোলারেরা।

ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াকে পেলে তাঁর ব্যাট যেন হয়ে উঠত খোলা তরবারি। কে জানে, হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উপনিবেশ করে রাখার শোধ তুলেছেন ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে, আর অস্ট্রেলিয়াকে ছত্রখান করেছেন ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের অপমান করার জন্য!

সেই মৌসুমেই অস্ট্রেলিয়ায় নিজের প্রথম সফরে তাঁর ব্যাটিংয়ের মূলমন্ত্রটা জানিয়ে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। ডেনিস লিলি আর জেফ থমসন তখন রীতিমত অপ্রতিরোধ্য। বিশেষ করে থমসন তখন এত জোরে বল করছিলেন, ব্যাটসম্যানেরা নাকি রিঅ্যাক্ট করার আগেই বল পৌঁছে যাচ্ছিল উইকেটের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে!

কিন্তু এতে ভয় পেলে তিনি আর রিচার্ডস কেন? যত ভাল শর্ট বলই হোক কিংবা যত দ্রুতগতির বলই হোক, ফ্রন্ট ফুটে এসে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আমাকে বাকিদের সাথে এক পাল্লায় মাপার ভুল করতে যেও না!

কপিল দেব এখনো ১৯৮৩ বিশ্বকাপের দুটি শটের কথা মনে করতে পারেন, “অফ স্টাম্পের ঠিক বাইরে বল ফেলেছিলাম, উদ্দেশ্য ছিল আউটসুইঙ্গারে পরাস্ত করব তাঁকে। দুইবারই আউটসাইড এজ হবে ভেবে উত্তেজনায় হাত তুলে ফেলেছিলাম, কিন্তু পরমুহূর্তেই অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম, বল স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানাছাড়া হয়ে গেছে।”

পরিসংখ্যান দিয়ে ভিভ রিচার্ডসকে বোঝানোর সাধ্য নেই কারোর, তবুও পরিসংখ্যানের আশ্রয় নেয়া হয় একটা জিনিসই বোঝাতে, ক্যারিয়ারজুড়ে একই ঢঙে ব্যাট করেও কি দারুণ সফল ব্যাটসম্যান ভিভের ক্যারিয়ার! ১২১ টেস্ট ম্যাচে ৫০.২৩ গড়ে ও ২৪ সেঞ্চুরিতে ৮৫৪০ রানের মালিক ভিভ থাকেন অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারই সেরা টেস্ট একাদশে। সংখ্যাগুলোর মাহাত্ম্য আরও বেড়ে যায় ভিভের সময়ের বোলারদের মান ও প্লেয়িং কন্ডিশন বিবেচনায় ধরলে।

টেস্টে ভিভ রিচার্ডস: 

টেস্ট অভিষেক ১৯৭৪ সালে ভারতের মাটিতে। ব্যাঙ্গালোরে অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন মোটে ৭ রান। তবে বিশ্বমঞ্চে নিজের নাম জাহির করতে সময় নিলেন কেবল ওই এক টেস্টই। পরের টেস্টেই খেললেন অপরাজিত ১৯২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ১৯৭৫ টা ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা ভালো যায়নি তাঁর, কিন্তু সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন ১৯৭৬ এ এসে। ওই এক বছরেই করেছেন ১৭১০ রান, এর মধ্যে আছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজেই অবিশ্বাস্য ৮২৯ রান করার রেকর্ড! তাও সেই সিরিজে একটি ম্যাচে খেলা হয়নি তাঁর, খেললে হয়তো এক সিরিজে ১০০০ রান করার অকল্পনীয় রেকর্ডটাও করে ফেলতেন। তবে যা করেছেন সেটিও টিকে ছিল ৩ দশক, ২০০৬ এ এসে মোহাম্মদ ইউসুফ ভেঙ্গে দেয়ার আগে ভিভের ১৭১০ ই ছিল এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড।

অবিস্মরণীয় সেই ইংল্যান্ড সিরিজে স্বাগতিকদের ৩-০ তে বিধ্বস্ত করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আর ব্যাট হাতে তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভিভ। ওই সিরিজেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন দুইটি, যার মধ্যে ছিল ওভালে তাঁর ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস ২৯১ ও।

পরের ৫ বছরে তাঁর গড় কিছুটা নিচের দিকেই নেমে গিয়েছিল, কিন্তু ভিভ আবার নিজের চেনা রূপে ফিরেছেন ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ এই সময়ের মধ্যে। এই ৬ বছরে ১২ টি সিরিজ খেলে ১০ টি সেঞ্চুরি করেছেন! তবে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে ফর্মটা বেশ পড়তির দিকেই ছিল ক্যারিবিয়ান কিংয়ের। শেষ ১৯ টেস্টে মাত্র ১ টি সেঞ্চুরি আর ১০ টি ফিফটিই করতে পেরেছিলেন তিনি।

ক্যারিয়ারে মোট ২৯ টি সিরিজ খেলেছেন, তার মধ্যে ১৪ টিতেই তাঁর গড় ছিল পঞ্চাশের উপর। গড় ত্রিশের নিচে ছিল কেবল ৭ টি সিরিজে, যার বেশিরভাগই ছিল ক্যারিয়ারের শেষভাগে। যে ২৪ টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন, তার ১২ টিতেই তিনি ছিলেন জয়ী দলে। রিচার্ডসের ক্যারিয়ার চলাকালীন সময়ে কেবল গর্ডন গ্রিনিজই দল জিতেছে এমন ম্যাচে রিচার্ডসের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করেছেন। দেশের বাইরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেতা ম্যাচগুলোতেও ভিভ ছিলেন দারুণ সপ্রতিভ, ৬ সেঞ্চুরিতে প্রায় ৫৪ গড়ে রান করেছেন বিদেশের মাটিতে জেতা টেস্টগুলোতে। চতুর্থ ইনিংসে অনেক ব্যাটসম্যানই যেখানে খাবি খান, রিচার্ডসের গড় সেখানে ছিল ৪৮ এর কাছাকাছি।

সব বোলারকেই কমবেশি পিটিয়েছেন, তবে রিচার্ডসের রুদ্রমূর্তি সবচেয়ে ভয়ংকরভাবে দেখেছেন ইংলিশ বোলারেরা। টেস্ট ক্যারিয়ারের মোট রানের এক-তৃতীয়াংশই করেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ৮ সেঞ্চুরিতে ৬২ এর বেশি গড়ে করেছেন ২৮৬৯ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কমপক্ষে ২০০০ রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভিভের চেয়ে বেশি গড় আছে কেবল স্যার ডনের। নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন যাদের বিপক্ষে, সেই ভারতীয় বোলারদেরও কচুকাটা করেছেন, পেয়েছেন ৭ টি সেঞ্চুরি।

গোটা ক্যারিয়ারে অনেক পজিশনেই ব্যাট করেছেন, তবে ভিভের সেরাটা দেখা গেছে ৩ নম্বরে। ওয়ান ডাউনে ৫৯ ইনিংস ব্যাট করে ৬১.৫৪ গড়ে করেছেন ৩৫০৮ রান, ২৪ সেঞ্চুরির অর্ধেকই এসেছে এই পজিশনে ব্যাট করে। ৩ নম্বরে অন্তত ৫০ ইনিংসে ব্যাট করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভিভের চেয়ে বেশি গড় আছে কেবল ব্র্যাডম্যান আর ওয়ালি হ্যামন্ডের। ৩ নম্বরে ব্র্যাডম্যানের গড় তো রীতিমত অবিশ্বাস্য, ৫৬ ইনিংসে ব্যাট করে ১০৩.৬৩ গড়ে করেছেন ৫০৭৮ রান!

ভিভের বিশ্বরেকর্ড: 

প্রিয় প্রতিপক্ষ ইংলিশদের বিপক্ষেই ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে ৫-০ তে জেতা সিরিজে হোম গ্রাউন্ড অ্যান্টিগায় গড়েছিলেন নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় কীর্তিটি। মাত্র ৫৬ বলে সেঞ্চুরি করে টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি লিখেছিলেন নতুন করে। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ভেঙ্গে দেয়ার আগে পর্যন্ত এটিই ছিল টেস্টের দ্রুততম সেঞ্চুরি, মিসবাহ উল হক অবশ্য মাঝে ভাগ বসিয়েছিলেন ভিভের রেকর্ডে। ৮৪ টি ছয় নিয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার তালিকায় ভিভ আছেন আট নম্বরে, ১০৭ টি ছক্কা নিয়ে এখানেও সবার উপরে ম্যাককালাম।

ব্যাটসম্যান ভিভের পাশাপাশি অধিনায়ক ভিভেরও আছে দারুণ একটি কীর্তি। ক্লাইভ লয়েডের অবসরের পর ১৯৮৫ তে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫০ টি টেস্টে, এর মধ্যে জিতেছেন ২৭ টিতে ও হেরেছেন ১৫ টিতে। কিন্তু যতগুলো সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, হারেননি এর একটিতেও!

ওয়ানডেতে ভিভের রেকর্ড: 

রিচার্ডসের যেই ব্যাটিং স্টাইল, তাতে টেস্টের চেয়ে ওয়ানডেতেই তাঁর বেশি সফল হওয়ার কথা ছিল। তা ওয়ানডেতেও তিনি খারাপ করেননি একেবারেই। ১৮৭ ম্যাচ খেলে ৪৭ গড়ে করেছেন ৬৭২১ রান, তবে এখানে গড়ের চেয়ে মুখ্য হয়ে ওঠে তাঁর স্ট্রাইক রেটই। পেস বোলিংয়ের সেই স্বর্ণযুগেও ভিভ রান করেছেন ৯০+ স্ট্রাইক রেটে, এখনকার যুগের অনেক ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যা কল্পনা কেবল।

তবে ভিভের ওয়ানডে ক্যারিয়ার বিশ্লেষণের সময় গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি বিবেচনায় নিতে হয় তা হল, ১৮৭ টি ওয়ানডের মাত্র ৩৩ টিই তিনি খেলতে পেরেছেন দেশের মাটিতে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলেছেন এর দ্বিগুণেরও বেশি ম্যাচ, আর সেখানে দারুণ সফল ভিভ। ৭৩ ম্যাচ খেলে প্রায় ৪৫ গড়ে করেছিলেন ২৭৬৯ রান, তাঁর সময়ে অতিথি ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাঁর চেয়ে বেশি রান করতে পারেননি আর কেউ।

বড় মঞ্চে সবসময়ই উজ্জ্বল ছিলেন ভিভ। ১৯৭৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর অপরাজিত ১৩৮ এখনো বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ইনিংসগুলোর একটি। বিশ্বকাপে হাজারের বেশি রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভিভের গড়ই সেরা। বিশ্বকাপের মঞ্চে ২৩ ম্যাচ খেলে ৬৩.৩১ গড়ে রান করেছেন ১০১৩, ৫ ফিফটির পাশাপাশি আছে ৩ টি সেঞ্চুরিও।

সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ইনিংস: 

টেস্টের মত ওয়ানডেতেও নিজের সর্বোচ্চ স্কোর ভিভ করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। ১৯৮৪ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচে দলের ২৭২ এর মধ্যে তিনি একাই করেছিলেন অপরাজিত ১৮৯ রান! ইনিংসটি খেলার পথে শেষ উইকেটে মাইকেল হোল্ডিংয়ের সাথে ১০৬ রানের জুটি গড়েছিলেন, যা এখনো বিশ্বরেকর্ড হিসেবে টিকে আছে। ভিভের এই ইনিংসটিকে উইজডেন সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ইনিংস হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। ভিভ সম্পর্কে আরও একটি বিশেষ তথ্য, তিনি সেঞ্চুরি করেছেন এমন কোন ওয়ানডেতেই হারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ব্যাটসম্যান ভিভকে নিয়ে এত আলোচনা হলেও বোলার ভিভও কিন্তু একেবারেই ফেলনা ছিলেন না। ওয়ানডেতে তাঁর নামের পাশে আছে ৯৯ টি উইকেট, ইকোনমিও মাত্র ৪.৪৩। ১৯৮৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৪ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন ভিভ।

ওয়ানডেতে আরও একটি দারুণ রেকর্ড আছে ভিভের। মাত্র ১৮৭ ম্যাচ খেলেই ৩১ বার ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরষ্কার জিতেছিলেন ভিভ, অর্থাৎ গড়ে প্রতি ৬.০৩ ম্যাচে একটি করে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। অন্তত ২৫ বার ম্যান অফ দ্য ম্যাচের স্বীকৃতি পেয়েছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে ভিভের রেকর্ডই সেরা। ৪৪২ ম্যাচে ৬১ বার ম্যান অফ দ্য ম্যাচের স্বীকৃতি নিয়ে (প্রতি ৭.২৪ ইনিংসে একটি করে) দ্বিতীয় স্থানে আছেন শচীন টেন্ডুলকার।

 

 

 

 

 

About Sanjoy Basak Partha

Check Also

সাকিবদের কড়া সমালোচনা করলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান

র‍্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ উপরে। কিন্তু তারপরেও সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই এমন একপেশে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *