টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা নস্ট্রাডামুস ২০১৮ সাল নিয়ে কী বলেছিলেন ? – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা নস্ট্রাডামুস ২০১৮ সাল নিয়ে কী বলেছিলেন ?

টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা নস্ট্রাডামুস ২০১৮ সাল নিয়ে কী বলেছিলেন ?

নেপোলিয়নের জয়জয়কার, হিটলারের আগমন আর ৯/১১ এর ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন তিনি। ফ্রান্সের বিখ্যাত বা কুখ্যাত নবী হিসেবে পরিচিত নস্ট্রাডামুস মারা গিয়েছেন ১৫৬৬ সালে। তবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে উদ্ভূত আইএসের মতো কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী যে দুনিয়া কাঁপিয়ে বেড়াবে, তাও তিনি লিখে গিয়েছিলেন মারা যাওয়ার আগে। ২০১৮ সাল নিয়ে তিনি কী ভেবেছিলেন তা জানার আগে জেনে নেয়া যাক টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা নস্ট্রাডামুস সম্পর্কে।

জন্মসূত্রে নাম তার মিশেল দে নতরদাম। ১৫০৩ সালে এক ইহুদী পরিবারে জন্ম হয় তার, তবে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার যুগে বাস করায় তিনি ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত। তার দাদা ও নানা দুজনেই বেশ নামকরা পণ্ডিত ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি দুজনের কাছ থেকেই পাঠ নিতেন। একজন ছিলেন ডাক্তার। আর আরেকজন ছিলেন ভাষাবিদ, তার কাছ থেকে তিনি শিখে নেন ক্লাসিক্যাল ভাষাগুলো। চৌদ্দ বছর বয়সে নিজের পরিবার ছেড়ে তিনি চলে যান ফ্রান্সের আভিনিউয়ে পড়ালেখা করতে। সেখানে ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়তেন তিনি। ক্লাসে প্রায়ই ক্যাথলিক যাজকদের সাথে বনিবনা হতো না তার। এরপর মিশেল চলে যান মঁঁপেলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে, সেখানে তিনি অধ্যয়ন শুরু করেন ওষুধবিজ্ঞান ও জ্যোতিষবিদ্যা। তৎকালীন সময়ে অবাক করা কিছু ছিল না এটি।

 টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা নস্ট্রাডামুস

১৫২২ সালে তিনি গ্র্যাজুয়েট করার পর থেকে নিজেকে নস্ট্রাডামুস নামে ডাকতে থাকেন, এটা আসলে তার নিজের নামের লাতিন সংস্করণ। ডাক্তার জীবনের প্রথম কয়েক বছর কাটল ফ্রান্সে ঘুরে ফিরে। তখন ‘লে শার্বন’ (কার্বন বা কয়লা) নামের প্লেগ ছড়িয়ে পড়েছিল আর তাতে ধ্বংস হয়ে যায় অনেক শহর ও গ্রাম। ধরাশায়ীদের দেহে কালো দাগ রেখে যেত বলে এ রোগের এমন নাম হয়। কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছিল না রোগটির। ডাক্তাররা তখন রোগীদের রক্ত নিঃসরণ করাত এই আশায় যে, রক্তের সাথে রোগের জীবনী যেন বেরিয়ে যায়। তখন নস্ট্রাডামুস বললেন, রোগীদের প্রয়োজন আসলে মুক্ত সজীব বাতাস ও পানি। লো-ফ্যাট ডায়েট ও পরিষ্কার বিছানার কথাও বললেন তিনি। তিনি যে ওষুধ দিতেন পরে জানা যায় এতে ছিল প্রচুর ভিটামিন সি। শহরের পর শহর তার চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠল। তবে ইনফেকশন নিয়ে তার প্রচারিত বিশ্বাস ছিল চার্চের কথার পরিপন্থী, এজন্য তাকে ধর্মবিরোধী হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ভয়ও ছিল।

নস্ট্রাডামুসের এ সাফল্যে দূরদূরান্তে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি দক্ষিণ ইউরোপে দেখা হওয়া ডাক্তারদের তালিকা নিয়ে বই লেখেন। ১৫২৯ সালে তিনি তার সেই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়ে যান। সেখানে এরপর তিনি তিন বছর শিক্ষকতা করেন। কিন্তু রোগ নিয়ে তার অদ্ভুত ধারণাগুলোর সমালোচনার কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে হয়। ফ্রান্সের আগেন শহরে বিয়ে করে তিনি স্থায়ী হন। তার দুই সন্তান হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত প্লেগের উৎপাত ফিরে আসে। যখন নস্ট্রাডামুস ডাক্তার হিসেবে অন্যদের শুশ্রূষা করছিলেন তখন তার নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তান প্লেগে মারা গেলেন। নিজের পরিবারকে বাঁচাতে না পারায় লোকে তাকে অপবাদ দেয়া শুরু করল। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীর যৌতুক ফিরিয়ে দিতে মামলা দিয়ে দেয়া হয়।

 টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা নস্ট্রাডামুস

এর পরের বছরগুলো দক্ষিণ ইউরোপ ঘুরে বেড়ালেন নস্ট্রাডামুস। ভারী বর্ষণের কারণে ১৫৪৪ সালে আবারও প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ফ্রান্সে। আবারও নিজের দক্ষতায় একটি শহরে রোগ থামিয়ে ছড়ানো প্রতিহত করায় নস্ট্রাডামুসের সুখ্যাতি আবারও ছড়িয়ে পড়ল। এবার তিনি চলে গেলেন ফ্রান্সের সালোনে। সেখানে নিজের মেডিক্যাল প্র্যাক্টিস শুরু করেন, আবার বিয়ে করে নতুন করে সংসার শুরু করলেন। রাতের বেলা তিনি এক পিতলের পাত্রে পানি ও ভেষজ লতাপাতা ভর্তি করে তার সামনে বসে ধ্যান করতেন। একপর্যায়ে তিনি তন্দ্রায় চলে যেতেন এবং ভবিষ্যতের পৃথিবীর দৃশ্য দেখতেন বলে বর্ণিত আছে।

এ ‘ভিশন’ বা ভবিষ্যতের দৃশ্যগুলো তিনি লিপিবদ্ধ করা শুরু করলেন পঞ্জিকার মতো করে। পরের বছরগুলোতে কী কী হবে না হবে তা সেখানে লেখা ছিল। ১৫৫০ সাল থেকে ১৫৬৫ সাল পর্যন্ত এরকম পঞ্জিকা তিনি প্রকাশ করলেন। জনগণের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয় সেগুলো।পরবর্তী সময়ের খুব বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা চার চরণের হেঁয়ালির ছলে তিনি লিখে যেতেন, যেগুলো পরে ‘ইন্টারপ্রেট’ বা অনুবাদ করতে হত। একদিক দিয়ে সেটা যেমন তার ভবিষ্যৎবাণী ‘মিলবার’ ব্যাপারে সহায়ক, আরেক দিক দিয়ে শাসকেরা তার লেখাগুলোর সঠিক অর্থ উদ্ধার করে যেন তাকে মৃত্যুদণ্ড না দেন সেটাও খেয়াল রাখেন তিনি। তাছাড়া জাদুটোনার অপবাদ উপেক্ষা করার ক্ষেত্রেও কাজে দিয়েছিল হেঁয়ালি।

 টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা নস্ট্রাডামুস

১৫৫৪ সালে তিনি ‘Centuries‘ লেখা শুরু করেন। প্রথম সাত খণ্ড পরের বছর প্রকাশিত হয়, এরপরের খণ্ডগুলোও তিনি লিখে ফেলেন। কিন্তু বলে দিলেন, তার মৃত্যুর আগে যেন এগুলো প্রকাশ না করা হয়। প্রথমবারে যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৫ সালে, সেখানে ৩৫৩টি ভবিষৎবাণী ছিল। ১৫৫৮ সালে আরো তিনশ নতুন ভবিষ্যৎবাণী সেখানে যুক্ত করা হয়। এগুলোর নাম ছিল ‘The Prophecies‘; আর তার মৃত্যুর পর যেটি মুক্তি পায় অবশেষে সেখানে ছিল ৯৪২টি ভবিষ্যৎবাণী, যার মাঝে ৯৪১টিতে ছন্দ ছিল, একটিতে ছিল না। এটিই Centuries। তখনকার প্রিন্টিং ব্যবস্থা এমন ছিল যে, যেকোনো দুটো কপিও একরকম হতো না। তাই আজও একই রকম দুটো বই পাওয়া যায় না সে সময়ের। এবার তাহলে দেখে নেয়া যাক ২০১৮ সাল নিয়ে তার কিছু ভবিষ্যদ্বাণী।

  • দুটি শক্তিধর দেশের মধ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হবে যা ২৭ বছর স্থায়ী হবে। শেষ হবে সেই বছর যে বছর মহাকাশে দৈত্যাকার ধূমকেতুর আবির্ভাব হবে। মনে করা হচ্ছে নস্ট্রাডামুস তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করছেন। এ বছরই কি তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে চলেছে?
  • নিউক্লিয়ার সন্ত্রাস এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হবে পৃথিবী। ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত এবং বৈশ্বিক উষ্ণতায় মানুষের জীবনহানি ঘটবে।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম প্রান্তে ঘটে যাবে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয় যা সারা পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দেবে।
  • ২০১৮তে সারা পৃথিবীজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার সূচনা হবে।

About farzana tasnim

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *