যে মিথ্যাগুলোকে এতোদিন সত্য ভেবে এসেছিলেন ! – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / যে মিথ্যাগুলোকে এতোদিন সত্য ভেবে এসেছিলেন !

যে মিথ্যাগুলোকে এতোদিন সত্য ভেবে এসেছিলেন !

মানুষ সত্যের পূজা করে, সবসময় সত্যের মাঝে থাকতে চায়। এজন্যই হয়তো বলা হয়ে থাকে যে মানুষ সবসময় সত্যের পূজারী। তবে জ্ঞাত কিংবা অজ্ঞাতসারেই হোক না কেন, আমাদের মনের অজান্তে বেশ কিছু মিথ্যেকে আমরা সত্য বলে জেনে এসেছি। এদের মাঝে কিছু কিছু নেহাতই কুসংস্কার, আবার কিছু কিছু রয়েছে ইচ্ছেকরেই শিখিয়ে দেয়া মিথ্যা তথ্য। যেমন ধরুন, মঙ্গলবারে হাতের নখ কাটতে নেই, শনিবারে অনেকের কপালেই খারাপ কিছু জোটে, বছরের শুরুর দিনটি যদি খারাপ যায় তাহলে পুরো বছরটিই খারাপ যাবে- এমন সব হাজারো মিথ্যে কিংবা কুসংস্কার দিয়ে আমাদের মন মননকে তৈরি করা হয়েছে। আজ আপনাদের এমনই কিছু তথ্য বলব, যেগুলো এতোদিন সত্য বলেই ধরে এসেছেন।

১) নেপোলিয়ন খাটো ছিলেন

নেপোলিয়নের উচ্চতা ছিল পাঁচ ফিট ছয় ইঞ্চি, যা ঐ সময়কার সাধারণ গড়পড়তা ফ্রেঞ্চদের তুলনায় বেশিই ছিল।

২) খাবার খেয়ে কখনো সাঁতার কাটতে নেই

এটি অনেকেই ধারণা করেন যে খাবার খেয়ে সাঁতার কাটলে ডুবে যাবার আশংকাই বেশি। মূলত, খাবার কখনো সাঁতারে সমস্যা করে না। শরীরে অ্যালকোহলের পরিমাণ বেশি থাকলে সেটিই শরীরের পেশীগুলোকে অসাড় করে দেয়। ভরা পেটে থাকলে বড়জোর শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে যেতে পারে।

৩) পানিতে লবণ দিলে তা তাড়াতাড়ি গরম হয়

এক চিমটি লবণ কখনোই পানিকে গরম করতে সাহায্য করে না; বরং এটি পানির গরম হওয়া আরো প্রলম্বিত করে।

৪) তেল পাস্তার আটকে থাকাকে রোধ করে

আমরা অনেকেই পাস্তা বেশ মজা করে, শখ করে খেতে পছন্দ করি। অনেকে মনে করেন, তেল পাস্তার আটকে থাকাকে বিরত রাখে। এটি একটি ভুল ধারণা। পাস্তা খাবার সময় যদি চামচের সাহায্যে তা প্রথমেই নেড়েচেড়ে নেয়া হয়, সেটিই বরং পাস্তার আটকে থাকাকে রোধ করে বেশি।

৫) মাথার বাঁ দিকে বুদ্ধিমত্তা না ডানদিকে?

আমাদের মস্তিষ্কে লেফট হেমিস্ফেয়ার ও রাইট হেমিস্ফেয়ার বলে দুটো ভাগ আছে। অনেকে বলে থাকেন ডান দিকে বুদ্ধিমত্তা থাকে, অনেকে বলে বাঁ দিকে। ঘটনাটি মোটেও তা নয়। আমাদের ডান দিকের সকল কার্যাবলীর আদেশ লেফট হেমিস্ফেয়ারের আওতায় ও বাঁ দিকের সকল কার্যাবলীর আদেশ রাইট হেমিস্ফেয়ারের আওতায়।

৬) মাথার ওপর পয়সা পড়লে মৃত্যু

ওপর থেকে কারো মাথায় যদি পয়সা পড়ে, তাহলে অনেকেই ভাবেন যে এর ফলে মৃত্যু হতে পারে। তবে একটি পয়সার গতি প্রতি ঘন্টায় ৩০-৫০ মাইল। এর ফলে মৃত্যু ঘটবার আশংকা খুবই কম। তবে মাথায় চোট ঠিকই পেতে হবে!

৭) তিন জ্ঞানী মানুষ

অনেকে কথায় কথায় তিন জ্ঞানী লোকের উদ্ধৃতি দিয়তে থাকেন। তবে বাইবেলে কখনো তাদের সংখ্যা যে তিনজনই ছিল, তা স্পষ্ট করে বলা হয় নি।

৮) কুকুর জিভ বের করে ঘামে

কুকুরকে গরমকালে জিভ বের করে আমরা অনেকেই দেখি। কেউ কেউ ভাবেন এর সাহায্যে কুকুর ঘামে। মূলত তা নয়। গরমকালে জিভ বের করে কুকুর শরীরের তাপমাত্রাকে নিজের জন্য সহনীয় একটি পর্যায়ে আনতে চেষ্টা করে মাত্র। কুকুর তাদের পায়ের তালুর সাহায্যে ঘামে। অর্থাৎ, কুকুরের ঘাম নিঃসৃত হয় তাদের পায়ের তালু থেকে।

৯) আইনস্টাইন গণিতে অকৃতকার্য হয়েছিলেন

গণিতে কেউ খারাপ করলে আমরা অনেকেই বড় গলায় বলি যে আইনস্টাইনও তো গণিতে ফেল মেরেছিলেন। আসলে আইনস্টাইন তার এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন। কিন্তু গণিতে তিনি বরাবরই প্রচন্ড ভালো ছাত্র ছিলেন। কখনো ফেল করেন নি।

১০) আমাদের ইন্দ্রিয় পাঁচটি

এতোদিন আমরা জেনে এসেছি আমাদের ইন্দ্রিয় পাঁচটি। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বলছেন আমাদের মোট ইন্দ্রিয় ২১টি! এর মাঝে ভারসাম্য, ব্যথা ও তাপমাত্রাও রয়েছে।

১১) টিকার কারণে অটিজম হয়ে থাকে

অনেকে মনে করেন ছোটবেলায় মাত্রাতিরিক্ত টিকা দেয়া হলে শিশু অটিজমে ভোগে। বিজ্ঞানীরা বিস্তর গবেষণার মাধ্যমে এই তথ্যকে নাকচ করে দিয়েছেন।

১২) অ্যালকোহল মস্তিষ্কের কোষগুলোকে মেরে ফেলে

অ্যালকোহল পান করলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যায় এটি অনেকে জানেন। তবে অ্যালকোহলের ফলে মস্তিষ্কের কোষ মারা যায় না; শুধুমাত্র এগুলো আস্তে আস্তে অকেজো হয়ে যায় (তবে মস্তিষ্কের কোষ অকেজো হয়ে যাওয়া আর মৃত হওয়া, এর মাঝে খুব বেশি তফাত নেই, তাই না?)

১৩) ঘুমিয়ে যারা হাঁটে, তাদের জাগানো উচিত নয়

অনেকেরই ঘুমের মাঝে হাঁটার অভ্যাস আছে, যাদের আমরা স্লিপওয়াকিং বলে থাকি। কেউ কেউ বলেন, ঘুমন্ত এসব মানুষদের কখনো জাগিয়ে তোলা উচিত নয়। বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে বলেছেন বরং উল্টোটাই আমাদের করা উচিত, তা না হলে এই ঘুমন্ত মানুষেরা নিজেদের বড় ধরনের কোনো ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে।
(রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে)

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *