রাজ পরিবারের সদস্যদের মত হওয়াটা বোধহয় খুব সহজ নয়। একে তো গায়ে রাজ পরিবারের রক্ত নেই, তার উপর তাদের রীতিনীতিও কিন্তু বেশ কঠোর। খাওয়া-দাওয়া, হাঁটাচলা থেকে শুরু করে তাদের শব্দ উচ্চারণের মধ্যেও রয়েছে ভিন্নতা। তাদের রয়েছে একেবারেই নিজস্ব শব্দ ভাণ্ডার, যাকে কিনা বলে “সিক্রেট কোড”।
রাজ পরিবারে আগত সদস্যদের শুরুতেই জেনে নিতে হয় কোন শব্দটি উচ্চারণ করা যাবে আর কোন শব্দটি কখনই মুখে আনা যাবে না। চলুন দেখে আসা যাক, ব্রিটিশ রাজ পরিবারে গেলে কোন শব্দগুলো কখনই আপনার কানে আসবে না।
১. টয়লেট
যদি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয় তবে আপনাকে অবশ্যই যেতে হবে “lavatory” বা ল্যাভেটরিতে। মহামান্য রাণী কিংবা রাজপুত্ররা কেউই যে কখনও টয়লেটে যাওয়ার কথা বলেন না। ছোটবেলা থেকে তারা শিখে আসেন টয়লেট শব্দটি তাদের জন্য নয়, সাধারণ জনগণের জন্য।
২. পারডন
যদি আপনার কথা প্রিন্স উইলিয়ামস শুনতে না পান তবে তিনি সরাসরি আপনাকে প্রশ্ন করবেন “what?” বা “কি?” বলে। সরি বা পারডনের মত শব্দগুচ্ছ উচ্চশ্রেণীর লোকের জন্য নয়, এসব শব্দ তো ব্যবহার করবেন জোর করে ভদ্রলোক সাজার চেষ্টা করা সম্প্রদায়।
৩. কাউচ
রাণী এলিজাবেথ সারাদিন অলসভাবে কাটিয়ে দিতে পারেন সোফায় বসে তবে তাকে আপনি কখনই কাউচের উপর দেখতে পাবেন না। কেননা রাজবাড়িতে এই নামের কোন আসবাবপত্রই যে নেই।
৪. লিভিং রুম
বাকিংহ্যাম প্যালেসের যে ঘরে সোফা থাকে সেই ঘরকে আপনি চাইলে “ড্রয়িং রুম” বা “সিটিং” বলতে পারেন তবে “লাউঞ্জ”, “ডেনস” কিংবা “লিভিং রুম” বলা একদম বারণ।
৫. ড্যাড
আপনার পরিচিত যেকোনো ব্রিটিশ শিশু তাদের বাবা-মাকে “মম” এবং “ড্যাড” বলে ডাকছে সেটি শুনেই হয়ত আপনি অভ্যস্ত। তবে এখানেও ব্যতিক্রম ব্রিটিশ রাজ পরিবার। সেখানে মাকে বলা হয় “মাম্মি” এবং বাবাকে বলা হয় “ড্যাডি”। এর অন্যথা রাজ পরিবারে কখনই বরদাস্ত করা হবে না।
৬. পারফিউম
সবার প্রিয়মুখ প্রিন্সেস ডায়ানা “সেন্ট” খুব পছন্দ করতেন, “পারফিউম” নয়।
৭. প্যাটিও
প্রিন্স জর্জ এবং প্রিন্সেস শারলট যদি বাইরে কোথাও যাওয়ার বায়না ধরেন তবে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় “ট্যারেসে”, “প্যাটিও”তে নয়।
৮. পশ
যদি এই শব্দ ভাণ্ডার জেনে নিজেকে আপনার “পশ” মনে হয় তবে আবার ভুল করছেন আপনি। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্যরা কখনও পশ হয় না, তারা সবাই “স্মার্ট”!
তথ্যসূত্রঃ কসমোপলিটন ডট কম