গণিত! নানা ধরণের মজার মজার বিষয় রয়েছে গণিতকে নিয়ে। কেউ গণিতে প্রচন্ড ভয় পান, আবার কেউ সারাদিন গণিতেই বুঁদ হয়ে থাকতে পছন্দ করেন। অনেক বিজ্ঞানী বলেন যে, পুরো পৃথিবীটাই একটি মস্ত বড় গণিত। গণিত যেমন নির্দিষ্ট সূত্র মেনে চলে, ঠিক তেমনি পৃথিবীও গণিতের মত নির্দিষ্ট সূত্র মেনে চলে। তবে এত জটিল বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা নয়। আজ আপনাদের দেখানো হবে গণিতের মজার কিছু বিষয় নিয়ে।
১) পাইয়ের মান কত? আমরা সবাই জানি ৩.১৪১৬ পর্যন্ত অনেকদূর। দশমিকের পরের দুই ঘর পর্যন্ত পাইয়ের মান নিন। তারপর উলটে মজাটা নিজেরাই পরখ করে দেখুন।
২) সূর্যমুখী ফুলের চক্রাকার যে সূত্রটি রয়েছে, তা ফিবোনাচি সিকুয়েন্স মেনে চলে। ফিবোনাচি সিকুয়েন্স হচ্ছে এমন একটি সংখ্যারাজি যার তৃতীয় সংখ্যাটি পূর্বের দুইটি সংখ্যার যোগফল। যেমনঃ
০+১=১
১+২= ৩
২+৩=৫
৫+৩= ৮ এভাবে চলতে থাকবে।
৩) একটি পিজ্জার ব্যাসার্ধ যদি z এবং উচ্চতা যদি a হয়, তাহলে এর আয়তন হবে পাই*z*z*a
৪) ইংরেজি Hundred শব্দটি এসেছে Hundrath নামক শব্দটি থেকে। এর মানে হচ্ছে ১২০!
৫) ১১১১১১১১১*১১১১১১১১১ গূন করে দেখুন তো কত আসে? উত্তরটা বেশ মজার। উত্তর হচ্ছে-
১২৩৪৫৬৭৮৯৮৭৬৫৪৩২১। কিছু খেয়াল করতে পারলেন কি?
৬) জন্মদিন খুবই মজার একটি বিষয়। আরো মজা বেড়ে যায়, যখন সেখানে গণিত এসে উপস্থিত হয়। বিজ্ঞানীরা একটা পরিসংখ্যানে বলেছেন যে কোন ঘরে যদি একসাথে ২৩ জনকে রাখা হয়, তাহলে তাদের মাঝে ৫০% সুযোগ আছে যে দুইজনের জন্মদিন একইদিনে হবে। আর যদি ৭৫ জনকে একসাথে রাখা হয় তাহলে সম্ভাবনাটা দাঁড়ায় ৯৯%!
৭) “শূন্য” হচ্ছে একমাত্র সংখ্যা যেটি রোমান সংখ্যায় প্রকাশ করা যায় না।
৮) মজার একটি সরল অঙ্ক দেখতে চান? (৬*৯)+ (৬+৯) = ৬৯
৯) একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ মানুষের প্রিয় সংখ্যা হচ্ছে ৭!
১০) প্রাচীনকালে মেয়েদের প্রকাশ করা হত জোড় সংখ্যার মাধ্যমে এবং ছেলেদের প্রকাশ করা হত বিজোড় সংখ্যার মাধ্যমে।
১১) যদি আপনি এক প্যাকেট তাসকে শাফল করেন তাহলে তা ঠিক যেরকম ভাবে ছিল, তা সম্পন্ন করতে এত সময় লাগবে যাতে সম্পূর্ণ পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস একবার দেখে নেয়া যাবে।
১২) সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয় ৭-কে। কারণ ১-১০ এর মধ্যে যে কয়টি সংখ্যা রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রকৃতির অনেক জায়গায় ৭ সংখ্যাটির ছোঁয়া রয়েছে। যেমন, ৭টি রংধনুর রং, মহাদেশ, সপ্তাহে ৭ দিন ইত্যাদি।
১৩) এশিয়ার অনেক দেশে যে সংখ্যাটিকে “অপয়া” বলে মনে করা হয়, তা হচ্ছে ৪। জাপানিজ, ক্যান্টনিজ, কোরিয়ান ইত্যাদি দেশে ৪ সংখ্যাটিকে যেভাবে উচ্চারিত করা হয়, তার কাছাকাছি অর্থ হচ্ছে মৃত্যু।