রাজস্থানের বুকে এক ভূতুড়ে গ্রাম ‘কুলধারা’ – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / রাজস্থানের বুকে এক ভূতুড়ে গ্রাম ‘কুলধারা’

রাজস্থানের বুকে এক ভূতুড়ে গ্রাম ‘কুলধারা’

ধরুন, আপনি কোথায়ও যাচ্ছেন। কাউকে জানিয়ে যাবেন কিংবা আপনি কোথাও যাচ্ছেন তার একটি ছাপ রেখে যাবেন। রাতের আঁধারে একজন নিরুদ্দেশ হতে পারে। চলচ্চিত্র কিংবা উপন্যাসের ভাষায় বলা যেতে পারে,

“সে তার পায়ের চিহ্নও কোথাও রেখে গেল না”

কিন্তু এমন যদি হয়, এক রাতে পুরো একটি গ্রামের অধিবাসীরা নিরুদ্দেশ হয়ে গেল? যাকে বলে একেবারে “ভ্যানিশ” হয়ে গেল? ব্যাপারটা কি খুব গোলমেলে লাগছে? বিশ্বাস হচ্ছে না? আপনার বিশ্বাস হোক বা না হোক, আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে কুলধারা নামের একটি গ্রাম বিরান হয়ে আছে। এটি পশ্চিম রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। গ্রামটির অস্তিত্ব আজো রয়েছে, কিন্তু গ্রামের মানুষ একরাতে কোথায় চলে গেল, তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছিল- তা আজো একটি অমীমাংসিত রহস্য! জয়সলমীর থেকে বেশি একটা দূরে নয় কুলধারা শহরটি। মোটে ১৫-১৭ কিলোমিটার এগোলেই হদিস মিলবে এই শহরের। এখন সেখানে কেউ থাকে না। থাকবার কথাও নয়। বিশ্বাস করা হয়, অভিশপ্ত এ শহরে গেলে কেউই প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে না। প্রায় ৩০০ বছর আগে এই শহরের গোড়াপত্তন করেছিল পালিওয়াল ব্রাহ্মণরা। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা ও দক্ষতার কারণে তারা বেশ সুনাম অর্জন করেছিল, পার্শ্ববর্তী আরো ৮৪টি গ্রামেও দারুণভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল কুলধারার এই খ্যাতি।

১৫০০ অধিবাসীদের এই গ্রামে একরাতে রাতারাতি সকলে উধাও হয়ে গিয়েছিল। রোগ নেই, শোক নেই, কিংবা কোন মহামারীও নেই। স্রেফ উধাও!

নানা ধরণের প্রচলিত গুজব রয়েছে কুলধারা গ্রাম নিয়ে। কেউ বলে থাকেন, জয়সলমীরের রাজার অধীনে এক অত্যাচারী দেওয়ান ছিল। তিনি একবার রাজ্য পরিভ্রমণে বের হয়ে কুলধারার এক গ্রাম্য নেতার মেয়েকে দেখে খুব পছন্দ করে ফেলেন। তিনি ঠিক করেন এই মেয়েকেই তিনি পত্নী হিসেবে গ্রহণ করবেন। নেতাকে দেওয়ান একটি সময়সীমা বেঁধেও দেন কন্যাকে তার হাতে তুলে দেবার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই নেতা এতে রাজি হন নি। দেওয়ান এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পারিষদ ও সামন্ত নিয়ে তুলে নিয়ে যায় দেওয়ানের মেয়েকে।
গ্রামের নেতারা তাদের এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে না পেরে ও নিজেদের সম্মানের কথা চিন্তা করে একরাতে পুরো পরিবার মিলে চলে যান গ্রাম ছেড়ে।

এই তত্ত্বটিও কালের আবর্তে হারিয়ে যায়। কারণ, একসাথে পুরো ১৫০০ মানুষ কোন ধরণের শব্দ না করে কিংবা ছাপ না রেখে চলে যেতে পারে না। কেউ কেউ বলেন পুরো গ্রামকে একবারে তুলে নিয়ে গিয়েছে ভিনগ্রহের প্রাণীরা।

আরো একটি গুজব প্রচলিত আছে যে, এই গ্রামে রয়েছে ৫০০ বছরের পুরনো একটি অভিশাপ। যে মানুষগুলো এই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তারা নাকি যেতে যেতে অভিশাপ দিয়ে গিয়েছিল কেউ যেন এই গ্রামে এসে বসবাস করতে না পারে। পরবর্তীতে নানা সাহসী ব্যক্তিবর্গ চেষ্টা করেছিল কুলধারা নামক এই গ্রামে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে গুজবটিকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে। কিন্তু তারা টিকতে পারে নি। একরাতেই তারা ভয়ে আতঙ্কে বের হয়ে যায়। বীভৎস শব্দ, নানা রঙয়ের অব্যাখাত আলো, মানুষের আওয়াজ তাদের মনে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এটি নিয়ে নানা ডকুমেন্টারি ও লেখালেখিও হয়েছে।

কিন্তু, ভারতের এই রহস্যজনক গ্রামটিতে আসলে কি হয়েছিল, তার মীমাংসা আজো হয় নি।

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *