চোখ রাখতে পারেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের যেই ৫ ভবিষ্যৎ তারকার উপর – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ক্রিকেট / চোখ রাখতে পারেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের যেই ৫ ভবিষ্যৎ তারকার উপর

চোখ রাখতে পারেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের যেই ৫ ভবিষ্যৎ তারকার উপর

অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটকে বলা হয় ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক তারকাদের সূতিকাগার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাতাচ্ছেন যারা, তাদের অনেকেই উঠে এসেছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে। হালের ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি, শিখর ধাওয়ানরা বেরিয়েছেন এই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ মাতিয়েই। আজ থেকে নিউজিল্যান্ডে শুরু হয়েছে আরেকটি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপ থেকে উঠে আসতে পারেন, এমন পাঁচ ভবিষ্যৎ তারকার কথা বলেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। প্রিয়লেখার পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হল।

আফিফ হোসেন (বাংলাদেশ):

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ ডেমিয়েন রাইটের দৃষ্টিতে তিনি এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে প্রতিভাবান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আফিফের হাতে প্রায় সব ধরনের শটই আছে। যেই আত্মবিশ্বাসের সাথে তিনি ব্যাট করেন, সেটিই নজর কেড়েছে বিশেষজ্ঞদের। মূলত একজন ব্যাটসম্যান হলেও আফিফ প্রথম লাইমলাইটে আসেন ২০১৬ বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়ে বিপিএলের ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে। ৫ উইকেটের মধ্যে ছিল ক্রিস গেইলের উইকেটটিও। মাত্র ১৭ বছর ৭২ দিন বয়সে ৫ উইকেট নিয়ে আফিফ হয়ে যান স্বীকৃত টি-২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে ৫ উইকেট নেয়া বোলার। মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, আব্দুর রাজ্জাকদের মত ক্রিকেটার বের হয়ে এসেছে যেই প্রতিষ্ঠান থেকে, সেই বিকেএসপি থেকেই উঠে এসেছেন আফিফও। এই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ছাড়িয়ে ভবিষ্যতের জন্যও আফিফের দিকে নজর রাখবে বাংলাদেশ ক্রিকেট।

শাহীন আফ্রিদি (পাকিস্তান): 

তার অ্যাকশনকে এর মধ্যেই মিচেল স্টার্কের সাথে তুলনা দেয়া আরম্ভ হয়েছে। বাঁহাতি পেসার শাহীন আফ্রিদি প্রথম স্পটলাইটে আসেন কায়েদে আজম ট্রফিতে খান রিসার্চ ল্যাবরেটরির হয়ে রাওয়ালপিন্ডির বিপক্ষে এক ম্যাচে ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট অভিষেকে এটি যেকোনো পাকিস্তানি বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। শাহীনের পরিবারে অবশ্য তিনিই প্রথম ক্রিকেটার নন। শাহীনের বড় ভাই রিয়াজ পাকিস্তানের ২০০৪ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলেছেন একটি টেস্টও।

শাহীনকে প্রথম নির্বাচন করা হয় ২০১৫ সালে একটি অনূর্ধ্ব ১৬ ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামে। টুর্নামেন্টে ১৬.১৭ গড়ে ১৫ উইকেট নিয়ে তিনি হন তার অঞ্চলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। হাইপারফরম্যান্স ক্যাম্পে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় নির্বাচকদের নজরে আসেন শাহীন। পেস এবং ফিটনেস দিয়ে জায়গা করে নেন অস্ট্রেলিয়াগামী পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব ১৬ দলে। গত মৌসুমে বিপিএলের দল ঢাকা ডায়নামাইটসের সাথে দুই মৌসুমের চুক্তিও করেছেন এই উদীয়মান পেসার।

শুবমান গিল (ভারত): 

ভারতের এবারের দলের সবচেয়ে বড় তারকা সম্ভবত অধিনায়ক প্রিথ্বী শ, তবে আলাদাভাবে তাক লাগানোর ভালো সম্ভাবনা আছে ৩ নম্বরে ব্যাট করা শুবমান গিলেরও। এই টুর্নামেন্টের জন্য রাহুল দ্রাবিড়ের পরিকল্পনায় অনেক দিন আগে থেকে বেশ ভালোভাবেই আছেন শুবমান। এরই মধ্যে পাঞ্জাবের রঞ্জি ট্রফির দলে জায়গা পেয়ে গেছেন তিনি। রঞ্জির জন্য অনুশীলন করতে গিয়ে আঘাত না পেলে শুবমান জায়গা পেতেন আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডগামী ভারত ‘এ’ দলেও।

বয়সভিত্তিক দলে মোটামুটি নিয়মিত মুখ শুবমান। ২০১৪ সালে পাঞ্জাবের আন্তঃবিভাগীয় অনূর্ধ্ব ১৬ টুর্নামেন্টে ৩৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন, নির্মল সিংয়ের সাথে মিলে গড়েছিলেন রেকর্ড ৫৮৭ রানের ওপেনিং জুটি। বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে পাঞ্জাবের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৬ রাজ্যদল অভিষেকে অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ওই বছরেরই শেষভাগে নিজের আইডল বিরাট কোহলির সাথে স্টেজ শেয়ার করেন, সেরা জুনিয়র ক্রিকেটারের পুরষ্কার জেতেন বিসিসিআইয়ের থেকে। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ টানা দুই মৌসুমে এই পুরষ্কার পান শুবমান।

ভারত অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে শুবমানের প্রথম বড় পরীক্ষা ছিল ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ড সিরিজ। সেই পরীক্ষায় ভালোভাবেই পাশ করেছেন তিনি, চার ইনিংসে ৩৫১ রান করে জিতেছেন ম্যান অফ দ্য সিরিজের পুরষ্কার। পরে ইংল্যান্ডে ফিরতি সিরিজে গিয়েও রান পেয়েছেন, ৪ ইনিংসে করেছেন ২৭৮ রান। শুবমানের নৈপুণ্যে দুটো সিরিজই জিতেছিল ভারত।

মুজিব জাদরান (আফগানিস্তান): 

বাংলাদেশী ক্রিকেট সমর্থকদের এই নামটির সাথে এরই মধ্যে পরিচয় হয়ে যাওয়ার কথা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে তো কম দুঃস্মৃতি উপহার দেননি ১৬ বছর বয়সী এই স্পিনার!

আফগানিস্তান কোচ অ্যান্ডি মোলসের চোখে মুজিব হল ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’। ট্র্যাডিশনাল অফস্পিনের সাথে লেগস্পিন ও গুগলি মিলিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে আতঙ্ক হয়ে ওঠার ক্ষমতা আছে মুজিবের। রাশিদ খানের পর আরো একজন রহস্য স্পিনার পেয়ে গেল কিনা আফগানিস্তান, শুরু হয়ে গেছে সেই আলোচনাও।

বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে যাওয়া আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন মুজিব। সিরিজের ৪র্থ ওয়ানডেতে তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই মাত্র ১৩৩ রান করেও জিতে যায় আফগানিস্তান। নয় ওভারের স্পেলে মাত্র ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মুজিব, যুব ওয়ানডেতে যা দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। সিরিজে মোট ১৭ উইকেট পেয়েছিলেন মুজিব, কোন দ্বিপাক্ষিক যুব ওয়ানডে সিরিজে যা সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। মুজিবের এমন বিস্ময়কর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে গত বিপিএলে তাকে দলে ভিড়িয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

মুজিব এরপর বিস্ময়কর পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন আরও বড় লেভেলেও। অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে মুজিবের ৫ উইকেটেই পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আফগানিস্তান। এর আগে সেমিফাইনালে নেপালের সাথেও নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। টুর্নামেন্টে মাত্র ৫ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন মুজিব জাদরান।

জেসন সাঙ্ঘা (অস্ট্রেলিয়া): 

ডারউইনে ২০১৬ সালে স্কুল স্পোর্টস অস্ট্রেলিয়ান কার্নিভালে প্রথম আলোতে আসেন জেসন সাঙ্ঘা। এর আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে ৫ ম্যাচে ৪ ফিফটি করেও আলোচনায় আসেন তিনি। তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হয়ে ২০১৬-১৭ মৌসুমে তার সাথে রুকি চুক্তি করে নিউ সাউথ ওয়েলস দল, অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে এই চুক্তিভুক্ত হন জেসন।

বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তার পারফরম্যান্স দেখে বিগ ব্যাশের ষষ্ঠ এডিশনে তার সাথে চুক্তি করে সিডনি থান্ডার্স। এর আগে যুব দলের অর্জুন নায়ারকেও সই করিয়েছিল দলটি। ২০১৬ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের খেলার কথা ছিল তার, শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়া দল বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিলে খেলা হয়নি তার।

নভেম্বর ২০১৭ তে আরেকটি কীর্তি গড়েন সাঙ্ঘা। অ্যাশেজ পূর্ববর্তী ট্যুর ম্যাচে মাত্র ১৮ বছর ৭১ দিন বয়সে  ইংল্যান্ডের পেস অ্যাটাক সামলে সেঞ্চুরি করেন তিনি, ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে তাসমানিয়ার হয়ে ১৮ বছর ৩৯ দিন বয়সী রিকি পন্টিংয়ের সেঞ্চুরির পর যা রেকর্ড। শচীন টেন্ডুলকারের পর মাত্র ২য় কনিষ্ঠতম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

About Sanjoy Basak Partha

Check Also

এ.বি.ডি ভিলিয়ার্স: ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’র অবিশ্বাস্য কিছু রেকর্ড  

মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি নামটা তাঁর চেয়ে ভালো আর কারোর সাথে যাওয়া সম্ভব না। বল যেখানেই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *