বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা হাজার লিখতে গেলে সংক্ষেপে কে লিখে ছেড়ে দেই, যেমন ১০,০০০ বা ১০ হাজার না লিখে ১০কে লেখা এবং বলা হয়। না জেনেই অবচেতন মনে ট্রেন্ড অনুসরণ করতে গিয়ে আমরা অনেকেই কে কথাটি ব্যবহার করি। কিন্তু কের সাথে হাজারের কী সম্পর্ক তা কি আমরা কেউ ভেবেছি? শুনেছি তাই বলছি বা লিখছি, এমনটা না হয়ে বরং কেন হাজারের পরিবর্তে কে ব্যবহার করা হয় তার সঠিক উত্তর জেনে নেয়া যাক আজ।
কে কথাটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ ‘Chilioi’, ‘চিলয়’ বা ‘কিলয়’ থেকে। কিলয় কথাটি গ্রীকরা ব্যবহার করতো হাজার হিসেবে। কাজেই তারা ১০ হাজার টাকার জামা কিনে আনলে বলত জামাটির দাম ১০কে।
পরবর্তীতে ফ্রেঞ্চরাও ঐ একই গ্রীক শব্দ ‘কিলয়’কে তাদের শব্দভাণ্ডারে যোগ করে নেয়। তবে শব্দটিকে তারা একটু ছোট করে ‘কিলো’তে পরিণত করে। কিলো শব্দটি পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, বাংলাদেশেও কিলোগ্রাম বা কেজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একই ভাবে কিলোগ্রাম, কিলো টন, কিলো লিটারের ক্ষেত্রেও কিলো কথাটি যুক্ত হয়। খুব জলদিই সমগ্র পৃথিবী এই শব্দটি গ্রহণ করে এবং কিলোকে সংক্ষেপে শুধুমাত্র ‘কে’ দিয়ে প্রকাশ করে। সেই থেকে হাজারের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে কে ব্যবহার করা হয়।
বিবর্তনের ধারায় বানর থেকে মানুষ তৈরি হয়েছিল কিনা তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে, সে প্রসঙ্গে আমরা যাচ্ছি না। তবে কিলয় থেকে কিলো, কিলো থেকে কের বিবর্তন নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। টুকটাক এসব সাধারণ জ্ঞান জানা থাকলে তো ক্ষতি নেই। শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং, কাজেই বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করে নিন এই তথ্যটি। প্রিয়লেখার সাথেই থাকুন।