ক্রিশ্চিয়ানিটি ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হবার আগেও কিন্তু মানুষের মাঝে এক ধরনের উৎসবের আমেজ থাকতো। তবে সেটা বড়দিন পালনের নয়, শীতকে বরণ করে নেবার আয়োজন। আজ যেমন আমরা ক্রিসমাস ট্রি নানা ধরনের আলো কিংবা রঙিন জিনিস দিয়ে সাজিয়ে সুন্দর করে থাকি, ঠিক তেমনি আগের কালের মানুষও অনেক কিছুর সাহায্যে তাদের সাধের গাছ সাজিয়ে রাখতো। বড় বড় গাছের শাখা প্রশাখার সাহায্যে তারা ঘরের সৌন্দর্য বর্ধন করতো। আজ যেমন আমরা ক্রিসমাস পালন করে থাকি, আগের দিনের মানুষ পালন করতো শীত উৎসব। শীতকে রঙিনভাবে সাজিয়ে নেয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
আজ বাদে কাল ২৫শে ডিসেম্বর। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সারা পৃথিবীতে মহা ধুমধামের সাথে পালন করা হয়ে থাকে এই দিনটি। অফিস, আদালত, দোকানপাট সবকিছু গুটিয়ে রাখা হয় শুধুমাত্র এই একটি দিনের জন্য। এমনকি মাসভর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বিশ্বের বড় বড় দেশের বিভিন্ন শহর। আলো ঝলমল করতে শুরু করে সেখানে। তবে যাই বলুন না কেন, ক্রিসমাস ট্রি না থাকলে যেন বড়দিনের উৎসবই বৃথা। প্রত্যেক ঘরে ঘরে আলো ঝলমলে বাতির সাথে সাজানো হয় বড়দিনের গাছ।
আসুন, আজ এই বড়দিনের গাছ সম্পর্কেই কিছু মজার ও আকর্ষনীয় তথ্য জেনে নেয়া যাকঃ
১) ক্রিসমাস ট্রিকে আগে বলা হতো এভারগ্রীন ট্রি (চিরসবুজ বৃক্ষ)। ২০০০ বছর আগেও মানুষ এই বৃক্ষ সাজাতো। তাদের মতে, চিরসবুজ বৃক্ষ নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ আর সবুজের সমারোহ। সারাবছরই সবুজ থাকে এই বৃক্ষ।
২) ১৮৯০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ক্রিসমাস ট্রিতে বৈদ্যুতিক বাতির সাহায্যে আলো সংযোজন করা হয়। এর আগে মানুষ ছোট ছোট মোমবাতির সাহায্যে গাছে আলো জ্বালতো।
৩) পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনে বড়দিনের বৃক্ষে মাকড়সা ও মাকড়সার জালের মতো দেখতে বস্তুর সাহায্যে সাজানো হয়ে থাকে। তাদের ধারণায় মাকড়সা সৌভাগ্য বয়ে আনে।
৪) গাছ থেকে আমরা খাবার পাই, অক্সিজেন পাই, জ্বালানীর জন্য কাঠ পাই। এইজন্য মানুষ গাছের এই কৃতজ্ঞতা স্মরণে রাখবার জন্য বড়দিনের গাছে নানা ধরনের খাবার ঝুলিয়ে রাখে। বিস্কুট, কুকিজ, চকোলেট ইত্যাদি নানা ধরনের খাবার তারা সুতার সাহায্যে আটকে রাখে।