মোনালিসার নগ্ন চিত্রটি কি লিওনার্দোরই আঁকা? – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিকশন / মোনালিসার নগ্ন চিত্রটি কি লিওনার্দোরই আঁকা?

মোনালিসার নগ্ন চিত্রটি কি লিওনার্দোরই আঁকা?

ইতালীয় চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসা নিয়ে যেন রহস্যের শেষ নেই। কেউ কেউ বলে থাকেন, মোনালিসা শিল্পীর কল্পিত কোনো মানুষ। আবার কারও কারও দাবি, বাস্তবে মোনালিসা নামে কেউ একজন ছিলেন; যাঁকে দেখেই লিওনার্দো চিত্রকর্মটি করেছেন। এবার সেই জগদ্বিখ্যাত মোনালিসার নগ্ন একটি স্কেচ (চিত্রকর্ম) ফ্রান্সের প্যারিসের একটি শিল্প সংগ্রহশালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কাঠ-কয়লা দিয়ে আঁকা ১৫০ বছরের বেশি সময় আগের নগ্ন এই চিত্রকর্ম নিয়ে দ্বন্দে পড়ে গেছেন চিত্রশিল্প বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মোনা ভানা নামে পরিচিত চিত্রকর্মটি একসময় লিওনার্দো দা ভিঞ্চির (১৪৫২-১৫১৯) স্টুডিওতে ছিল। এর সঙ্গে মোনালিসার দেহাবয়বের অনেক মিল খুঁজে পাওয়ায় একে মোনালিসারই চিত্রকর্ম বলে দাবি করেছেন এক ফরাসি শিল্পবিশেষজ্ঞ। চিত্রকর্মটি প্যারিসের লুভর জাদুঘরে নিয়ে পরীক্ষার পর কিউরেটররা ধারণা করছেন, এর কিছুটা হলেও লিওনার্দোর আঁকা। অথচ দেড়শ বছর ধরে ভাবা হতো এটি ভিঞ্চির স্টুডিওর কোনো শিক্ষানবিশ শিল্পীর আঁকা একটি চিত্রকর্ম মাত্র। ১৮৬২ সাল থেকে প্যারিসের উত্তরের শ্যান্তিলে প্রাসাদে অবস্থিত কনডে জাদুঘরে রেনেসাঁস যুগের শিল্প সংগ্রহশালার মধ্যে পড়ে ছিল এটি।

লেওনার্দো দা ভিঞ্চি ছিলেন ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী। তেলরঙে আঁকা তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘মোনালিসা’ তাঁকে পৃথিবীর সেরা চিত্রশিল্পীর মর্যাদা দেয়। মোনালিসা শত শত বছর ধরে নানা রহস্যের জাল বুনে সময়কে অনেক পেছনে ফেলে এখনও আমাদের খুব কাছেরই একজন হয়ে আছে। সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় এটি জীবিত কোন মানব প্রতিকৃতি নয় কিন্তু তার চেয়েও বেশি আবেদনময়ী একজন মানবী হয়ে টিকে আছে আমাদেরই একজন হয়ে। তার বোঝা না বোঝা হাসির মাঝে লুকিয়ে আছে নানা রহস্য- যেটি দেখে সিগমুন্ড ফ্রয়েড থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরাও বিস্মিত হয়ে যান। চিত্রটিতে ইতালির তাসকানি অঞ্চলের অপূর্ব নিসর্গ আর একটি পড়ন্ত বিকেল অমর হয়ে রয়েছে। আলো ছায়ার খেলা এক নারীকে করেছে আরও রহস্যময়ী। শুধু মোনালিসার চেহারার অদ্ভুত অভিব্যক্তি নয় এই বিশ্বখ্যাত চিত্রের নারীর অজানা উৎস এটিকে আরও বেশি রহস্যময় করে তুলেছে যার সত্য ভেদ করা যায়নি কয়েক শ’ বছর ধরে।

ইংরেজী মোনা লিসা কিন্তু আমাদের দেশে মোনালিসা হিসেবেই বেশি পরিচিত। চিত্রকলার ইতিহাসে বহুকাল ধরে সবচেয়ে আলোচিত একটি চিত্রকর্ম। এটি সময়ের অভিযাত্রায় বিভিন্ন কারণে আরও বেশি একটি আলোচিত ও জনপ্রিয় একটি চিত্রকর্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কারও কারও মতে, বিখ্যাত এই ছবিটি মোনালিসার দ্বিতীয় পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ স্মরণে অঙ্কিত হয়। ফকরুল চৌধুরীর মতে পৃথিবীতে অনেক এমন অনেক মানুষ আছে যারা চিত্রকলায় জ্ঞান রাখে না কিন্তু মোনালিসাকে জানে। চিত্রটির এমন কিছু আছে যা আমাদের সঙ্গে কথা বলে, যা উন্মেচিত করে অনুভূতি, আবেগ ও স্বীকৃতি। অনেক শিল্প-গবেষক রহস্যময় হাসির এই নারীকে ফ্লোরেন্টাইনের বণিক ফ্রান্সিসকো দ্য জিওকন্দোর স্ত্রী লিসা গেরাদিনি বলে শনাক্ত করেছেন।

শিল্পকর্মটি ফ্রান্সের ল্যুভর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ইতিহাসবিদদের মতে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে একটি পাইন কাঠের টুকরোর ওপর মোনালিসার এই ছবিটি আঁকেন। মোনালিসার অতিপ্রাকৃত সৌন্দর্য অনেক কৌতূহল আর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। চিত্রকর্মের বাস্তব মানুষটির পরিচয় নিয়ে নানা অনুমান ও ধারণা প্রচলিত আছে যা আগে বলা হয়েছে। সর্বাধিক প্রচলিত মতটি হলো, ফোরেন্সের এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী তার স্ত্রী লিসা দেল জিওকন্দের প্রতিকৃতি আঁকার জন্য ভিঞ্চিকে দায়িত্ব দেন। আবার কেউ বলেন ভিঞ্চি নিজের স্ত্রীকে অনুকরণ করেই সৃষ্টি করেছিলেন এই অমর সৃষ্টি। কেউ কেউ আবার এর মধ্যে লিওনার্দোর মাকেও দেখতে পান। অনেক গবেষকের মতো এই চিত্রকর্মের পেছনে রয়েছে ভিঞ্চির প্রেমিকা। কিন্তু কেউ পুরোপুরি সত্যটি যা এই চিত্রটি আঁকার পেছনে রয়েছে তা বের করতে পারেননি। ভিঞ্চি তার সব চিত্রের পেছনে আঁকার কারণ লিখে রাখলেও মোনালিসার ব্যাপারে ছিলেন একবারেই নীরব।

জাদুঘরটির কিউরেটর ম্যাথিউ দেলদিকে এএফপিকে বলেন, নগ্ন স্কেচটি যে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির নিজের করা, এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘যেভাবে এই স্কেচটিতে মুখ ও হাতের অংশটি আঁকা হয়েছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা অবশ্যই কোনো সাধারণ চিত্রকর্ম নয়। আমরা এমন কিছু একটা দেখতে চলেছি, যা মোনালিসা আঁকার সময়ই তৈরি হয়েছিল। ছবিটি আঁকা হয়েছে ভিঞ্চির জীবনের শেষ ভাগে। তবে এটি দেখে মনে হয় মূল চিত্রকর্মটি আঁকার প্রস্তুতি হিসেবে ভিঞ্চি এই স্কেচটি এঁকেছিলেন।’ যত দূর সম্ভব তৈলচিত্রের জন্য এটি প্রস্তুতিমূলক একটি কাজ বলেও মনে করেন ম্যাথিউ।

যেসব বৈশিষ্ট্য দেখে চিত্রকর্মটি মোনালিসার, ম্যাথিউর মতে তা হলো—

*হাত দুটি এবং শরীর প্রায় অভিন্ন

*চিত্রকর্মটি প্রায় একই আকারের

*দেহের চারপাশের অবয়ব এক, যা একই ক্যানভাসকে চিহ্নিত করে

ল্যুভর জাদুঘরের সংরক্ষণবিশেষজ্ঞ ব্রুনো মাতিন নিশ্চিত করে বলেন, চিত্রকর্মটি ষোড়শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে লেওনার্দোর সময়কালের। অনেক উন্নত মানের চিত্রকর্ম এটি। এদিকে টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ‘টপলেস মোনালিসা’র পেছনের কারিগর সম্ভবত ইতালীয় শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি।

About farzana tasnim

Check Also

নোবেল বিজয়ীদের মজার ঘটনা!

নোবেল পুরস্কার! সারা বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানের একটি পুরস্কার। এটি শুধুমাত্র পুরস্কারই নয়, বরং এই পুরস্কার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *