এই বর্ষায় ট্যুর হয়ে যাক রাতারগুল আর বিছানাকান্দিতে – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ভ্রমণ / এই বর্ষায় ট্যুর হয়ে যাক রাতারগুল আর বিছানাকান্দিতে

এই বর্ষায় ট্যুর হয়ে যাক রাতারগুল আর বিছানাকান্দিতে

সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি বলতে যা বোঝায়, দৃশ্যটা যেন ঠিক তাই। ঘন নীল আকাশ। সামনে সারি সারি পাহাড়। পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের কুন্ডলী। হাত বাড়ালে যেন ছোঁয়া যায় ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ। মেঘের বুক চিরে নেমে আসা ঝর্ণা। নিচে নেমে জল ও পাথরের সম্পর্কে শোঁ শোঁ শব্দ। সেই জলই আবার মিশে যাচ্ছে পিয়াইনের সাথে। পাথরে পাথরে বন্ধুত্ব। পাথরে ও নদীতে মিতালি। পাথরে মানুষে জীবনযাপনের যুদ্ধ। চারিদিকে বিস্তৃত সবুজ। পাহাড়ে পাহাড়ে সবুজের জলকেলি। বিস্তীর্ণ  মাঠে সবুজের চাদর। এগুলো দৃশ্যকল্প নয়, সিলেটের বিছনাকান্দি জুড়ে এমন দৃশ্য যেন সত্যিই কেউ ফ্রেম বন্দি করে লটকে দিয়েছে আকাশের সাথে। দূর থেকে মনে হবে এই  মেঘ, এই মানুষ, এই পাহাড়-নদী কিংবা পাথরের স্থিরচিত্রই এগুলো। দুই পাশে আকাশচুম্বী পাহাড়, তার মাঝে বয়ে চলা ঝরনার স্রোত। পানি একেবারে পরিষ্কার, স্বচ্ছ, এবং টলমলে। আর ছোট-বড় নানান আকৃতি আর রঙের পাথর  তো আছেই। পানি এত স্বচ্ছ যে পানির তলার পাথর কিংবা নিজের ডুবে থাকা পা পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়। তো এই সৌন্দর্যের হাতছানিতে ঘেরা রাতারগুল কিংবা বিছানাকান্দিতে যাবেন কীভাবে আর খরচই বা কেমন হবে, তা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।

কিভাবে যাবেন:

১) ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন বা বিমানে করে সিলেটে যাওয়া যায়।মামুন,মোবারাকাঃ ৩৫০, অন্যান্যঃ ৪৭০ এর মতো। গ্রীনলাইনঃ ৯৫০-১১০০, ট্রেনঃ শোভন-২৬৫, চেয়ার-৩২০, এসি-৬৫০
২) সিলেট বন্দর বা শিশু পার্কের বা আম্বরখানার সামনে থেকে পাওয়া যায় গোয়াইনঘাটগামী লেগুনা অথবা সিএনজি  অটো রিক্সা। ভাড়া ৮০-১০০টাকা। গোয়াইনঘাট থেকে হাদারপার বাজার যেতে হবে  সিএনজি অটো রিক্সায়। ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। বর্ষায় সরাসরি  হাদারপার যাবেন ১২০ টাকা (জন প্রতি)। ওখান থেকে নৌকা নিয়ে যেতে হবে বিছনাকান্দিতে। ভাড়া যাওয়া আসা ৮০০-১০০০+ টাকা(মাঝে মাঝে ১৫০০-১৬০০)। তবে আম্বরখানার হয়ে যাওয়াই ভাল। আপনি চাইলে রাতারগুল+বিছনাকান্দিতে যেতে পারেন ভাড়া যাওয়া আসা ১৬০০+ টাকা (রিজার্ভ)। রাতারগুল নৌকা ভাড়া ৬৫০(ফিক্সড)। আপনি বলবেন যে রাতারগুল গ্রামের ভিতর যে ঘাট আছে ওখানে নিয়ে যেতে।

কখন যাবেন:

সারা বছর যাওয়া যায় তবে বর্ষা কালে গেলে রাতারগুল আর বিছানাকান্দির আসল রুপ দেখা যায়। বর্ষাকাল বলেই নৌকায় যাতায়াত করা যায়, শুকনা মৌসুমে এক ঘন্টার মত হাঁটতে হয়। জায়গাটায় পৌছার পর কিছুক্ষণ বিমুগ্ধ নয়নে শুধু চেয়ে থাকবেন আপনি। সত্যিকার অর্থেই ছবির চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর জায়গা দুটি। তবে বর্ষায় সাবধান থাকবেন, পানি আপনাকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। সাতার না পারলে কোমর পানিতেই থাকবেন।

কোথায় থাকবেনঃ

সিলেট শহরে থাকা খাওয়ার জন্য অনেক হোটেল আছে। মান ও অন্যান্য সুবিধা ভেদে ভাড়া ৫০০-৬৫০০ টাকা পর্যন্ত।

কোথায় খাবেনঃ

খাবার জন্য  শাহজালাল (রা.) দরগার আসে পাশে অনেক হোটেল আছে । তবে পাঁচ ভাই , পানশি ইত্যাদি খুব সুপরিচিত এবং বিছানাকান্দির হাদাড়পার বাজারে পাকশি রেস্টুরেন্টেও খেতে পারেন।

আশেপাশের দর্শনীয় স্থানঃ

লালাখালা, পান্থুমাই, লক্ষণছড়ার মতো বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান আছে। বর্ষা ছাড়া এসব জায়গায় আপনি যেতে পারবেন না, কারণ তখন পানি থাকে না।

টিপসঃ

১) গ্রুপ করে গেলে ভাল।

২) খাবারের জন্য আগে দাম জিজ্ঞেস করে নেয়া উচিত ।

৩) রিক্সা চালকদের ড্রাইভার বলে ডাকবেন, মামা বা অন্য কিছু না বলাই ভাল।

৪) বর্ষাকালে গেলে রেইন কোট, ছাতা নিয়ে যাবেন।

৫) ভারতীয় সিমান্তের কাছাকাছি তাই সীমান্তের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।

৬) আমাদের প্রকৃতি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের তাই বিছানাকান্দি বা রাতারগুলে কোন চিপস, চানাচুর বা পানির বোতল ফেলে আসবেন না।

তথ্যসূত্রঃ ট্রাভেলার্স অফ বাংলাদেশ

About farzana tasnim

Check Also

বিশ্বের বিখ্যাত কিছু পরিব্রাজকদের ইতিকথা

যান্ত্রিক এই শহরে সামান্য একটু ফুরসত পেলেই আমরা লোকালয় ছেড়ে একটু শান্তির সুবাতাসের জন্য বেরিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *