আপনার সন্তানের সাফল্যের পথে বাঁধা-আপনি নন তো! – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / অন্যান্য / আপনার সন্তানের সাফল্যের পথে বাঁধা-আপনি নন তো!

আপনার সন্তানের সাফল্যের পথে বাঁধা-আপনি নন তো!

প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সকল ত্যাগ স্বীকার করে থাকেন। সকল বাবা-মায়ের চাওয়া থাকে সন্তানের মঙ্গল। কিন্তু অনেক সময় বাবা মায়ের কিছু সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেয় ভাবে এতেই সন্তানের মঙ্গল কিন্তু শাপে বর হয়ে যায়। অনেক সময় অনেকে সফল হলেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসলেই কোন কিছু সম্ভব নয়। আবার এমনও দেখা যায় কোন অভিভাবক জীবনে সফল হলে তিনি মনে করেন তার বাবা মা তার সাথে যা করেছে সে যদি তার সন্তানদের সাথে তা করলে হয়ত তার সন্তানও সেই সফলতার পথে চলবে। অভিভাবকের কিছু আচরণ, কিছু সিদ্ধান্ত হয়ত সন্তানের সফলতার পথপ্রদর্শক না হয়ে সফলতার অন্তরায় হয়ে যায়।

নতুন কিছু করতে সন্তান কে বাঁধা দেওয়া

একটি শিশু যখন বেড়ে ওঠে তখন তার মাঝে কৌতূহল স্বভাবতই বেশি থাকে। সে নতুন বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারে। কিন্তু যখন তাঁকে তার কাজে বাঁধা দেওয়া হয় তখন সে জানার কিংবা নতুন কিছু করার আগ্রহটা হারিয়ে ফেলে। শিশুর কৌতূহলী মানসিকতাটাকে দমিয়ে না দিয়ে উৎসাহিত করুন। অভিভাবকের বাঁধা দেওয়াটাই পরবর্তীতে নতুন কিছু আবিষ্কারের পথে অন্তরায় হয়।

মাত্রাতিরিক্ত আদর

প্রত্যেক সন্তান বাবা মায়ের কাছে অতি আদরের। কিন্তু আপনার আদরের ফলাফল যেন এমন না হয় যে অতি আহ্লাদে জেদী হয়ে যায়। সন্তানরা হয় বাবা-মায়ের নয়ন মণি। সব অভিভাবকই চায় তার সন্তানকে সর্বোচ্চ সুখ দিতে। কিন্তু এমন যেন না হয় যে আপনার মাত্রাতিরিক্ত আদর আর আহ্লাদ আপনার সন্তানের জন্য খারাপ হয়। এমন যেন না হয় সে জীবন সম্পর্কে বুঝতে না পারে। প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে অক্ষম হয়। আপনি আজ আছেন কিন্ত কাল যে আপনি থাকবেন তা কিন্তু না। তাকে স্বাবলম্বী হতে দিন।

অতিরিক্ত শাসন

বকবেন না বুঝিয়ে বলুন

অতিরিক্ত আদর যেমন আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত শাসনও হয়ত আপনার সন্তানকে আপনার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারে। আপনি হয়ত ভাবছেন আমি দ্বিমুখী কথা বলছি। আসলেই তাই আপনার অতিরিক্ত আদর যেমন আপনার সন্তানের বিপথে যাওয়ার জন্য দায়ী তেমনি আপনার অতিরিক্ত শাসনের কারণে সে হয়ত আপনাকে ভয় পাবে এবং এমন কিছুর সাথে আপনাকে বলতেও পারবে না আর নিজে সমাধান করতে পারবে না ফলে সে বিপথে চলে যেতে পারে এবং তার প্রভাব তার পুরো ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।

সন্তানের আবেগ কে গুরুত্ব না দেওয়া

আপনি অভিভাবক আপনি সন্তানের সবসময় অবশ্যই মঙ্গল কামনা করেন। কিন্তু এটা ভুলে যাবেন না আপনার সন্তান কিন্তু আপনার মত ম্যাচিউর না। আপনি আমি প্রত্যেকে জীবনে কয়েকটা ধাপ পার করে বড় হই এবং এবং সবসময় আমাদের মানসিক বিকাশটা একরকম থাকে না। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এসে আমাদের সকলের মন মানসিকতার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এই বিশেষ সময়গুলোতে আপনার সন্তানকে বুঝুন, সময় দিন। তার যে নিজস্ব কিছু অনুভূতি রয়েছে তার গুরুত্ব দিন সে ভুল কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে বকাবকি না করে বুঝিয়ে বলুন। সহজে রেগে না গিয়ে ভালভাবে বুঝিয়ে বলুন।

বন্ধুত্ব করতে বাঁধা দেওয়া

সকলের সাথে মিশতে দিন

বড়দের একটা বদ্ধ ধারণা থাকে যে ছোটরা সঠিক বন্ধু নির্বাচন করতে পারেনা। ভুল সঙ্গী তাদের বিপথে নিয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণ না হলেও অনেকখানি ভুল কারন আপনি আপনার সন্তানকে ভালো-খারাপটা বুঝিয়ে বলেন দেখবেন সে অবশ্যই এমন কারো সাথেই মিশবে না যার সঙ্গ তার জন্য খারাপ। কিন্তু আপনি যদি শুরুতেই তাকে বাঁধা দেওয়া হয় তাহলে তার অনুভূতিতে আঘাত লাগাটাই কি স্বাভাবিক নয়? হয়ত দেখা যাবে সে একা থেকে থেকে সহজে কারো সাথে আর মিশতেই পারছে না।

অন্যের সাথে তুলনা করা

অন্যের সাথে তুলনা করবেন না আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে

সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকেই কর্মক্ষমতা দিয়েছেন তার মানে এই না যে আমরা সকলে সমান কাজ করতে পারি। আমাদের একেক জনের মস্তিষ্কের ধারন ক্ষমতা এক এক রকম আপনার বড় সন্তান হয়ত ক্লাসে গণিতে প্রথম আর ছোটটা গণিতে একটু কাঁচা এখন আপনি যদি সবসময় বড় জনের তুলনা ছোট জনকে দিয়ে থাকেন তাহলে হয়ত বা হিতে বিপরীত সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি। প্রথমত, যার সাথে তুলনা করবেন তার প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব তৈরী হয় পাশাপাশি আপনার প্রতিও সম্মানবোধ কমে যায় এবং নিজের কাছে ছোট হয়ে যায়। আত্মপ্রত্যয়ী হতে পারে না। সবসময় তার মনে হয় সে কিছুই পারে না। ফলে যা হয় হয়ত তার একটা সুন্দর ভবিষ্যত হতে পারত যদি আপনি তাকে উৎসাহিত করতেন তা না হয়ে সে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। অন্যের সাথে তুলনা না করে তাকে সম্ভাবনার পথ দেখান। সে তার সেরাটা আপনাকে উপহার দিবে।

বাবা-মা একমাত্র উৎস যাঁদের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর আলো দেখি তাঁরা অবশ্যই সর্বাবস্থায় সন্তানের সর্বোচ্চ সুখ কামনা করবেন। সংসার জীবনের ব্যস্ততা, সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া কিংবা সন্তানের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থেকে সন্তানকে উৎসাহিত করুন। আপনার সঠিক দিক নির্দেশনা আর অনুপ্রেরণায় পারে আপনার সন্তানকে সাফল্যের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে দিতে।

পাশে থাকুন সন্তানদের, পাশে রাখুন প্রিয়লেখা। সুন্দর সময় কাটুক প্রিয়লেখায়।

 

About Priyolekha

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *