এই ট্রান্সফার উইন্ডোর কথা নিশ্চিতভাবেই ভুলে যেতে চাইবেন বার্সেলোনা সমর্থকেরা। ‘নাইটমেয়ার’ বলতে যা বোঝায়, ঠিক যেন তাই ছিল এই ট্রান্সফার উইন্ডোটা বার্সার জন্য। নেইমারকে তো হারিয়েছেই, সাথে একের পর এক সাইনিং ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থ সাইনিংয়ের তালিকা এতই লম্বা যে, সেটা দিয়ে একটা আস্ত একাদশই গঠন করে ফেলা যায়! জনপ্রিয় ফুটবল ওয়েবসাইট গোল ডট কম সেই একাদশই বানিয়েছে।
গোলকিপার- এডারসন
ম্যানচেস্টার সিটি যোগাযোগ শুরুর আগেই বেনফিকার ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এডারসনের সাথে কথাবার্তা এগিয়েছিল বার্সেলোনার। কিন্তু সিটি ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিড নিয়ে আসলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে বার্সা।
ডিফেন্ডার- হেক্টর বেলেরিন
বেলেরিনের পেছনেই বোধহয় সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেছে বার্সেলোনা। গত মৌসুম থেকেই স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডারকে পেতে মরিয়া হয়ে ছিল বার্সা। কিন্তু নাছোড়বান্দা ওয়েঙ্গারের কারণে শেষ পর্যন্ত বেলেরিনকে না পেয়ে নেলসন সেমেডুর দিকেই হাত বাড়াতে হয়েছে বার্সাকে।
ডিফেন্ডার- ইনিগো মার্টিনেজ
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী আগস্টে ইনিগো মার্টিনেজের জন্য রিয়াল সোসিয়েদাদের সাথে যোগাযোগ করেছিল বার্সা। কিন্তু ২৬ বছর বয়সী ডিফেন্ডারকে ‘অপূরণীয়’ বলে আখ্যা দিয়ে বিক্রি না করার ঘোষণা দেয় সোসিয়েদাদ। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকতেও সক্ষম হয়েছে।
ডিফেন্ডার- ডেভিনসন সানচেজ
টটেনহামের বর্তমান রেকর্ড সাইনিং ডেভিনসন সানচেজকে পেতেও আগ্রহী ছিল বার্সেলোনা, কিন্তু সানচেজ নিজেই নাকি বার্সাকে উপেক্ষা করে টটেনহামে যোগ দিয়েছেন! এটাও বলেছেন, দলবদল করার সময় তিনি কেবল ফুটবলীয় ইস্যুই মাথায় রেখেছেন, কোন বাণিজ্যিক ইস্যু না।
ডিফেন্ডার- থিও হার্নান্দেজ
২০.২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে অ্যাটলেটিকো থেকে রিয়ালে যোগ দিয়েছেন থিও, কিন্তু রিয়ালের আগে বার্সার সাথেই থিওর যোগাযোগ হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, থিও নিজেই নাকি বার্সাকে প্রত্যাখ্যান করে রিয়ালে এসেছেন, যাতে করে তিনি তার ভাই লুকাসের কাছাকাছি থাকতে পারেন। থিওর ভাই লুকাসও অ্যাটলেটিকোতেই খেলেন।
মিডফিল্ডার- দানি সেবায়োস
আরেকজন খেলোয়াড় যিনি বার্সার বদলে রিয়ালকে বেছে নিয়েছেন। সেবায়োসের সাথে অবশ্য বার্সার ঝামেলা টা পুরনোই। স্পেনের জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সমর্থকেরা শিস বাজিয়েছিলেন, এরপরই বিস্ফোরক এক মন্তব্য করে বসেছিলেন সেবায়োস। কাতালান ও বার্ক সমর্থকদের ‘কুকুর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মিডফিল্ডার- মার্কো ভেরাত্তি
ভেরাত্তির পেছনে বার্সা বোর্ড কম সময় ধরে ঘুরেনি। একের পর এক বিড করেছে আর প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভেরাত্তিকে তো পায়ই নি, বরং পিএসজির কাছে হারাতে হয়েছে নেইমারকে।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার- অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া
শেষ দিনে এসে ডি মারিয়াকে সাইন করানোর মরিয়া একটা চেষ্টা চালিয়েছিল বার্সা, কিন্তু আর্জেন্টাইন তারকার জন্য ৬০ মিলিয়ন ইউরো চাওয়ায় পিএসজির সাথে চুক্তি হয়নি বার্সার।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার- ফিলিপে কুটিনহো
এই মৌসুমে বার্সার প্রধান টার্গেট ছিলেন কুটিনহো। চারবার বিড করেও কুটিনহোকে লিভারপুল থেকে আনতে পারেনি বার্সা বোর্ড। একপ্রকার বিদ্রোহ করেই নিজেদের সেরা প্লেয়ারকে ধরে রেখেছেন ক্লপ।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার- রিয়াদ মাহরেজ
ক্লাব ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মাহরেজ নিজেই, কিন্তু লেস্টার সিটির চাহিদা মোতাবেক কোন ক্লাবই পরিশোধ করতে রাজি হয়নি। মাহরেজ নিজেও বার্সায় এসে নেইমারের জায়গায় নিজেকে পরখ করতে চান, খবর বেড়িয়েছিল এমনও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চুক্তিটা আর হয়নি।
ফরোয়ার্ড- পাওলো দিবালা
ইতালিয়ান গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিবালার জন্য বার্সা ১৬০ মিলিয়ন ইউরোর অফারও করেছিল, কিন্তু জুভেন্টাস তাকে ছাড়তে রাজি হয়নি। বরং দিবালাকে উপহার দিয়েছে ১০ নম্বর জার্সি।
গোল ডট কম অবলম্বনে