ঈদ উল আজহার বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। কোরবানির পশু কিনতে এরই মধ্যে হাটে আনাগোনা শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের। নিজেদের পছন্দমত পশু দরদাম করে কিনতে হাটে হাটে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। তবে পশু কেনার আগে এর সুস্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন, কেননা অসুস্থ পশু কোরবানি করা ইসলাম ধর্মে গ্রহণযোগ্য নয়। পশু কিনতে গিয়ে অনেকেই বিড়ম্বনায় পরেন সুস্থ পশু বাছাই করতে গিয়ে। হাটে যাওয়ার আগে তাই সুস্থ পশু চেনার কতগুলো উপায় দেখে নিন।
- সুস্থ পশু তার চারপাশের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকবে। পশুর দিকে এগিয়ে গেলে কিছুটা পেছনে যেতে চেষ্টা করবে, কিছু পশু ঢুঁস মারারও চেষ্টা করবে।
- পশুর মুখের সামনে কিছু খড়/পাতা ধরে দেখতে পারেন পশুটি খাওয়ার চেষ্টা করছে কিনা। সুস্থ পশুর রুচি উন্নত থাকবে, এবং খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবে।
- সুস্থ পশুর চামড়ায় কোন ক্ষতচিহ্ন থাকবে না। পশুর চামড়া উজ্জ্বল হবে। ত্বকে কোন ধরণের উকুন থাকবে না।
- পশুর জাবর কাটার দিকে লক্ষ্য রাখতে পারেন। সুস্থ পশু জাবর কাটবে, এবং পা দিয়ে মাটি খুঁড়বে।
- সুস্থ পশুর একটি বৈশিষ্ট্য হল তার মাজেল বা নাকের নিচের অংশ আর্দ্র থাকবে। অসুস্থ পশুর মাজেল শুষ্ক থাকে।
- সুস্থ পশু ঘন ঘন নাক চাটবে, লেজ নাড়বে ও মশা মাছি তাড়াবে।
- সুস্থ পশুর শরীরে পানি জমে থাকে না। মোটাতাজা ও সুস্থ পশুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হবে ঠিকই, কিন্তু আঙুল সরিয়ে নিলে সাথে সাথে চামড়া আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। পশুতে অবৈধ হরমোন ব্যবহার করা হলে চামড়া আগের অবস্থায় ফিরতে বেশ কিছুক্ষণ সময় নেবে।
- সুস্থ পশুর মলত্যাগ স্বাভাবিক থাকবে, এবং অত্যধিক দুর্গন্ধ হবে না।
- সুস্থ পশুর চোখের কোণায় ময়লা জমে থাকবে না।
- পশু যদি খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয় তাহলে তার মুখ দিয়ে লালা পরতে থাকবে।
- সুস্থ পশুর চামড়া সাধারণত ঢিলা, মাথা ও ঘাড় চওড়া হয়ে থাকে।