এমন কিছু না হওয়াটাই বোধহয় অস্বাভাবিক ছিল। মোনাকোতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠানের সাথে ঘোষিত হয়েছে উয়েফার বর্ষসেরা পুরষ্কার বিজয়ীদের নামও। আর তাতে একটা বাদে বাকি সব পুরষ্কারই গেছে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরে।
সবচেয়ে বড় পুরষ্কারটা অনুমিতভাবেই পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রিয়ালকে টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতানোয় বড় ভূমিকা রাখা রোনালদো জিতেছেন নিজের ৩য় উয়েফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের খেতাব। গতবারও এই পুরষ্কার জিতেছিলেন রোনালদোই। এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমেও এই খেতাব জিতেছিলেন রোনালদো।
রোনালদোর বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বার্সেলোনার লিওনেল মেসি ও জুভেন্টাসের জিয়ানলুইজি বুফন। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বে খেলা দলগুলোর কোচেদের ভোট ও ইউরোপিয়ান স্পোর্টস গ্রুপ মিডিয়া কর্তৃক নির্ধারিত ৫৫ সাংবাদিকের ভোটে মেসি ও বুফনকে বিশাল ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন রোনালদো। পোলে মোট ৪৮২ পয়েন্ট পেয়েছেন রোনালদো, মেসি ও বুফন পেয়েছেন যথাক্রমে ১৪১ ও ১০৯ পয়েন্ট।
পুরষ্কার জয়ের পর সতীর্থ ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি পর্তুগীজ সুপারস্টার, ‘আবারো এই ট্রফি জিততে পেরে আমি খুবই আনন্দিত ও সম্মানিত। আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ, এবং তাদেরও অভিনন্দন। রিয়াল মাদ্রিদের সকল সমর্থক ও যারা আমাকে এই ট্রফি জিততে সহায়তা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ’।
এছাড়া বর্ষসেরা গোলকিপার হয়েছেন জুভেন্টাসের বুফন, বর্ষসেরা ডিফেন্ডার হয়েছেন মাদ্রিদের সার্জিও রামোস, বর্ষসেরা মিডফিল্ডার হয়েছেন মাদ্রিদের লুকা মদ্রিচ ও বর্ষসেরা ফরোয়ার্ড হয়েছেন মাদ্রিদেরই রোনালদো।
এছাড়া উয়েফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন বার্সেলোনার ডাচ ফুটবলার লিয়েকে মার্টেনস। দেশের মাটিতে সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসকে নারী ইউরো জয়ে বড় ভূমিকা রাখা ২৪ বছর বয়সী মার্টেনস রোজেনগার্ডকে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালেও তুলেছিলেন।
পুরুষদের ভোটাভুটিতে একতরফা ফলাফল আসলেও নারীদের বর্ষসেরা নির্বাচনে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ৯৫ পয়েন্ট পাওয়া মার্টেনস অল্পের জন্য পেছনে ফেলেছেন ৮১ পয়েন্ট পাওয়া ভলফসবুর্গের জার্মান খেলোয়াড় পার্নিলে হার্ডারকে। ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ৩য় হয়েছেন অলিম্পিক লিওঁর জার্মান প্লেমেকার সেনিফার মারোসানকে।
২০১১ সালে অভিষেকের পর নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৮০ ম্যাচে ৩৩ গোল করেছেন মার্টেনস। নেদারল্যান্ডসের হয়ে নারী বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে গোল করা প্রথম ফুটবলার মার্টেনস। এই মাসেই ইউরো জয়ের পথে টুর্নামেন্টে করেছেন ৩ গোল, গোল করেছিলেন ফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জেতা ম্যাচেও। ইউরোর প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্টও নির্বাচিত হয়েছিলেন মার্টেনস।
এছাড়া ২০১৭-১৮ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্রও অনুষ্ঠিত হয়েছে একই দিনে। দেখে নিন ৩২ দলের কে কোন গ্রুপে পড়ল।
গ্রুপ ‘এ’- বেনফিকা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বাসেল, সিএসকে মস্কো
গ্রুপ ‘বি’- বায়ার্ন মিউনিখ, প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন, আন্ডারলেখট, সেল্টিক
গ্রুপ ‘সি’- চেলসি, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, রোমা, কারাবাগ
গ্রুপ ‘ডি’- বার্সেলোনা, জুভেন্টাস, অলিম্পিয়াকোস, স্পোর্টিং সিপি
গ্রুপ ‘ই’- স্পার্তাক মস্কো, সেভিয়া, লিভারপুল, মারিবোর
গ্রুপ ‘এফ’- শাখতার দোনেৎস্ক, ম্যানচেস্টার সিটি, নাপোলি, ফেইনুর্দ
গ্রুপ ‘জি’- মোনাকো, পোর্তো, বেসিকতাস, লেইপজিগ
গ্রুপ ‘এফ’- রিয়াল মাদ্রিদ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, টটেনহাম, অ্যাপোয়েল
উয়েফা ডট কম অবলম্বনে