নকটার্নাল অ্যানিম্যালস – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / রিভিউ / নকটার্নাল অ্যানিম্যালস

নকটার্নাল অ্যানিম্যালস

মাঝে মাঝে খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে কোন উপন্যাস পড়ার সময় এমন হয় যে, আমরা সেই উপন্যাসের জগতে বিচরণ করতে শুরু করি।এর মধ্যকার ঘটনাগুলো যেন আমাদের চারপাশে ঘটছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে এমনও হয় যে, উপন্যাসের সাথে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার খুঁজে পাই অদ্ভুত যোগসূত্র; ঠিক যেন আমাদের জীবনেরই এক সিম্বলিক গল্প।

অস্টিন রাইটের ১৯৯৩ সালে লেখা উপন্যাস ‘টনি এন্ড সুজান’এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত এবং নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার টম ফোর্ড পরিচালিত ‘নকটার্নাল অ্যানিম্যালস’ চলচ্চিত্রে ঘটেছে প্রায় এমনি একটি ব্যাপার।

নিও-নোয়ার সাইকোলজিকাল থ্রিলার ঘরানার এই চলচ্চিত্রটি সামনে আগায় ত্রিমাত্রিক ধারায়। ছবির প্রধান চরিত্র সুজান মরো, তার বর্তমান স্বামী হাটন মরো একজন নামীদামী ব্যবসায়ী। সুজান নিজেও এক নামকরা আর্ট গ্যালারীর মালিক। তার প্রাক্তন স্বামী এডওয়ার্ড শেফিল্ড একজন ঔপন্যাসিক। নিরাপদ এবং কষ্টহীন জীবন যাপনের জন্যে সুজান এডওয়ার্ডকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করে তার বর্তমান ধনকুবের স্বামীকে।

হঠাৎ করে প্রায় বিশ বছর পর এডওয়ার্ড নতুন লেখা একটি অপ্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস সুজানের কাছে পাঠায়, নাম ‘নকটার্নাল অ্যানিম্যালস’। উপন্যাসের টাইটেল দেখেই সুজানের অতীতের কথা মনে পড়ে যায়; সে রাতে ঘুমাতো না বলে এডওয়ার্ড তাকে নকটার্নাল অ্যানিম্যাল বলে ডাকতো। আগ্রহী সুজান সেদিন রাতেই উপন্যাসটি পড়তে শুরু করে। উপন্যাসের পটভূমি টম হ্যাস্টিং নামের এক ব্যক্তি আর তার সুন্দরি স্ত্রী এবং কিশোরী মেয়েকে ঘিরে। স্ত্রী আর কন্যাকে নিয়ে রাতের বেলা পশ্চিম টেক্সাসের হাইওয়ে ধরে ভ্রমণের পথে রে মার্কাস এবং তার সাথের কিছুর দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে টম। গুণ্ডাগুলো টমেরই গাড়িতে করে তার স্ত্রী এবং কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সারাপথ হেটে পরদিন সকালে টম পুলিশের শরণাপন্ন হলে শুরু হয় তার স্ত্রী আর কন্যাকে খোঁজার অভিযান। এভাবেই আগায় ছবি এবং উপন্যাসের কাহিনী।

উপন্যাসে ঘটে যাওয়া আরও কিছু ঘটনার সাথে তার নিজের জীবনের কিছু ঘটনার অদ্ভুত মিল খুঁজে পায় সুজান। সেই ঘটনা গুলো তার মনে বারবার ভেসে উঠতে থাকে।

ছবি শেষ করার পরে আপনার মনে প্রশ্ন জেগে উঠবে যে, এতদিন পরেই কেন এডওয়ার্ড সুজানকে তার লেখা উপন্যাস পাঠাবে এবং তাদের জীবনে কি এমন ঘটেছিল যে বইয়ের কাহিনী সুজানের অতীতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে? একটু খেয়াল করে দেখলেই ছবি শেষ করার পর প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি নিজে নিজেই দিতে পারবেন।

কিভাবে আমরা কাছের মানুষকে হতাশায় ফেলে কষ্ট দেই এবং নিজস্বার্থে তাদেরকে দূরে ঠেলে দেই। আবার রাতের অন্ধকারে বারবার সেইসব ঘটনা নিয়েই চিন্তা করি।সিনেমাটি এসবেরই এক অদ্ভুত প্রতিচ্ছবি।

বিশ্বাসঘাতকতা, স্বার্থপরতা এবং অনুশোচনা নিয়ে রচিত এই অদ্ভুত গল্পটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক টম ফোর্ড নিজে। সিনেমাটোগ্রাফার সেমাস ম্যাকগার্ভি তার কাজ সম্পন্ন করেছেন অদ্ভুত সুন্দরভাবে। ছবির পরিচালনা, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং সিনেমাটোগ্রাফি ছিল যথেষ্ট ভালো। তবে ছবির রূপান্তর চিত্রগুলো মাঝে মধ্যে বেমানান মনে হতে পারে। এই ব্যাপারটি বাদ দিলে ছবিটি যথেষ্ট এন্টারটেইনিং। ছবি দেখার সময় মনে হবে ছবি পরিচালনার আগে পরিচালক সম্ভবত বসে বসে হিচকক আর কোয়েন ব্রাদার্সের ছবি গিলেছেন কিংবা ডেভিড লিঞ্জের মুলহল্যান্ড ড্রাইভ।ছবির মধ্যে কয়েন ব্রাদার্সদের নিও ওয়েস্টার্ন থিম এবং হিচককের ছবিগুলোর মত ডার্ক টোন লক্ষণীয়।

২০১৬ সালের নভেম্বরের ২৩ তারিখে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু পরিচিত মুখ। সুজান মরো চরিত্রে ছিলেন অ্যামি অ্যাডামস, টমি হ্যাস্টিংস এবং এডওয়ার্ড শেফিল্ডের চরিত্রে ছিলেন জ্যাক ইয়েলেনহাল আর রে মার্কাস চরিত্রে ছিলেন কিকঅ্যাসখ্যাত অ্যারন টেইলর-জনসন। এছাড়াও ছবিতে অভিনয় করেছেনঃ মাইকেল শ্যানন, লরা লিনি, আরমি হ্যামার, আয়লা ফিশার, মাইকেল শিন, এন্ড্রিয়া রাইজবরো এবং এলি ব্যম্বার প্রমুখ।

তাদের অভিনয় নিয়ে তেমন কিছু আসলে বলার নেই। অ্যামি, ইয়েলেনহাল, শ্যানন এরা প্রত্যেকেই ভালো অভিনয় করেন। তাদের মধ্যে সবসময় তাদের সেরা অভিনয় উপহার দেয়ার প্রচেষ্টা থাকে। এই ছবির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। প্রত্যেকে নিজ নিজ চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন। টমি এবং এডওয়ার্ড এই দুই চরিত্রেই ইয়েলেনহাল অসাধারণ অভিনয় করেছেন। পার্শ্ব চরিত্রে চমকপ্রদ অভিনয়ের মাধ্যমে অ্যারন টেইলর-জনসন গোল্ডেন গ্লোব নমিনেশনও পেয়েছেন।

Nocturnal Animals (2016)

IMDB Rating: 7.8/10

Rotten Tomatoes: 71%

About CIT-Inst

Check Also

স্ন্যাচ (২০০০)

১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় গাই রিচির প্রথম চলচ্চিত্র লক, স্টক অ্যান্ড টু স্মোকিং ব্যারেলস। এই …