কয়েকদিন আগেই সারাবিশ্বকে মাতিয়ে তুলেছিল মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের নতুন কিস্তি, এভেঞ্জার্সঃ ইনফিনিটি ওয়ার। যারা যারা দেখেছেন, তারা সকলেই জানেন ছবিটি কী ধরনের তুমুল উন্মাদনা ছড়িয়ে রেখেছিল সারাবিশ্বে। ইনফিনিটি যুদ্ধের জ্বর থেকে এখনও মানুষ নিজেদেরকে সারিয়ে তুলতে পারেনি। সুপারহিরোদের মিলনমেলা বসেছিল যেন এই ছবিতে। মধুরেন সমাপয়েত হলো কি হলো না, থ্যানোস কি সত্যিই পুরো পৃথিবীকে নিজের করায়ত্ব করে নিতে পারল, সেটি জানতে হলে দেখতে হবে দ্বিতীয় কিস্তি। তবে আসুন, আজ জেনে নেয়া যাক প্রথম কিস্তির এই ছবিটি সম্পর্কে মজাদার কিছু তথ্য।
১) টম হল্যান্ড (স্পাইডারম্যান) এই ছবিটির পাণ্ডুলিপি পড়তে পারেন নি। তাকে পড়তেই দেয়া হয়নি। কারণ, স্পাইডারম্যান হোমকামিং ছবিটিতে এভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়্যার ছবিটির অনেক স্পয়লার দিয়ে দেয়া হয়েছিল।
২) ওয়াকান্ডান যুদ্ধনিনাদ “ইবাম্বে” এর মানে হচ্ছে ‘নিজেকে শক্ত করে প্রস্তুত রাখো’।
৩) ডারহাম ক্যাথেড্রালে যখন এই ছবিটির শ্যুটিং করা হয়েছিল, তখন সিকিউরিটি ব্যবস্থা এতটাই শক্ত ছিল যে খোদ ক্যাথেড্রালের গার্ডদেরই ভেতরে ঢোকার কোনো প্রবেশাধিকার ছিল না।
৪) ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা (ক্রিস ইভান্স) শুধুমাত্র এই ছবিটির জন্যই নিজের একটি আলাদা লুক তৈরি করেছেন। ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা ছবির দুটো কিস্তি করবার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আর অভিনয় করবেন না। তবে ভক্তদের অনুরোধ আর চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি ফিরে এসেছেন, সাথে করে এনেছেন চমৎকার লুক।
৫) লোকি থ্যানোসকে বলে, ‘উই হ্যাভ আ হাল্ক’। বলতে পারেন এই ডায়লগটি আরও একজন দিয়েছিল। এভেঞ্জার্সের প্রথম কিস্তিতে লোকি যখন পৃথিবীকে আক্রমণ করে, তখন টনি স্টার্ক লোকিকে ঠিক একই ডায়লগ দিয়েছিল।
৬) রুশো ব্রাদার্স প্রথমে ভেবেছিলেন যে ক্যাপ্টেন মার্ভেলকে ইনফিনিটি ওয়্যার ছবিতে আনবেন। তবে জো রুশো সিদ্ধান্ত নেন যে ক্যাপ্টেন মার্ভেলকে এভেঞ্জার্সে আনার আগে একটি ডেব্যু চলচ্চিত্রতে এই সুপারহিরোকে আনা উচিত। কারণ, এভেঞ্জার্সের চতুর্থ কিস্তিতে ক্যাপ্টেন মার্ভেলের চরিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৭) মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রুস ব্যানার হাল্কের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে সমর্থ হয় এই চলচ্চিত্রে।
৮) রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (আয়রন ম্যান) মার্ভেল ইউনিভার্সে নিজের কন্টাক্ট সাইন করবার সময় কিন্তু ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা সিভিল ওয়্যার ও স্পাইডারম্যান হোমকামিং-এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হননি। আয়রনম্যান ট্রিলজি শেষ হবার পর তিনি নতুন করে কন্টাক্টে সাক্ষর করেন এবং মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে পদচারণা করেন।
৯) এভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়্যার চলচ্চিত্রের জন্য রবার্ট ডাউনি জুনিয়র তার নিজের বাড়ির আসবাবপত্র যেন ব্যবহার করা হয়, সেজন্য অনুরোধ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ তার সে অনুরোধ রেখেছিলেন।
১০) ২০১৪ সালের কমিক কন ফেস্টিভ্যালে জশ ব্রোলিন থ্যানোস হিসেবে ভক্তদের সামনে আবির্ভূত হন। তখন তার হাতে ইনফিনিটি গন্টলেট শোভা পাচ্ছিল।
১১) আয়রন ম্যান ও ডক্টর স্ট্রেঞ্জের মাঝে একটি মিল রয়েছে? বলতে পারবেন মিলটি কী? আয়রন ম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ও ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ভূমিকায় অভিনয় করা বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, এই দুজনেই জনপ্রিয় চরিত্র শার্লক হোমসে অভিনয় করেছিলেন।
১২) নাটালি পোর্টম্যান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে জেন ফস্টার চরিত্রটিতে তিনি আর অভিনয় করবেন না এবং মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজের সাথে তিনি যুক্ত থাকতে চান না।
১৩) থ্যানোস নামটি নেয়া হয়েছে গ্রীক শব্দ ‘আথানাসিওস’ থেকে, যার অর্থ মৃত্যুঞ্জয়ী।
(সূত্রঃ কিকঅ্যাস ফ্যাক্টস ডট কম)