সাউথ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। ভারতের ড্রেসিংরুমে কোচ হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতাও আছে। সেই গ্যারি কারস্টেন এখন বাংলাদেশ কোচিং স্টাফের নতুন সদস্য। টিম কনসালট্যান্ট হিসেবে বাংলাদেশ দলে যোগ দেয়া গ্যারি কারস্টেনের উপর প্রথম দায়িত্ব পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য একজন যোগ্য প্রধান কোচ খুঁজে দেয়া।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই তিন জনের শর্টলিস্ট তৈরি করে ফেলেছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ দলের জন্য যোগ্য কোচকে বাছাই করে দেবেন সাউথ আফ্রিকার হয়ে ১০১ টি টেস্ট ও ১৮৫ টি ওয়ানডে খেলা কারস্টেন।
নাজমুল হাসানের আশা, এরই মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে কাজ শুরু করে দেয়া কারস্টেনের আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। তবে কবে আসবেন তা নির্ভর করছে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কতটা এগোতে পারে তার উপর। আইপিএলে দলটির ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন কারস্টেন। আগামী শনিবার লীগ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে দলটি। আরসিবি প্লে অফে উঠতে ব্যর্থ হলে সেখান থেকেই বাংলাদেশে আসতে পারেন কারস্টেন।
নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের কোন ধরনের কোচ দরকার, তা খতিয়ে দেখছেন কারস্টেন। তিনি আমার সাথে কথা বলেছেন, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সাথেও কথা বলেছেন। আমাদের কোচের তালিকার সাথে তাঁর পছন্দ তালিকা মিলিয়ে দেখবো আমরা, এরপর প্রধান কোচের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এতে করে আমাদের জন্য সহজ হবে কাজটা।
আমাদের মনে হয়েছে চূড়ান্ত কোচ নিয়োগের আগে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করে নেয়াটা যথার্থ হবে। এই মাসের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন আপনারা। তিনি জানতে চেয়েছেন আমরা ঠিক কোন ধরনের কোচ চাইছি। উনি এরই মধ্যে আমাদের সাথে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন।’
পাপন আরও জানিয়েছেন, নতুন কোচের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হবে আগামী মাসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। তবে আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজে যে কোর্টনি ওয়ালশই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে থাকছেন, তা আরও একবার নিশ্চিত করেছেন তিনি, ‘আফগানিস্তান সিরিজের আগে নতুন কোচ নিয়োগ দেয়া একপ্রকার অসম্ভব। তবে আমরা আশাবাদী, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই নতুন কোচ পেয়ে যাব আমরা।’
‘একজনের সাথে আমাদের কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়েই গিয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার তাঁর এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিচ্ছে না। তাই চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে চাইছি না।’
গত বছরের নভেম্বরে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বিদায় নেয়ার পর থেকেই প্রধান কোচ ছাড়া আছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। এই সময়ের মধ্যে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, টম মুডি, মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা, জিওফ মার্শ ও পল ফারব্রেসের সাথে যোগাযোগ করলেও কেউই সম্মত হননি। এছাড়া রিচার্ড পাইবাস ও ফিল সিমন্সের সাক্ষাৎকার নেয়া হলেও তারা এরই মধ্যে যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন।