সিজোফ্রেনিক রোগীদের বয়ানে কিছু সত্য ঘটনা – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / সিজোফ্রেনিক রোগীদের বয়ানে কিছু সত্য ঘটনা

সিজোফ্রেনিক রোগীদের বয়ানে কিছু সত্য ঘটনা

সিজোফ্রেনিয়া রোগটিকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগ এবং হ্যালুসিনেশনের একটি বিস্ময়কর মিশেল হিসেবে দেখা হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তার চারপাশের জগতকে অবিশ্বাস করতে শুরু করে, নিজের চারপাশে আস্তে আস্তে তুলে দেয় একটি বাঁধার দেয়াল। এছাড়াও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি আরও অনেক কিছু দেখে থাকে। রংধনুর সাত রঙের ঝলকানি কিংবা আলোর নাচন মূহুর্তের মাঝেই, স্বপ্নালু কোনো দৃশ্য এমন অনেক কিছুই দেখে থাকে রোগী। আবার কেউ কেউ তো আরও ভয়াবহ দৃশ্য দেখে থাকেন। পোকামাকড় শরীর বেয়ে উঠে যাচ্ছে, পরিচিত মানুষগুলোর চেহারা আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে, আশেপাশে ছায়াশ্বাপদের আনাগোনা- এমন অনেক কিছুই দেখতে পায় তারা। সিজোফ্রেনিয়া পুরোপুরি আরোগ্য করা যায়না, তবে এর চিকিৎসা করা যায়। ১.২ শতাংশ আমেরিকান সিজোফ্রেনিয়া থাকবার পরেও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সুস্থ ও সুন্দর একটি জীবন অতিবাহিত করতে পারে। তবে ডাক্তার এবং গবেষকরা সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের কী ধরনের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে এবং কেমন জিনিস তারা দেখতে পান, সেটি নিয়ে খুব আগ্রহী থাকেন। আসুন, আজ এমনই কিছু সিজোফ্রেনিক রোগীর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
সুসানের বয়ানঃ জীবন আসলে খুব সহজ নয়
আমার যে ধরনের সমস্যাগুলো রয়েছে, তার বেশিরভাগই ধর্মীয়বিষয়ক। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠিত হয়ে যাই আমি। যেমন, অনেক সময় আমার এমন মনে হয়েছে যে ঈশ্বর এমন একটি ক্ষমতা দিয়েছেন, যে ক্ষমতার বলে আমি প্রকৃতি ও অন্যান্য পশুপাখির সাথে কথা বলতে পারি। শপথ করে বলছি, মাঠের ঘাস যখন বেড়ে ওঠে, তাদের গান আমি শুনতে পাই। তাদের কীভাবে বেড়ে ওঠা হলো, তা সম্পর্কে নানা গুনগুন আমার কানে আসে। এছাড়াও দেবদূত এবং শয়তানের সাথে কথা বলেছি আমি। তারা আমাকে ভালো কাজ করার পরামর্শ দেয়, বিপথে যাবার কুমন্ত্রণা দেয়। প্রতিনিয়ত আমার ঘাড়ে তাদের নিঃশ্বাস পাই আমি।


প্যাচোলির‍্যাভেনের বয়ানঃ শিল্পকর্ম
আমি নানাধরনের শব্দ শুনতে পাই। শব্দগুলো আমার সাথে যোগাযোগ করবার চেষ্টা করে, কথা বলবার চেষ্টা করে। কখনও জোরালোভাবে, কখনও ছাড়াছাড়া। কথা শুনে মনে হয় বাইরে থেকে নয়, বরং আমার মাথার ভেতরেই শব্দগুলো রয়েছে। সময়ে সময়ে তারা কথা বলে উঠতে শুরু করে। প্রথম প্রথম ওদের কথা শুনে মনে হতো নিজেদের মাঝেই বলাবলি করছে। আমাকে শোনানো উদ্দেশ্য নয়। তবে এখন বুঝতে পারি কথাগুলো আমার উদ্দেশ্যেই বলা। খুব নিষ্ঠুরচিত্তে কথাগুলো বলে যায় তারা। মানুষের দিকে তাকালে বুঝতে পারি যে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। প্রায়শই মনে হয় লোকেরা আমায় ঘৃণা করে খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়ে মেরে ফেলবার চেষ্টা করবে। ছবি কিংবা একটি চিত্রের ভাষা আমি বুঝতে পারি, তারা আমার সাথে কথা বলে। মানসিকভাবে আমি সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। আমি জানি যে এগুলো কোনো কিছুই ঠিক নয়, তবে কাজগুলো যেন হয় একেবারে বিশ্বাস করে ফেলার মতো। এই জিনিসটাই প্রতিনিয়ত আমাকে খোঁচা দিতে থাকে। মাঝে মাঝে মনে ভাবনাগুলো যেন মনের মাঝেই ফেটে গিয়ে চৌচির হয়ে যাবে।
পিসমেন্ডারের বয়ানঃ পাতালঘরে খসখসে শব্দ
এটি একধরনের হ্যালুসিনেশন নয়, অন্তত আমার জন্য নয়। সাধারণত এমনটাই ঘটে থাকে যে কাচের গ্লাসে আঁচড়ের দাগ কিংবা পাতালঘরে টুক টুক করে কেউ আপনাকে তার উপস্থিতি জানান দিয়ে যাচ্ছে। এসবকিছুই দৃশ্যমান হয়ে থাকে। আমার বেলায় ঘটনাগুলো ঠিক উল্টো। আমি শব্দ শুনতে পাই। বেশিরভাগ সময় তারা চিৎকার করছে কিংবা আমাকে রাগতস্বরে নানা ধরনের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড খিদে পেলে যেমন আপনি মনকে প্রবোধ দেন যে এখন খাওয়া উচিত নয়, আমার সাথে যেন ঠিক এমনটাই ঘটতে থাকে। যেন নিজের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি আমি। বিভিন্ন ধরনের বুনো মনোভাব গড়ে উঠতে থাকে নিজের মাঝে। ভয়, আতঙ্ক, অবিশ্বাস, দুঃখবোধ। সবধরনের আবেগ অনুভূতি যেন বন্যার মতো জড়ো হতে থাকে মনের গহীনে। গ্রুপ থেরাপি নিতে গিয়ে একটি জিনিস বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছি আমি। আর তা হচ্ছে, আমার মতো এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা এই জিনিসগুলো দেখতে থাকে, শুনতে থাকে। পাশের কামরা থেকে কেউ একজন কানে কানে আপনাকে বলবে কিছু একটা ফিসফিসিয়ে, এককোণ থেকে ঝরা একটি পাতা মেঝে ঘষটে নিয়ে যাচ্ছে কেউ- এমন অনেক কিছুই আপনি দেখতে পাবেন।


গার দ্য হোমির বয়ানঃ ভয়ানক সুর
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন সময়েই আমি অডিটরি হ্যালুসিনেশনের শিকার। প্রথম প্রথম আমি অনেক গাঁজা সেবন করতাম। নেশা চড়ে গেলেই এইধরনের শব্দ শুনতে পেতাম আমি। তারপরও গাঁজা ছাড়িনি, নিয়মিত সেবন করতাম। দিনের ২৪ ঘণ্টাই মাথার ভেতর বিভিন্ন ধরনের শব্দ হতো। ঘুম থেকে উঠেই শুনতে পেতাম কেউ যেন আমাকে কিছু বলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমার সব চিন্তাভাবনা যেন তারা শুনতে পেত। নিয়মিত ধিক্কার জানিয়ে যেত আমার নেয়া মতামতের জন্য। সিজোফ্রেনিয়ার উপসর্গ আমার মাঝে রয়েছে, এটি ভাবার আগে আমি মনে করতাম চারপাশের লোকেরাই প্রতিনিয়ত আমার সাথে কথা বলে যাচ্ছে। বিভিন্ন জনসমাগমে আতঙ্কিত হয়ে থাকতাম আমি, যতটা পারতাম নিজেকে ঘরের মাঝে বন্দী করে রাখতাম। আমার নেয়া পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে ভয়াবহ কিছু ঘটে যাবে, আমাকে শাস্তি পেতে হবে- এমন ধরনের কথা সবসময়ই কানে কানে কেউ না কেউ বলে যেত। সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাতে চাইতাম যেন আমাকে এসব আর শুনতে না হয়।
কিছুদিন হাসপাতালে কাটাতে হলো আমাকে। চারপাশে আমার মতো আরও মানুষ দেখতে পেলাম যাদের একই সমস্যা। কেউ প্রতিনিয়ত কথা শুনে যাচ্ছে কিংবা কেউ দেখছে নানা ধরনের বীভৎস সব জিনিস। সিজোফ্রেনিয়া কেমন হতে পারে, এই রোগে মানুষের কী কী সমস্যা হতে পারে, এসবকিছুই জানতে পারলাম হাসপাতালে থেকে। নিয়মিত ঔষধ নিতে শুরু করলাম, যেতে লাগলাম থেরাপিতে। উপকার পাওয়া শুরু করলাম। এখন আমি গাঁজা সেবন করা ছেড়ে দিয়েছি। মাসখানেক হয়ে গিয়েছে, ঐ বীভৎস শব্দগুলো এখন আর কানে আসেনা। সুস্থই আছি বেশ।
(ওপরের ঘটনাগুলো র‍্যাংকারের লেখিকা ম্যারিয়েল লাভল্যান্ডের কাছে পাঠানো ই-মেইল হতে অনূদিত)
(সূত্রঃ র‍্যাংকার ডট কম)

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *