বর্ষ ২০৩০ঃ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে যে ১০টি চাকুরি – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / ফিচার / বর্ষ ২০৩০ঃ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে যে ১০টি চাকুরি

বর্ষ ২০৩০ঃ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে যে ১০টি চাকুরি

বর্তমানে ঠিক কি করছেন আপনি? পাঠক, এই প্রশ্নটির সম্মুক্ষীন হয়তো আপনি প্রতিনিয়তই হচ্ছেন। প্রশ্নের শুরু তো সেই ছেলেবেলা থেকে। কিন্তু তখন আপনি বলতে পারতেন পড়াশোনা করছেন। কিন্তু আপনি যদি হন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী? তখন হয়তো শূন্যে চেয়ে থাকতে হয় অপলকে। কারণ আপনি হয়তো এখন মনে মনে চাকুরী খুঁজে চলেছেন। হাত খরচের জন্য খুঁজছেন বিকল্প কোন উপায়। আপনি পড়াশোনা করছেন বা করেছেন অর্থনীতি বিষয়ে, অথবা ব্যবসায় প্রশাসনে। কিন্তু বর্তমান দেশীয় বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কর্মসংস্থানের প্রেক্ষাপট ঠিক কতটা অনুকূল? যদি আমাকে বা যে কোন অভিজ্ঞ মানুষকে এই সম্পর্কে প্রশ্ন করেন তবে কোন স্পষ্ট উত্তর হয়তো খুঁজে পাবেন না। বর্তমান প্রজন্ম মুখোমুখি এমন এক সময়ের যা সৃষ্টি করেছে বিষণ্ণতা,  জেনারেশন গ্যাপ, জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, অধিক শিক্ষা হার, অনেক বেশি উচ্চাশা ও চাকুরীর বাজারে এক সুতীব্র প্রতিযোগিতার। সোজা সাপ্টা ভাষায় বলতে গেলে চাকুরীর বাজারে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র সঠিক শ্রম মূল্য নির্ধারণ না করায় বেকারের সংখ্যা আজ আকাশচুম্বী।

আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান ও সমীক্ষা অনুসারে আমরা এমন কিছু পেশার কথা তুলে ধরতে চলেছি যারা নিকট ভবিষ্যতে পড়তে চলেছে অস্তিত্ব সঙ্কটে। এমনকি ২০২৪ সালের মধ্যে আর কেউ সংযুক্তও হয়তো হবে না এই পেশা গুলোতে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাকঃ-

মিটার রিডার (প্রোজেক্টেড গ্রোথ রেট: -১৫%)

পাঠক, যারা জানেন না তাদের জন্য বলা মিটার রিডার হচ্ছে সে ব্যক্তি যে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংস্থার প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে ইউটিলিটি বিল সংগ্রহ করতো। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি আবাস স্থলেই সরকার কর্তৃক প্রচলন করা হয়েছে ডিজিটাল মিটার এর। তাই মিটার রিডার রাখা নিস্প্রয়োজন।

টাইপিস্ট / ওয়ার্ড প্রসেসর (প্রোজেক্টেড গ্রোথ আউটলুক: -১৮%)

আমাদের দাদার আমলে দেখেছিলাম উকিল ও মুহুরীদের দাপট। সঙ্গী হিসেবে ছিল ম্যানুয়াল টাইপরাইটার। সেই টাইপরাইটার দিয়ে তারা নানাবিধ দলিল টাইপ করতো। তখন টাইপিস্ট একটি চলনসই পেশাই ছিল। শত শত ছেলেমেয়ে টাইপ ও শর্টহ্যান্ড শিখতো। কিন্তু কম্পিউটার আসার পর সবাই ধরেই নিয়েছিলো টাইপিস্টদের দিনের এখানেই পরিসমাপ্তি । সত্যি কথা বলতে এই পেশার অস্তিত্ব রইবে কিনা তা নিয়ে আমরাও সন্দিহান ছিলাম। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে কম্পিউটার আবিষ্কৃত হবার পর নতুন একটি পদের উত্থান ঘটলো যার নাম ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। যারা বাংলা টাইপ ও ইংরেজী টাইপ দ্রুত গতিতে করতে পারে তাদের জন্য এই পেশা হয়ে উঠলো আশীর্বাদ। এমন কি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও এই পেশার কদর বাড়তে লাগলো। কিন্তু প্রতি সেকেন্ডে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বের পরিবর্তন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সময়ের প্রয়োজনে আবির্ভাব ঘটলো অটোমেটেড ট্রান্সক্রিপশন সফটওয়্যার এর। ভয়েস কমান্ড এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এখন টাইপ করা সম্ভব। তাই টাইপিস্ট পেশাটি আজ ঝুঁকির সম্মুখীন।

ব্রডকাস্টার (প্রোজেক্টেড গ্রোথ আউটলুক: -৯%)

শিল্পের মাধ্যমের কোন শেষ নেই । শেষ নেই সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্মের ও। কোন এক সময় গণমানুষের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম ছিল টেলিভিশন ও রেডিও। আর সেখানে সরাসরি যারা কণ্ঠ দিতো তাদের বলা হতো ব্রডকাস্টার। কিন্তু হাজারো সঞ্চালকের ভিড়ে এই পেশাটি আজ বিলুপ্তির সম্মুখীন। একজন ব্রডকাস্টার সাধারণত বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়ে থাকে, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্তারের কাছে আজ টিভি, রেডিও  সবই বড় নিষ্প্রভ। সেই কারণে  আজ টিভি ও রেডিও উভয় জায়গায় বিজ্ঞাপনের হার কমছে, একই সাথে চাকুরী হারাচ্ছে বা কাজ হারাচ্ছে ব্রডকাস্টাররাও।

ডিস্ক জকি (প্রোজেক্টেড গ্রোথ আউটলুক: -১১%)

ক্যারিয়ার কাস্ট ডিজেদের জনপ্রিয়তা হ্রাস এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সোশ্যাল মিউজিক্যাল সাইটস ও অ্যাপের বহুল ব্যবহার। এরকম অ্যাপস এর মধ্যে রয়েছে SoundCloud, Spotify etc. তাই বর্তমান সময়ে রিমিক্স মিউজিক বা ডিজে পার্টির প্রচলন প্রায় শূন্যের কোঠায়।

মহিলা-দর্জি / টেইলর (প্রজেক্টেড গ্রোথ প্রিভিউ: ৯%)


কারণ আমরা এমন একটি সমাজে বসবাস করি যেখানে পোশাককে বিশেষ উপলক্ষ বা অনুষ্ঠান ব্যতীত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় না। খুব কম মানুষই টেইলরের মাধ্যমে পোশাক বানিয়ে পড়ে।  ঠিক একই কারণে, গহনাগাররা তাদের প্রস্তুতকৃত গহনার চাহিদা ১১% শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে আশঙ্কা করছে। এমন অবস্থায় ডিজাইন শিল্প বা মূল্যবান গহনার চাহিদা দিনকে দিন নিম্নমুখী হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মতামত ব্যক্ত করেছেন।

বীমাকারী নির্ণায়ক (প্রোজেক্টেড গ্রোথ আউটলুক: -১১%)

বিশ্বাস করুন যে কোন হিসাব নিকাশের নামেই অনেকের মাথা ঘুরাতে থাকে। আর তা যদি হয় ইন্স্যুরেন্স পলিসির হিসাব তাহলে সেখানে জটিলতা যেন আরও বেশি। তবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বপক্ষে বীমা প্রতিষ্ঠান বীমার দায়িত্ব নিবে কিনা সে ব্যপারে সুপারিশ করে ইন্স্যুরেন্স আন্ডাররাইটাররা। তারাই অনুসন্ধান করে কারো পক্ষে বীমা করা উচিৎ হবে কিনা বা ঝুঁকি কতটুকু। কিন্তু বর্তমানে এই পেশাও বিলুপ্তির পথে কারণ এখন ঝুঁকি নিরূপণের জন্য মার্কেটে চলে এসেছে ফিন্যান্সিয়াল অটোমেটেড সফটওয়্যার।

কম্পিউটার প্রোগ্রামার (প্রোজেক্টেড গ্রোথ প্রিভিউ: -৮%)


চলুন ছেলেবেলায় ফিরে যাই, খানিকটা মনে করি কিভাবে অভিভাবক ও শিক্ষকগণ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, অংক ইত্যাদি বিষয়ের উপর কি পরিমাণ গুরুত্ব দিয়েছে। তার প্রধান কারণ ছিলো যেন ভবিষ্যতে ছেলেমেয়েরা ভালো চাকুরি পায়। কিন্তু সেই আশায় পানি পড়েছে বলতে হবে, কারণ বিশ্বায়নের ফলে আন্তর্জাতিক সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো খুঁজছে সস্তা শ্রম। ফলে সুযোগ্য ব্যক্তিদের তারা ফ্রীল্যান্স কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এতে ভারত, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের ছেলেমেয়েরা পাচ্ছে ডিজিটাল অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায় আয় করার সুযোগ।

কুরিয়ার বয় (প্রোজেক্টেড গ্রোথ প্রিভিউ: -৮%) ঃ

 

সাইবেরিয়ান বাঘ এবং লেদারব্যাকের কচ্ছপের মতো, মেইল কুরিয়ার সার্ভিস ক্রমশ বিপন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ডিজিটাল মেইল ডেলিভারি সিস্টেমের কথা। কিন্তু ভবিষ্যৎ হুমকি হিসেবে যা দেখা যাচ্ছে নিকটবর্তী সময়ে কুরিয়ার কর্মীদের হয়তো প্রয়োজন পড়ছে না, কারণ ডেলিভারীতেও ড্রোন সিস্টেম চালু হয়েছে। তাই এই পেশাও চলে যাচ্ছে বলা যায় একরকম বিলুপ্তির পথেই।

সাংবাদিক ও লেখকঃ

এই লেখা লেখার আগপর্যন্ত এখনো আমরা একরকম প্রয়োজনের মাঝেই রয়েছি। তবে কোন দিন কম্পিউটার বা রোবট এসে লেখার দায়িত্ব নিয়ে নেয় কেই বা বলতে পারে।

‘প্রিয়লেখার’ সাথেই থাকুন। আবার আসবো কোন নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে দ্রুতই।

আজ এই পর্যন্তই।

About Naseeb Ur Rahman

Check Also

কথা বলবার সময় আমরা ‘অ্যা’, ‘উম’ এসব উচ্চারণ করি কেন?

কথা বলবার সময় আমরা অনেকেই মুখ দিয়ে ‘অ্যা’, ‘উম’ ইত্যাদি আওয়াজ নিঃসরণ করে থাকি। এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *