মানবদেহের সবচেয়ে জটিলও সংবেদনশীল অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হল চোখ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব কাজের জন্যই আমরা যে অঙ্গটির উপর নির্ভর করি, সেই চোখ সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য আজ থাকছে প্রিয়লেখার পাতায়।
- গর্ভধারণের দুই সপ্তাহ পর থেকেই একটি শিশুর চোখ বিকাশপ্রাপ্ত হতে শুরু করে।
- প্রতি ৫ মাস পরপর আপনার চোখের পাতার লোম পরিবর্তিত হয়, যেটা আপনি টেরও পান না। পরিবর্তিত হওয়া এই সকল লোম একত্রিত করলে এর গড় আনুমানিক উচ্চতা দাঁড়াবে প্রায় ৯৮ ফুট!
- কপাল কিংবা মাথা থেকে ঘাম যেন চোখে প্রবেশ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করে আমাদের ভ্রু। আর চোখের পাতার মূল কাজ হল ধূলাবালি থেকে চোখকে রক্ষা করা।
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের নাক ও কানের আকৃতি বৃদ্ধি পায়, কিন্তু চোখের মণির আকৃতি জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একই থাকে।
- চোখের মণির মাত্র ৬ ভাগের ১ ভাগ আপনি বাইরে থেকে দেখতে পান।
- মানবদেহের একমাত্র টিস্যু হল কর্ণিয়া যেটিতে কোন রক্ত সঞ্চালন হয় না।
- মানুষের একেকটি চোখের আনুমানিক ওজন ০.২৫ আউন্স, আর প্রশস্তে প্রায় ১ ইঞ্চি।
- মানুষের স্মৃতিশক্তির ৮০ ভাগ নির্ভর করি আমরা কি দেখি তার উপর।
- চোখের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় করা সম্ভব। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০ ভাগ দৃষ্টিগত সমস্যাই নিরাময়যোগ্য।
- মানুষ এবং কুকুর- কেবল এই দুইটি প্রাণীই অন্যের চোখ থেকে ইশারা বুঝতে সক্ষম। মজার ব্যাপার হল, কুকুররা কেবল মানুষের চোখের ভাষাই বুঝতে পারে। এ কারণে অনেকদিন একসাথে থাকলে কুকুরের সাথে মানুষের বেশ ভালো একটা বোঝাপড়ার সম্পর্ক তৈরি হয়।
- ফিঙ্গারপ্রিন্টের ৪০ ধরনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে, কিন্তু চোখের আইরিশের ২৫৬ রকম ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকে। এ কারণে নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে চোখের স্ক্যান করা হয়ে থাকে।
- মস্তিষ্কের পর মানবদেহের দ্বিতীয় জটিলতম অঙ্গ হল চোখ।
- মানুষের একটি চোখের পলক পড়তে গড়ে ১ সেকেন্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগ সময় লাগে।
- সদ্য জন্ম নেয়া শিশুরা কান্না করলেও তাদের চোখ দিয়ে কিন্তু পানি পড়ে না, শুধু কান্নার শব্দ হয় মাত্র। চোখে কান্না তৈরি হতে ৪-১৩ সপ্তাহ সময় লাগে।
- মানুষ প্রতি মিনিটে গড়ে ১২ বার চোখের পলক ফেলে।
- কারোর কারোর দুই চোখের রং দুই রকম হয়ে থাকে। এই অবস্থাকে বলা হয় হেটেরোক্রোমিয়া।
- মানুষের শরীরে যত পেশী আছে, তাদের মধ্যে চোখের পেশীই সবচেয়ে সক্রিয় ও দ্রুততম।
- আপনার চোখের রং কি হবে তা নির্ভর করে আইরিশে মেলানিনের পরিমানের উপর।
- কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকানোর সময় আপনি স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় কম বার পলক ফেলেন, যে কারণে আপনার চোখ তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
- আপনি সারাদিনে যত কথা বলেন, তার চেয়ে বেশিবার পলক ফেলেন।
- কাগজে মানুষ যেই গতিতে পড়ে, কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে তার চেয়ে ২৫% কম গতিতে পড়তে পারে।
- জন্মের সময় সকল শিশুই বর্ণান্ধ হয়ে জন্মায়।
- চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেয়া অসম্ভব।
- এক বছরে আপনি গড়ে ৪২ লাখ বার চোখের পলক ফেলেন।
- ধূমপানের কারণে রাতে দেখার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
- মানুষের কর্ণিয়ার সাথে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হাঙ্গরের কর্ণিয়া।
- এক সেকেন্ডে সর্বোচ্চ পাঁচ বার পলক ফেলাও সম্ভব।
- একটি পলক সাধারণত ১০০-১৫০ মিলিসেকেন্ড স্থায়ী হয়।
- বিপদের সম্ভাবনা পেলে মানুষের চোখ আপনা আপনিই বন্ধ হয়ে যায়।
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের কান্না উৎপাদনের ক্ষমতাও হ্রাস পেতে থাকে।
- নারীদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি বর্ণান্ধ হয়ে থাকে।
- কম্পিউটারে কাজ করার সময় ২০-২০-২০ এই নিয়ম মেনে চলুন। অর্থাৎ প্রতি ২০ মিনিট অন্তর অন্তর কম্পিউটার থেকে ২০ ফুট দূরে কোন জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড একটানা তাকিয়ে থাকুন। তারপর আবার কম্পিউটারের দিকে তাকান।
- দুই ভ্রূর মাঝখানের ফাঁকা অংশটার নাম গ্লাবেলা।
- প্রত্যেক মানুষেরই এক চোখের চেয়ে আরেকটা চোখ একটু বেশি শক্তিশালী হয়।
- একেকটা চোখের মণির ওজন প্রায় ২৮ গ্রাম।
- একজন গড় আয়ু সম্পন্ন মানুষ তার সারা জীবনে প্রায় ২৪ মিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন ইমেজ দেখেন তার চোখ দিয়ে।
- এক গবেষণায় জানা গেছে, বেশি শক্ত করে টাই বাঁধলে গ্লুকোমা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়!