অবিভক্ত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে বাঙালি সৈন্যদের প্রতি বৈষম্যের কথা আমাদের অজানা না। পাকিস্তানি সশস্ত্রবাহিনী কর্মকর্তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ ছিলেন বাঙালি কর্মকর্তা, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আবার আসীন ছিলেন প্রযুক্তিগত বা ব্যবস্থাপনা পদে। কমান্ডিং পজিশনে যেতে পেরেছিলেন খুব কম সংখ্যক বাঙালি অফিসারই। পাকিস্তানিদের বিশ্বাস ছিল পাঞ্জাবি কিংবা পশতুন অফিসারদের মত সাহস বাঙালিদের নেই। সবসময় সন্দেহ আর অবিশ্বাসের চোখে দেখা হত বাঙালি অফিসারদের। প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তোলা হত তাঁদের সামর্থ্য নিয়ে।
তাদের এই বদ্ধমূল ধারণা যে কত বড় ভুল ছিল তা তো মুক্তিযুদ্ধে প্রমাণিত হয়েই গেছে। আর স্বাধীনতার পর বাঙালিদের সাহস ও সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা তৈরি করার কাজে সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত আছে যে সংস্থাটি, তা হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একটি দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার জন্য সে দেশের সেনাবাহিনীর অবদান কতটুকু তা বলে শেষ করার মত নয়। সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাস সম্পর্কে সকলকে জানানোর জন্যই আমাদের আজকের আয়োজন।
১৯৪৭ এর দেশভাগের পরে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বাঙালিদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করতে থাকে, ফলে বাঙালিদের একটি সামরিক ঐতিহ্য গঠন খুব মুশকিল হয়ে পরে। কিন্তু এরকম ব্যাখ্যাতীত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের তাঁদের সামর্থ্য প্রকাশ করা থেকে ঠেকানো যায়নি। ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাক যুদ্ধে বাঙালি সেনাদের সাহস ও বীরত্বের কথা এখন সুপরিচিত।
আর বাঙালি সেনাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্যের পরিচয় পাওয়া গেছে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে। যদিও সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একযোগে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তবুও বাঙালি সেনাদের বুদ্ধিমত্তা ও সাহস নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ ছিল না কখনোই। কিন্তু স্বাধীনতার পর শুরু হয় আসল চ্যালেঞ্জ। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ নতুন করে গড়ে তোলাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। সদ্য স্বাধীন দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সবার আগে প্রয়োজন ছিল একটি স্থায়ী ও সুস্থিতিশীল সেনাবাহিনী।
কোন শক্তিশালী ইতিহাস ও ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই শুরু হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠনের বিশাল কাজ। কিন্তু সবার আগে মূল প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দেউলিয়া অবস্থা। কোন আর্মার, ইঞ্জিনিয়ার, সিগন্যাল, অর্ডন্যান্স, ইলেক্ট্রিকাল ও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের সরবরাহ ও পরিবহন- কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না আমাদের। এক ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার ছাড়া আর কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না যেখানে নবনিযুক্ত সেনাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। শুরুর সেই দুর্দশা কাটিয়ে উঠে আজকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন অনেক সুসংগঠিত ও শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসের কথা বলতে গেলে ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখটির কথা বলতেই হবে। আমাদের সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়টা যে রচিত হয়েছিল ওই দিনেই। এই দিনেই প্রয়াত মেজর আবদুল গণির নেতৃত্বে ঢাকার কুর্মিটোলায় প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। বিহার রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের দুইটি কোম্পানির সমন্বয়ে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়। কিছুকাল পরেই ২য় ব্যাটালিয়নও গঠিত হয়। ঐতিহাসিক এই রেজিমেন্টটি এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান অঙ্গ।
শুধু বাংলাদেশেরই নয়, এই ভারতীয় উপমহাদেশের সামরিক ইতিহাসেরই দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নাম। ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাক যুদ্ধে এই রেজিমেন্টের সাহসী “টাইগার’রা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছিল। বাঙালি সেনাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে সর্বোচ্চ সাহসিকতা পদক দেয়া হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ছয় বছর পরের মুক্তিযুদ্ধেও। মুক্তিযুদ্ধেও সর্বোচ্চ সংখ্যক সাহসিকতার পদক যায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছেই। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে ২ জনই ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য। মুক্তিযুদ্ধে এই রেজিমেন্ট থেকেই মোট ৩১৭ জন পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন।
নিজেদের দক্ষতার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্মার্ড কর্পসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল বাঙালি অফিসার ও সৈনিকরা। মুক্তিযুদ্ধকালে এই আর্মার্ড কর্পসের ২ জন অফিসার, ৬ জন জেসিও অফিসার (জুনিয়র কমিশনড অফিসার) ও ৪৮ জন সৈনিক শাহাদাৎবরণ করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও তৎকালীন পাকিস্তান আর্মির ২৯ ক্যাভালরির বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে গঠিত হয় ১ম বেঙ্গল ল্যান্সার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট এই ১ম বেঙ্গল ল্যান্সার। এই ১ম বেঙ্গল ল্যান্সারের হাত ধরেই পরবর্তীতে গঠিত হয় আর কিছু ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মার্ড কর্পসকে আরও দক্ষ ও শক্তিশালী করে তোলার পেছনে এই ট্যাঙ্ক রেজিমেন্টের অবদান অনেক।
বাংলাদেশ আর্টিলারি কর্পসের নিউক্লিয়াস গঠন শুরু মুক্তিযুদ্ধের সময়ই, আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ওই বছরেরই ২২ জুলাই। তৎকালীন পাকিস্তান আর্মির বাঙালি সৈনিক ও জওয়ান, সাথে স্বাধীনতাকামী তরুণদের নিয়ে গঠিত হয় এই আর্টিলারি কর্পস। পুরো মুক্তিযুদ্ধ জুড়েই মুক্তিযোদ্ধাদের অনবরত সহায়তা দিয়ে গেছে আর্টিলারি কর্পস। প্রথম আর্টিলারি ইউনিটের নাম ছিল ‘মুজিব ব্যাটারি’, মুক্তিযুদ্ধে এই ইউনিটটি অনেক প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিল। সাহসিকতার জন্য এই ইউনিটের ১৬ সদস্যকে সাহসিকতা পদক প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে এই ইউনিটের মোট ১২১ সদস্য দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র ৬ টি ক্যানন ও একটি ফিল্ড ব্যাটারি নিয়ে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছিল আর্টিলারি কর্পস। বর্তমান সময়ে এসে এই কর্পস অনেক শক্তিশালী আকার ধারণ করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ইউনিট থেকে ৫ জন অফিসার ও বিভিন্ন র্যাঙ্কের আরও ৮২ জন সেনা কর্মকর্তা শহীদ হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর এই কর্পকে আরও বিস্তৃত ও সুসংগঠিত করা হয়। এই কর্পের ইঞ্জিনিয়াররা দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনেক দিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সুপ্রিম কমান্ডার সময়ের দাবি মেটানোর জন্য সিগনাল ইউনিটকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেন। তখনই সেক্টর ভিত্তিক ব্রিগেড সিগনাল কোম্পানি গঠন করা হয়। আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্স ও ইপিআর থেকে সিগন্যালার নিয়ে শুরুতে তিনটি কোম্পানি গঠন করা হয়। নবগঠিত এই ব্রিগেড সিগনাল কোম্পানিদের ১, ২ ও ৮ নম্বর সেক্টরের সাথে সংযুক্ত করা হয়। ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টার ছিল মুজিবনগরে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই সিগনাল কর্প।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আর্মি সার্ভিস কর্পে খুব কম সংখ্যক বাঙালি অফিসারই ছিলেন। তারপরেও এই সীমিত শক্তি নিয়েও মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অবদান স্মরণীয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আর্মি সার্ভিস কর্পের যাত্রা শুরু ১৯৭২ সালের ১১ মার্চ। শুরুতে হাতেগোনা অফিসার, জেসিও ও অন্য র্যাঙ্কের সেনা নিয়ে গঠিত হলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেদের নিরলস পরিশ্রম ও পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেদের অবস্থান অনেক উঁচুতে তুলে নিয়েছে এই কর্প।
আর্মির মেডিকেল কর্পসের ইতিহাসও কিন্তু বেশ সমৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে ১৪ জন অফিসার ও ১১৪ জন ট্রুপ শহীদ হন এই কর্পসের। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে ২২৪ জন অফিসার ও আর ১৪৮৪ টি পদে কর্মকর্তা নিয়ে পুনর্গঠিত মেডিকেল কর্পসের কাজ শুরু হয়। পুনর্গঠনের পর ‘আর্মড ফোর্সেস ইন্সটিটিউটস অফ প্যাথলজি অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন’ পূর্ণ উদ্যমে তাদের কাজ শুরু করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পদক পায় আর্মড ফোর্সেস ইন্সটিটিউটস অফ প্যাথলজি অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন’।
সীমিত সুযোগ সুবিধা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে অর্ডন্যান্স কর্পস দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৩৬ জন শহীদও হন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত সরঞ্জাম ও যানবাহন সংগ্রহ করে সেগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করাই ছিল অর্ডন্যান্স কর্পসের মূল দায়িত্ব। ১৯৭২ এর মার্চ থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, সৈয়দপুর ও যশোরে দায়িত্ব পালন শুরু করে অর্ডন্যান্স ডিপোগুলো।
স্বাধীনতার পর কয়েকজন সাবেক মিলিটারি পুলিশ মিলে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি মিলিটারি পুলিশ ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাবেক মিলিটারি পুলিশরা মিলে ঢাকা ট্রানজিট ক্যাম্পে মিলিত হয়ে প্রথম মিলিটারি পুলিশ ইউনিট গঠন করেন। পরবর্তীতে মিলিটারি পুলিশ কর্পসের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হয়। বর্তমানে এই কর্পসের একটি স্কুল রয়েছে যেখানে অফিসারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ আর্মির পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন বলা চলে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) প্রতিষ্ঠা। ১৯৭৪ সালে প্রথমে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে এটি অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে ভাটিয়ারিতে স্থানান্তর করা হয় এটি। বিশ্বের যেকোনো আর্মি প্রতিষ্ঠানের মানের সাথে মানানসই এই বিএমএ’র কার্যক্রম। এখানে কঠোর ট্রেনিং করেই বেরিয়ে আসছে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত আর্মি অফিসারেরা। এমনকি বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স ও নেভাল ক্যাডেটদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএমএ। এছাড়া বাংলাদেশ সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের সদস্যদের বেসিক মিলিটারি ট্রেনিংও বিএমএ থেকেই দেয়া হয়।
বাংলাদেশ আর্মির আরেকটি প্রধান ট্রেনিং ইন্সটিটিউট হল স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস। বিভিন্ন ধরনের কৌশল, অস্ত্রবিদ্যা ও স্পেশাল মিলিটারি অপারেশনের উপর বছরে ১২ টি ভিন্ন কোর্স পরিচালনা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৭৩ সালের ১৯ মার্চ দ্য স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি নামে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় যশোর ক্যান্টনমেন্টে। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে এর বর্তমান ঠিকানা সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে স্থানান্তর করা হয়। এই স্কুলে অফিসারেরা প্রত্যেকটা অস্ত্র বিষয়ক কোর্সে অংশ নিয়ে থাকেন। আর্মি ছাড়াও বাংলাদেশ নেভি, বাংলাদেশ রাইফেলস, পুলিশ, আনসার সদস্যরাও এখানে নানাবিধ কোর্সে অংশ নিয়ে থাকেন।
নতুন এই শতাব্দীতে আরও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। আর এসব চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও সব ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত আধুনিকায়নের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক দিকেরও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা অফিসারের চাহিদা পূরণের জন্য এরই মধ্যে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ, আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কলেজ, মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ (এএফএমসি) এর মত অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রতিভাবান সব সেনা অফিসারেরা, দেশের সেবাই যাদের জীবনের মূল ব্রত!
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট অবলম্বনে