আগাথা ক্রিস্টিঃ যার জীবনটাও ছিল একটা রহস্যে ভরপুর – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / সাহিত্য / আগাথা ক্রিস্টিঃ যার জীবনটাও ছিল একটা রহস্যে ভরপুর

আগাথা ক্রিস্টিঃ যার জীবনটাও ছিল একটা রহস্যে ভরপুর

রহস্য উপন্যাস কিংবা থ্রিলারধর্মী গল্পে যাদের আগ্রহ রয়েছে, আগাথা ক্রিস্টির নাম তাদের কাছে নমস্য। আগাথার অমর সৃষ্টি এরকুল পোয়ারো এবং মিস মারপল গোয়েন্দা গল্প উপন্যাসে দুটি অমর চরিত্র। গ্রাম্য পটভূমিতে আঁকা মিস মারপলের কথাই বলুন কিংবা ঝাঁটাগুফো সদাহাস্য, অমায়িক এরকুল পোয়ারোর কথাই বলুন- আগাথা দুটো চরিত্রই সৃষ্টি করেছেন নিপুণ তুলির আঁচড়ের সাহায্যে।
১৮৯০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর মহান এই লেখিকা জন্মগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের ডেভনে। পুরো নাম আগাথা ম্যারি ক্ল্যারিসা মিলার। সারা বিশ্বে তার বই বিক্রি হয়েছে ২০ কোটিরও অধিক কপি। লাখো পাঠকের বিনিদ্র রজনী কেটেছে যার বই পড়ে, সে আগাথা ক্রিস্টির জীবনেও কিন্তু রহস্য কম নেই; বরঞ্চ বলা যায়, তার জীবনটাই যেন একটা রহস্য উপন্যাসের গল্প। আসুন, এই মহান লেখিকার জীবনের কিছু রহস্য জেনে আসিঃ
১) আগাথার মা তাকে পড়াশোনা করতে দিতে চান নি!


আপনি জানেন কি, মহান এই লেখিকার লেখাই হয়ত আমরা পেতাম না যদি তার মায়ের ইচ্ছাই পূরণ হতো? আট বছরের আগ পর্যন্ত আগাথার মা তাকে কোন ধরনের স্কুলে পড়তে পাঠাতে নারাজ ছিলেন। আগাথার হাতে খড়ি হয়েছে নিজে নিজেই। অর্থাৎ, সেলফ স্কুলিংয়ের সাহায্যে আগাথার বর্ণ পরিচয় হয়েছে। আগাথার বয়স ১৫ হবার আগে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোন স্থানে পড়তে পাঠানোতেও নারাজ ছিলেন আগাথার মা। তিনি মেয়েকে বাড়িতেই শিক্ষক রেখে পড়ানোর পক্ষপাতী ছিলেন। অবশেষে আগাথার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের হস্তক্ষেপে তাকে প্যারিসে পড়তে পাঠানো হয়।
২) প্রথম উপন্যাস ছিল একটা বাজিঃ
ক্রিস্টির বোন মেজ তাকে বাজিতে হেরে যাবার ফলে শাস্তিস্বরুপ একটি উপন্যাস লিখতে বলেন। আগাথাও এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। রচিত হয় আগাথার প্রথম উপন্যাস দ্য মিস্টেরিয়াস এফেয়ার্স এট স্টাইলিস। এরকুল পোয়ারো চরিত্রটি এই গল্পে আবির্ভূত হয় এবং ১৯২০ সালের আগ পর্যন্ত ছয়জন প্রকাশক তার এই বইটি ছাপতে রাজী হন নি!
৩) এরকুল পোয়ারো চরিত্রটি একটি বাস্তব জীবনের ওপর ভিত্তি করে রচিতঃ
যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয় আগাথা ক্রিস্টির সবচেয়ে সেরা সৃষ্টি কোনটি, বিনাবাক্যব্যয়ে সকলেই একমত হবেন যে এরকুল পোয়ারোই হচ্ছে তার সেরা সৃষ্ট চরিত্র। সদালাপী, মিষ্টভাষী, বিশাল বড় গোঁফের অধিকারী এই চরিত্র কিন্তু কল্পনা নয়। আগাথা বাস্তব জীবনের ওপর ভিত্তি করেই এই চরিত্র তৈরি করেছিলেন। ১৯১০ সালের দিকে একবার আগাথা বাসে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। হঠাত স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে অদ্ভুত এক চরিত্রের দেখা পান। বেশ মজা লাগে তার। মাথায় গেঁথে ফেলেন সে চরিত্রটিকে। নাম না জানা এই মানুষটি নিজেও জানেন না যে এক লেখিকা তাকে দেখে পরবর্তীতে তৈরি করবেন অসাধারণ একটি চরিত্র।
৪) লাপাত্তা আগাথাঃ
১৯২৬ সালের কথা। ততদিনে আগাথার বেশ নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে। হঠাত করেই নিজের ফ্ল্যাট থেকে তিনি নিখোঁজ! কেউ কেউ হয়তো ধারণা করলেন পারিবারিক জীবনের অশান্তিই হয়তো এই লেখিকাকে বাধ্য করেছে খারাপ কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে। তার স্বামী আর্চি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি অন্য এক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এবং আগাথার সাথে বিচ্ছেদ চান। চারদিকে পুলিশ খুঁজতে শুরু করল লেখিকাকে। তবে কিছুদিন পরেই ফিরে এলেন তিনি। পরবর্তীতে তার আত্মজীবনীতে এমন কিছু উল্লেখ করেন নি। কেউ কেউ ভেবেছিল এটা স্রেফ একটা পাবলিসিটি স্টান্ট, আবার কেউ কেউ ভেবেছিল সাময়িক এমনেশিয়া ঘটেছিল লেখিকার।
৫) ছবি অপছন্দ ছিল লেখিকারঃ


যদিও আগাথা বেড়াতে গিয়ে ছবি তুলতে পছন্দ করতেন, কিন্তু কোন বইয়ের শেষের ফ্ল্যাপে যখন এর রচয়িতার ছবি দেয়া হতো, তা বেশ অপছন্দ ছিল তার। বেশ কয়েকবার তিনি বলেছেন যে বইয়ের শেষে এভাবে ছবি দেয়া তার পছন্দ নয়। হয়তো প্রচারবিমুখ ছিলেন আগাথা।
৬) ছদ্মনামে আগাথাঃ
আগাথা ক্রিস্টিকে সকলে রহস্য ঔপন্যাসিক হিসেবে জানলেও ছয় ছয়টি রোমান্টিক উপন্যাস আছে তার। তবে নিজের নামে এসব উপন্যাস তিনি ছাপেন নি। ব্যবহার করেছিলেন ছদ্মনাম। ম্যারি ওয়েস্টম্যাকোট নামে ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৫৬ সালের ভেতর ছয়টি প্রেমের উপন্যাস লেখেন আগাথা।
৭) প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা পছন্দ ছিল আগাথারঃ


স্বামী আর্চির সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যাবার পর ১৯৩০ সালে আগাথা বিয়ে করেন প্রত্নতাত্ত্বিক ম্যাক্স ম্যালোয়ানকে। স্বামীর সাথে সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান তিনি, উপভোগও করেন। ২০১৫ সালে হারপারকলিন্স প্রকাশনী তার ভ্রমণ বিষয়ক একটি মেমোয়ার প্রকাশ করে। যার নাম ছিল Come, Tell Me How You Live. এখানে ১৯৪৬ সালে লেখিকার লেখা ভ্রমণ বিষয়ক নানা কাহিনী বলা আছে। স্বামীর সাথে ঘুরলেও খোঁড়াখুঁড়িতে অংশ নিতেন না আগাথা। লেখা নিয়ে নানা ভাবনা তার মাথায় ছিল। তখন ভ্রমণ করবার জন্য একটা স্টেশন ছিল অরিয়েন্ট এক্সপ্রেস। পরবর্তীতে বিখ্যাত মার্ডার অন অরিয়েন্ট এক্সপ্রেস এই অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা হয়েছিল।

নানা অভিজ্ঞতা ও কর্মে ঠাঁসা ছিল গুণী এই লেখিকার জীবন। দূর্বোধ্য, রহস্যে ঘেরা আর উত্তেজনা তার জীবনেও কম ছিল না। হাজারো পাঠক এখনো গ্রোগ্রাসে গিলতে থাকে আগাথা ক্রিস্টির বই। নবীন থ্রিলার লেখকরা ধারণা পায় তার বইয়ের পাতায়। ১৯৭৬ সালের ১২ই জানুয়ারী বিখ্যাত রহস্য ঔপন্যাসিকা ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

About ahnafratul

লেখালেখি করতে ভালোবাসি। যখন যা সামনে পাই, চোখ বুলিয়ে নেই। চারদিকে তাকাই, উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। দুনিয়াটা খুব ছোট, তারচাইতেও অনেক ছোট আমাদের জীবন। নগদ যা পাই, হাত পেতেই নেয়া উচিত। তাই না?

Check Also

বিখ্যাত লেখকদের প্রকৃত নাম ও ছদ্মনামের পেছনের গপ্পো

বিখ্যাত অনেক লেখকই কিন্তু তাদের ছদ্মনামের পেছনে পেয়েছেন খ্যাতি। পোষাকী নাম তাদেরকে দিয়েছে অন্যতম একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *