আপনিও যদি আর দশজনের মতো গৎবাঁধা ভাষায় প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানান, তাহলে আর সবার সাথে আপনার পার্থক্যটা থাকল কোথায়? প্রিয়জনকে গোপনীয় কোনো ম্যাসেজ পাঠানোর জন্য বা কোন উৎসবের শুভেচ্ছায় ভিন্নতা আনার জন্য আমরা কত কিছুই না করি। মাঝেমাঝে আশ্রয় নিই সাংকেতিক কোডের। মোর্স কোড হতে পারে সেরকম একটি সাংকেতিক কোড। আসুন আগে আমরা জেনে নিই মোর্স কোড কি।
বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ যোগাযোগের জন্য কোন ভাষার বর্নকে মোর্স কোডে রুপান্তর করে পাঠানো হয়। স্যামুয়েল মোর্স ১৮৪০ সালে বৈদ্যুতিক প্রথম এ কোড তৈরি করেন। সাধারনত “ডট(ডিট)” এবং “ড্যাশ(ডাহ্)” এর মাধ্যমে কোন ভাষার letters, numerals, punctuation এবং special characters প্রকাশ করা হয়।
মোর্স কোডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি নানারকম ভাবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা যায়। শব্দ, চিহ্ন, পাল্স, রেডিও সিগনাল, রেডিও অন অফ, আয়নার আলো, লাইট অন অফ ইত্যাদি নানা উপায়ে মোর্সকোডের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করা যায়। একারনেই S O S মেসেজ পাঠানোর জন্য মোর্স কোড সবচেয়ে উপযোগী।
যেহেতু মোর্স কোডের মূল উপাদান দুটি তাই একে বাইনারির মাধ্যমও প্রকাশ করা যায়। এখন কাউকে যদি মোর্স কোডে SMS/Mail করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন
আপনার SMS/Mail টি Plain English এ টাইপ করুন এবং Translate বাটনটি চাপুন। আপনার message টি মোর্স কোডে রুপান্তরিত হল। এইবার শুধু কপি পেষ্ট এবং ফ্রি তে ওয়েব SMS করুন এই লিংক(http://www.chawt.com/)থেকে। এইবার যাকে পাঠাতে চান তার মেইল/SMS এর সাথে নিচের লিংকটিও পাঠিয়ে দিন। এখানে ক্লিক করুন (এটা শুধু মোর্স থেকে English এ Translate করার লিংক)
১৮৯০ সালের দিকে রেডিও কমিওনিকেশন এবং বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে telegraph lines, undersea cables এবং radio circuits এর মাধ্যমে দ্রুত গতি সম্পন্ন আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য মোর্স কোড ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। কিন্তু মোর্স কোডের characters এর variable দৈর্ঘ্যের কারনে স্বয়ংক্রিয় সার্কিট এর সাথে সমন্বয় করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীকালে ASCII কোডের আবির্ভাব ঘটে।
তারপরও বর্তমানকালে পেশাগত ভাবে পাইলট, এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনকারী, জাহাজের ক্যাপ্টেন, সামুদ্রিক স্টেশন চালনাকারীদের মোর্সকোডে খুবই ভাল দক্ষতা থাকতে হয়। আকাশে বিমান চালানোর সুবিধার্থে গঠিত বিভিন্ন বেইজ স্টেশন যেমন VHF Omni-directional Radio Range (VORs); Non-Directional Beacon (NDB) আকাশে চলমান বিমানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জন্য প্রতিনিয়ত নিজেরদের অস্তিত্ত্ব জানান দিতে মোর্স কোডের ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল কমিউনিকেশন কমিশন এখনো সামুদ্রিক যোগাযোগের জন্য মোর্সকোড ব্যবহার করে।