গণিত কে ভয় পান, এমন মানুষের বোধহয় অভাব নেই। তবে গণিতকে ভালবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যাটাও নিতান্ত অল্প না। গণিতকে ভালবেসে দিন রাত এক করে গবেষণাগারে নিজের জীবনের অন্যতম স্বর্ণালী মুহুর্তগুলো পার করে দিচ্ছেন, এমন বিজ্ঞানীদের সংখ্যাও কিন্তু অনেক। এছাড়াও ইতিহাসে আমরা অনেক গণিতজ্ঞ পাই, যারা গণিতের সাহায্যে পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলতে পেরেছেন। নানা ধর্মগ্রন্থেও লেখা আছে যে সমগ্র পৃথিবীটা একটি সুন্দর গাণিতিক নিয়মের মাধ্যমে আবর্তিত হচ্ছে। তবে গণিতের সমস্যার সমাধান করে যে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করা যায় তা কি জানেন? আজ এমনই কিছু গণিতের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে আপনাদের সাথে। এই গাণিতিক সমস্যাগুলোকে বলা হয় ‘ মিলেনিয়াম প্রাইজ প্রবলেমস ’।
সাতটি গাণিতিক সমস্যা
মিলেনিয়াম প্রাইজ প্রবলেমস হচ্ছে সাতটি গাণিতিক সমস্যা , যা ২০০০ সাল থেকে ক্লে ম্যাথমেটিকস ইন্সটিটিউটে জমা হয়ে আছে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই সাতটি গাণিতিক সমস্যা’র মাঝে মাত্র একটি সমস্যার সমাধান পাওয়া গিয়েছে ২০০৩ সালে। আসুন, এক নজরে দেখা যাক সাতটি সমস্যার নামঃ
১) বার্খ এন্ড সুইনারটন-ডায়ার কনজেকচার
২) হজ কনজেকচার
৩) নেভিয়ার-স্টোকস এক্সিস্টেন্স এন্ড স্মুদনেথ
৪) পি ভার্সাস এনপি প্রবলেমস
৫) পইনশার কনজেকচার
৬) রেইমান হাইপোথিসিস
৭) ইয়াং-মিলস এক্সিস্টেন্স এন্ড মাস গ্যাপ।
এই সাতটি গাণিতিক সমস্যা’র যে কোন একটি কেউ সমাধান করলে তার জন্য অপেক্ষা করছে একলক্ষ মার্কিন ডলার। রাশান গণিতজ্ঞ গ্রিগোরি পারেলমান ২০০৩ সালে পইনশার কনজেকচার সমস্যার সমাধান করেন। এ পর্যন্ত এটিই একমাত্র সমাধানকৃত সমস্যা।
গাণিতিক এই সমস্যা গুলো টেলিভিশনের রুপালী পর্দায় নানাভাবে সামনে এসেছে। ২০১৭ সালেই মার্কিন ছবি “ Gifted ”- এ দেখানো হয়েছে সাত বছরের একটি বাচ্চা নেভিয়ার স্টোকস সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করছে। এছাড়া ক্রাইম সিরিজ ল এন্ড অর্ডার, আমেরিকান ড্যাড সহ আরো কিছু টিভি সিরিজে বিভিন্ন গানিতিক সমস্যাকে আবহ করে এপিসোড তৈরি করা হয়েছে।
গণিতের প্রতি আপনার ভালোবাসা থাকলে চেষ্টা করে দেখবেন নাকি? কে বলতে পারে , হয়ত এক লক্ষ ডলার পেয়ে যেতে পারেন আপনিও। তবে তার জন্য লাগবে কঠোর অধ্যবসায় ও পরিশ্রম।
আজ তবে এ পর্যন্তই।আশা করি ভালো লেগেছে। প্রিয়লেখার সাথেই থাকুন।