গরুর মেজবান বিশেষত চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার হলেও সারা দেশের মানুষের পছন্দ তালিকায়ও তা স্থান করে নিয়েছে। তাই তো সারা বছর সবাই কম বেশি এই মজাদার রান্নাটির স্বাদগ্রহণ করতে থাকে। আর কোরবানির ঈদ হলে তো কথায় নেই। তবে চলুন তবে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেখে নেয়া যাক ঐতিহ্যবাহী এই খাবার রান্নার প্রণালিটি ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
১.গরুর মাংস ২ কেজি,
২.পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,
৩.রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ,
৪.হলুদ ও লাল মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ,
৫.ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
৬. সরিষার তেল ১ কাপ,
৭.মাংসের মসলা ১ চা চামচ,
৮.টক দই ১ কাপ,
৯.কাঁচামরিচ ১০/১২টি,
১০.গোলমরিচ ১ চা চামচ,
১১.দারচিনি ও এলাচ ৫/৬টি,
১২.জয়ফল ও জয়ত্রী আধা চা চামচ,
১৩. মেথি গুঁড়া ১ চা চামচ,
১৪. লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
মেজবানি মাংসের লাল রঙ আনার জন্য গোপন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। দোকানে লাল মরিচের গুঁড়া পাওয়া যায় যেটা খেতে খুব একটা ঝাল না কিন্তু মাংসের লাল রং করার জন্য এই ঝালের গুঁড়া ব্যবহার করা হয়।
গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, তেল, টক দই, হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ সহ সবমসলানিয়েঘণ্টাখানিকক্ষণমেরিনেটকরেরাখুন।
অর্ধেকপেঁয়াজতেলেভেজেবেরেস্তাকরেনিন।চুলায়হাঁড়িবসিয়েমেরিনেটকরামাংসকষিয়ে নিন। হাঁড়িতে ২ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষাতে হবে। মাংস থেকে পানি ঝরে গেলে মৃদু আঁচে মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে তারপর পেঁয়াজবেরেস্তাদিয়েগরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু গরুর মেজবানি মাংস।
দেখলেন তো কত সহজে তৈরি করে ফেলা যায় ভিন্নরকমের সুস্বাদু একটি রেসিপি? এই ইদে অবশ্যই বাড়িতে বানিয়ে দেখবেন এই বিশেষ মেন্যুটি আর কেমন লাগল তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না যেন। ভালো লাগলে রেসিপিটি শেয়ার করুন সবার সাথে। প্রিয়লেখার সাথেই থাকুন।