এখনো পর্যন্ত এবারের দলবদলের বাজারের সবচেয়ে আলোচিত খবর নেইমারের বার্সা ছেড়ে পিএসজি যাওয়ার গুজব। এখনো পর্যন্ত গুজবই বলতে হচ্ছে, কেননা কোন পক্ষই নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি এখনো। তারপরেও অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নেইমারের রিলিজ ক্লজ ১৯৫ মিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করে দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙ্গতে যাচ্ছে পিএসজি।
নেইমারের দলবদলের এই নাটকের মাঝেই স্পেনে প্রকাশিত হয়েছে বার্সেলোনার স্কোয়াডের সকলের রিলিজ ক্লজ। অর্থাৎ, বার্সেলোনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন খেলোয়াড়কে দলে নিতে হলে কোন ক্লাবকে কত অঙ্কের অর্থ খরচ করতেই হবে, সেটির একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী, বার্সেলোনার স্কোয়াডের সবচেয়ে কম মূল্যের খেলোয়াড়টিকে দলে ভেরাতেও অন্তত ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে হবে ক্লাবগুলোকে। আর সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়টিকে বার্সার অনিচ্ছায় নিতে হলে গুনতে হবে ২৬৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড!
স্প্যানিশ পত্রিকা স্পোর্ট এর সংবাদ অনুযায়ী, এই মৌসুমে নেইমারকে পেতেই ফ্রেঞ্চ ক্লাবটিকে খরচ করতে হবে ১৯৫ মিলিয়ন পাউন্ড। আর যদি কোন কারণে এই মৌসুমে তাঁকে না পায় পিএসজি, তাহলে সামনের মৌসুমে দলে টানতে হলে অতিরিক্ত গুনতে হবে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড!
বার্সার সাথে করা নেইমারের চুক্তি অনুযায়ীই এমনটা হবে। চুক্তিতে উল্লেখ আছে, সামনের মৌসুম শুরুর আগেই নেইমারের রিলিজ ক্লজ বেড়ে ২২১ মিলিয়ন পাউন্ড হয়ে যাবে।
বার্সায় সবচেয়ে বেশি রিলিজ ক্লজ কোন খেলোয়াড়ের, সেটি বুঝতে ফুটবল পণ্ডিত হতে হয় না। বিশ্বেরই অন্যতম সেরা খেলোয়াড় যিনি, তাঁর রিলিজ ক্লজই যে সর্বোচ্চ হবে, এতে আর আশ্চর্যের কি! নতুন চুক্তি অনুযায়ী মেসির রিলিজ ক্লজ নেইমারের চেয়েও প্রায় ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড বেশি, নির্দিষ্ট করে বললে অঙ্কটা ২৬৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড!
মেসি নেইমারের পর সর্বোচ্চ রিলিজ ক্লজ দলের অন্যতম চার স্তম্ভের। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, সার্জিও বুস্কেটস, লুইস সুয়ারেজ ও জেরার্ড পিকেকে বার্সেলোনার অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্লাবে নিতে হলে প্রত্যেকের জন্য খরচ করতে হবে ১৭৭ মিলিয়ন পাউন্ড করে।
এছাড়া প্রথম পছন্দের গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের রিলিজ ক্লজ ১৫৯ মিলিয়ন পাউন্ড, লেফট ব্যাক জর্ডি আলবার ১৩২.৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড। দুই মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ ও আর্দা তুরানের রিলিজ ক্লজ ১১০ মিলিয়ন পাউন্ড।
দলের পরীক্ষিত সেনানী হাভিয়ের মাশ্চেরানো এবং গত মৌসুমে দলে যোগ দেয়া আন্দ্রে গোমেজ ও পাকো আলকাসারের রিলিজ ক্লজ ৮৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ড করে।
দলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফিনহার রিলিজ ক্লজ ৬৬ মিলিয়ন। দলের দ্বিতীয় গোলকিপার ইয়াসপার সিলেসেন, ডিফেন্ডার অ্যালেক্স ভিদাল, লুকাস ডিগনে ও স্যামুয়েল উমতিতির রিলিজ ক্লজ ৫৩ মিলিয়ন পাউন্ড করে। এছাড়া তরুণ দুই মিডফিল্ডার ডেনিস সুয়ারেজ ও সার্জি রবার্তোর রিলিজ ক্লজ যথাক্রমে ৪৪.২৫ ও ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড। আর দলে সবচেয়ে কম রিলিজ ক্লজ তরুণ স্প্যানিশ স্ট্রাইকার জেরার্ড ডেলোফিউ এর। স্পেনের অনূর্ধ্ব ২১ এই অধিনায়কের রিলিজ ক্লজ রাখা হয়েছে ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড।
খেলোয়াড় | চুক্তির মেয়াদ | রিলিজ ক্লজ ( মিলিয়ন পাউন্ড) |
লিওনেল মেসি | ২০২১ | ২৬৫.৫ |
নেইমার | ২০২১ | ১৯৫ (সামনের মৌসুম থেকে ২২১) |
জেরার্ড পিকে | ২০১৯ | ১৭৭ |
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা | ২০১৮ | ১৭৭ |
সার্জিও বুস্কেটস | ২০২১ | ১৭৭ |
লুইস সুয়ারেজ | ২০২১ | ১৭৭ |
মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন | ২০২২ | ১৫৯ |
জর্দি আলবা | ২০২০ | ১৩২.৭৫ |
ইভান রাকিটিচ | ২০২১ | ১১০ |
আর্দা তুরান | ২০২০ | ১১০ |
আন্দ্রে গোমেজ | ২০২১ | ৮৮.৫ |
হাভিয়ের মাশ্চেরানো | ২০১৯ | ৮৮.৫ |
পাকো আলকাসার | ২০২১ | ৮৮.৫ |
রাফিনহা | ২০২০ | ৬৬ |
ইয়াসপার সিলেসেন | ২০২১ | ৫৩ |
লুকাস ডিগনে | ২০২১ | ৫৩ |
অ্যালেক্স ভিদাল | ২০২০ | ৫৩ |
স্যামুয়েল উমতিতি | ২০২১ | ৫৩ |
ডেনিস সুয়ারেজ | ২০২০ | ৪৪.২৫ |
সার্জিও রবার্তো | ২০১৯ | ৩৫ |
জেরার্ড ডেলোফিউ | ২০১৯ | ৩১ |