প্রেসিডেন্ট, তাও যদি আবার হন বিশ্বের মাথা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তাহলে তার ভাবগাম্ভীর্য যে আকাশ ছোঁয়া হবে এমনটাই অনুমেয়। অথচ এই প্রেসিডেন্টরাই মাঝে মাঝে ঠাট্টার বসে কিংবা মুখ ফসকে এমন সব কথা বলে ফেলেন যার জন্য মুহূর্তের মধ্যে মানুষের কাছে হাসির পাত্র বনে যান তারা। পরে সেই “মহামূল্যবান” উক্তি সামলাতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হয় গোটা সরকারি দলকে।
বন্দুকের গুলি আর মানুষের মুখের কথা- দুটোর কোনটাই একবার বের হয়ে গেলে আর ফিরিয়ে নেয়া যায় না, তা যত দুর্ভাগ্যবশতই বেরিয়ে যাক না কেন। প্রেসিডেন্টদের এমন কিছু বেফাঁস উক্তি নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের আয়োজন।
রোনাল্ড রেগানঃ
“আমার প্রাণপ্রিয় আমেরিকাবাসী, আপনার জেনে খুশি হবেন যে আমি এই মাত্র একটি আইনে স্বাক্ষর করেছি যাতে রাশিয়াকে চরমপন্থি হিসেবে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে বোমা হামলা শুরু হতে যাচ্ছে”।
(প্রেসিডেন্ট দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রেগান ক্যামেরা বন্ধ থাকা অবস্থায় মজা করে কথাগুলো বলেছিলেন, তবে দুর্ঘটনাবশত তার মাইক্রোফোন চালু ছিল)।
বারাক ওবামাঃ
“কে এই বারাক ওবামা? যে গুজবগুলো আপনার শুনেছেন তা একদমই ঠিক নয়। আমি কোন গামলার মধ্যে জন্মগ্রহণ করিনি। আমি তো আসলে ক্রিপটনে জন্মেছিলাম আর আমার বাবা জর-এল পৃথিবী নামক গ্রহটি বাঁচাতে আমাকে এখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন ”।
(নিউ ইয়র্কের একটি শিশুদের জন্য অর্থ সংগ্রহমূলক আন্দোলনে গিয়ে তিনি এই উক্তিটি করেন)
আব্রাহাম লিংকনঃ
“যদি এটা চা হয় তাহলে আমার জন্য কফি নিয়ে এসো, আর যদি এটা কফি হয় তাহলে এটা পাল্টে আমাকে চা দাও”।
রিচার্ড নিক্সনঃ
“তুমি জানোই না কিভাবে মিথ্যা কথা বলতে হয়। যদি মিথ্যা বলতে না পার তাহলে জীবনে কিচ্ছু করতে পারবে না”।
বিল ক্লিনটনঃ
“আমি ঠিক জানি না এটা কি আমেরিকার সবচেয়ে সুন্দর পাবলিক হাউজ নাকি আমেরিকার পেনাল ব্যবস্থার মুকুটের জ্বলজ্বলে হীরে”।
(এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউস সম্পর্কে এই উক্তি করেন তিনি)।
থিওডোর রুজভেল্টঃ
“সিনেটে যখন রোল ডাকা হয়, সিনেটররা জানেন না তখন আসলে কি উত্তর দেয়া উচিত – ‘আমি উপস্থিত’ নাকি ‘আমি অপরাধী নই’”।
ওয়ারেন জি. হারডিংঃ
“আমি এই অফিসে বসার উপযুক্ত নই এবং কখনই আমার এখানে আসা উচিত হয়নি”।
(দীর্ঘদিন যাবত প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ থাকার পর)
ফ্র্যাংক্লিন ডিলানো রুজভেল্টঃ
রুজভেল্ট একবার সাহচর্যদের জিজ্ঞেস করছিলেন তার স্ত্রী এলিনোর কোথায়। উত্তরে বলা হল তিনি কারাগার পরিদর্শনে গেছেন। সাথে সাথে রুজভেল্ট বলেন, “ওহ সে কারাগারে? আমি খুব একটা অবাক হইনি, কিন্তু তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হল কেন?”
ফ্র্যাংক্লিন পিয়ারসেঃ
“মদ্যপ হয়ে বসে থাকা ছাড়া আমার আর কিচ্ছু করার নেই”
(অফিস ছাড়ার পর তিনি কি করবেন এই প্রশ্নের উত্তরে অভিযোগের সুরে এ কথা বলেন তিনি)
জন অ্যাডামসঃ
“এই প্রেসিডেন্টের অফিসে যিনি একবার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন তিনি কখনই তার পরবর্তী বন্ধুকে মন থেকে অভিনন্দন জানাতে পারবেন না”
এখানেই শেষ নয়। প্রেসিডেন্টরা যতদিন আছেন তাদের উক্তিও ততদিনই চলবে। এমনই আরও অনেক মজার ও নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে প্রিয়লেখার সাথেই থাকুন।
তথ্যসূত্রঃ http://people.com
http://www.latintimes.com