ফেসবুকে যে ৮টি তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ পুলিশের – Creative IT Blog
Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611

Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home1/cjsmpham/_addon/priyolekha.com/wp-content/plugins/taqyeem/taqyeem.php on line 611
Home / টিপস / ফেসবুকে যে ৮টি তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ পুলিশের

ফেসবুকে যে ৮টি তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ পুলিশের

 

 

ফেসবুক ইউজারদের নিরাপত্তার স্বার্থে ৮টি তথ্য অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রপলিটন পলিশ (ডিএমপি)। গত বুধবার সংস্থাটির ফেসবুক ফ্যান পেজে আপলোড করা এক পোস্টে এসব পরামর্শ দেওয়া হয়।

পোস্টে বলা হয়, ফেসবুক ব্যবহারে অসচেতনতায় আমরা প্রায়শই নিজেরাই নিজেদের অনিরাপদ করছি। লোকেশন ট্যাগসহ নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি অপরাধীদের সহজলভ্য করে দেই।

অপরাধীরা এসব তথ্য ব্যবহার করে খুব সহজেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে। এ কারণে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যদি সবাই সচেতনভাবে ফেসবুক ব্যবহার করি তাহলে অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো এড়ানো সম্ভব।

নিচে সে ৮টি তথ্য কী তা তুলে ধরা হলো :
জন্ম তারিখ : অনেকেই নিজের জন্ম তারিখ ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। এটি আপনার জন্য অনিরাপদ। কারণ তথ্য প্রযুক্তির যুগে জন্ম তারিখ থেকেই অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন হ্যাকারা। অথবা যেকোনো শত্রু এই বিশেষ দিনে টার্গেট করে আপনার ওপর হামলা চালাতে পারে। তাই ফেসবুকে জন্মতারিখ উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

শিশু কোথায় পড়াশুনা করে : গত কয়েক বছরের যৌন ও শিশু বিষয়ক অপরাধগুলো গবেষণা করে ইংল্যান্ডের শিশু বিষয়ক সংস্থা এনএসপিসিসি জানান, অধিকাংশ অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অসচেতন ছিলেন। এজন্য অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো ঘটেছে।

অথচ অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়ে অবেগাপ্লুত হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। সেইসঙ্গে স্ট্যাটাসে জানিয়ে দেন, তার শিশু কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এটি শিশুর জন্য নিরাপদ নয়। এতে শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।

শিশুর ছবি : অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, ‘শিশুদের নিয়ে যেকোনো তথ্য পাবলিকের কাছে শেয়ার করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। যদিও অনেকেই শিশুদের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল, শত্রুরা আপানার শিশুকে চিনে রাখলো। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুটিকে অপহরণ করলো।’

বর্তমান অবস্থান : যেখানে সেখানে সেলফি তুলে লোকেশন ট্যাগ করে দেওয়াটা অনিরাপদ। এর মাধ্যমে যে কেউ আপনার সবশেষ অবস্থান জানতে পারে। ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল, আপনার অবস্থান জেনেই শত্রুপক্ষ আপনার ওপর হামলা করলো।

কখন এবং কোথায় যাচ্ছি : দেখা যায়, আমরা কখন, কোথায় যাচ্ছি কিংবা ভ্রমণে বের হচ্ছি সে বিষয়টি ফেসবুকে জানিয়ে দিই। যা মোটেও নিরাপদ নয়। এই বিষয়গুলো জেনে আপনার প্রতিপক্ষ ক্ষতি করতে পারে। হয়তো শত্রুপক্ষ আপনার এমন তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো। সেটি জেনে আপনার ওপর হামলা করতে পারে। ফেসবুকে এসব বিষয়ের জানান দেওয়া নিজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করা : অনেক সময় ফেসবুকে নিজের অবস্থানের নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করে দেন অনেকেই। ওই সময় আপনার প্রোফাইল যে ভিজিট করবে, সে জানতে পারবে এখন আপনি কোথায় আছেন। সেটি বাসায় কিংবা অফিসে হোক। দেখা গেল, এভাবে কেউ আপনার বাসা ও অফিসের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখলো। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে আপনার ক্ষতি করলো। আর এ জন্য ফেসবুকে লোকেশন ট্যাগ করা মোটেও নিরাপদ নয়।

ফোন বা মোবাইল নম্বর : অনেকেই মোবাইল কিংবা ফোন নাম্বার ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। যা সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ। দেখা গেলো, শত্রুপক্ষ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে এবং সুযোগ বুঝে কাজ করে। পাশাপাশি যে কেউ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, সময়ে অসময়ে কল দিয়ে বিরক্ত করার সুযোগ পায়। মোবাইল বা ফোন নম্বর ব্যক্তিগত গোপনীয় জিনিস। পরিচিত ব্যক্তিদের ছাড়া কাউকে ফোন কিংবা মোবাইল নম্বর দেওয়া নিরাপদ নয়।

ক্রেডিট কার্ডের তথ্য : ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে গোপন ও স্পর্শকাতর বিষয়। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইট বুঝেই দিতে হবে। যাতে আপনার দেওয়া তথ্য তাদের কাছে সুরক্ষিত থাকে।

About চৌধুরী সাহেব

Check Also

মোবাইল সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা

যত দিন যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে উঠছে স্মার্টফোন। দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠছে এই …