নারীদের কাজ নিয়ে এখনো ঘরে ঘরে চলছে নানা অসন্তোষের ঝড়। সব বাধা পেরিয়েও এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্যারিয়ারের বৈচিত্র্যময় পরিসর, আইন ও ব্যবস্থাপনা কাজে নিয়োজিত নারীরা সবচেয়ে বেশি বেতন পান।
আইনজীবীরা ব্যবসা, অলাভজনক বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের আইনি সমস্যা ও আইনগত বিরোধ মেটাতে ব্যক্তিগত খদ্দেরদের প্রতিনিধিত্ব করেন ও পরামর্শ দেন। আইনজীবী হয়ে উঠতে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি ও তিন বছরের আইন স্কুল প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেশাদারভাবে কাজ করার জন্য আইনজীবীদের রাষ্ট্রের বার পরীক্ষায় পাস করতে হবে। আইন অনুশীলন করার জন্য প্রার্থী যোগ্য কিনা, তা নির্ধারিত হয় এই পরীক্ষার মাধ্যমে। সেখানে নারী আইনজীবীরা প্রতি সপ্তাহে আয় করেন ১ হাজার ৫৯০ ডলার অথবা বছরে ৮২ হাজার ৬৮০ ডলার।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা একটি কোম্পানির পরিকল্পনা, সমন্বয় ও কার্যকলাপ তত্ত্বাবধায়নের সঙ্গে জড়িত। তারা কোম্পানির লক্ষ্যপূরণে কাজ করেন। থাকেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিল্প শাখায় কর্মরত। গড়ে ব্যবস্থাপনা পদে তাদের বেতন সর্বোচ্চ, কাজও করেন দীর্ঘ সময়ব্যাপী এবং কোম্পানির সাফল্যের জন্য মূলত তারা দায়গ্রস্ত। নারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতি সপ্তাহে আয় করেন ১ হাজার ৫৭২ ডলার, যা বার্ষিক আয়ে গিয়ে পৌঁছে ৮১ হাজার ৭৪৪ ডলারে। বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে সিন্ধুজার নাম। ‘আমি অ্যানিমেশনের কাজটি পছন্দ করি এবং এটাই করে যেতে চাই। এর অংশ হিসেবে আমাকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে’, এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই বলেছিলেন সিন্ধুজা রাজামারন।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিচালকরা মূলত হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ওয়েব ডিজাইন ডাটাবেজ উন্নয়ন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন। আইটি ম্যানেজাররা (তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপক) এ ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো বিষয়ে স্নাতক শেষ করে পেশায় আসেন। নারী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপকরা সপ্তাহে আয় করেন প্রায় ১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার, যা বছরের হিসেবে দাঁড়ায় ৭৯ হাজার ৫০০ ডলারে।
সফটওয়্যার ডেভেলপারদের কাজ কম্পিউটার প্রোগ্রাম উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করা। তারা ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে বর্তমান সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য কোড লিখতে সাহায্য করেন। নারী সফটওয়্যার ডেভেলপারদের বেতন বছরে ৭৫ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার প্রায়।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী দলের নতুন সদস্য নিয়োগ করে থাকেন। তাছাড়া তারা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণসহ নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। একজন নারী মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক গড়ে বছরে প্রায় ৭০ হাজার ডলার বেতন পান।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেতনভোগী নারীরা বহাল রয়েছেন ফার্মাসিস্ট, সেবিকা, থেরাপিস্ট ও ক্রয় ব্যবস্থাপক পদে।