বর্তমান বিশ্ব আবর্তিত হচ্ছে প্রযুক্তিকে ঘিরে। কিন্তু প্রযুক্তি যতই পাচ্ছে বিস্তার ততই কমছে কর্মসংস্থানের হার। কিন্তু কথাটি কতটি যৌক্তিক? আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর দিকে ফিরে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো সেখানে জনসংখ্যার হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তাই উন্নত দেশের সরকারগুলো জনসংখ্যা বাড়াতে নিচ্ছে বহুমুখী উদ্যোগ।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলতে কি বুঝায়?
“ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড” (ডিডি) শব্দটি বলতে বর্ধিত জনসংখ্যা দ্বারা অর্জিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বোঝায়। যখন কোন দেশের জনসংখ্যায় কর্মক্ষম শ্রম শক্তির হার অকর্মণ্য জনসংখ্যার চেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায় তখন তাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলে। যখন কোন দেশের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম থাকে এবং তাদের বয়স ১৫ হতে ৫৯ বছরের মধ্যে হয় তখন তা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর মধ্যবর্তী দেশ।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড- মধ্যবর্তী দেশের বৈশিষ্ট্যঃ
কেন বিশ্ব আজ ভাবছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নিয়েঃ
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের অপার সুবিধা ও সম্ভাবনা এই ভাবনার জন্য দায়ী। এই সুবিধার মধ্যে রয়েছেঃ
‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’- কে ব্যবহার করে উন্নত দেশের কাতারে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে নিয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন অনেক দিন পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে পিছিয়ে ছিল। আশির দশক থেকে তাদের সেখানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে চীন তার বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করেছে। বর্তমানে তারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে চীন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও অতিক্রম করে যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এরই মধ্যে চীন পার্চেজিং পাওয়ার প্যারেটির (পিপিপি) ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে। অপরদিকে ভিয়েতনাম ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড- এ প্রবেশের পরিকল্পনা করে ১৯৯৬-৯৭ সালে। আর ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কে কাজে লাগাতে ভিয়েতনাম সরকার বেছে নেয় পর্যটন শিল্পকে। এছাড়াও ছিল আইসিটি শিল্প ও গার্মেন্টস শিল্প।
‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ বনাম বাংলাদেশের সম্ভাবনাঃ
বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনার দেশ। যদি জানতে চাওয়া হয় এই দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি? যে কেউ এককথায় বলবে ‘জনসংখ্যা বিস্ফোরণ’। কিন্তু এই জনসংখ্যা যদি রূপান্তরিত হয় জনসম্পদে ! ঠিক এমন সম্ভাবনার কথাই বলছেন বিশ্বসেরা জনসংখ্যাবিদরা। যে তত্ত্বটির সূত্র ধরেএই তথ্যটি বহুল আলোচিত, সেই তত্ত্বটির নাম “ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড”।
বাংলাদেশ কেন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে আসুন তা পরিসখ্যানের ভিত্তিতে বুঝি। ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনশক্তি ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৯৮ লাখে। আর ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ১৩ কোটি ৬০ লাখে উন্নীত হবে।
আয়ুষ্কাল, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি—মানব উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন সূচকে বাংলাদেশের অর্জনের অবস্থান বেশ উল্লেখযোগ্য। গোল্ডম্যান স্যাক্স সমীক্ষা-পর্যালোচনা করে ব্রিক গোষ্ঠী, অর্থাৎ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন ছাড়া সম্ভাবনাময় পরবর্তী একাদশ নেক্সট ইলেভেন নামের দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, ২০৫০ সালে প্রবৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশ পশ্চিমা দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প খাত সমূহ যেখানে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ বয়ে আনতে পারে আশীর্বাদঃ
এছাড়াও যে শিল্পের কথা না বললেই নয় তা হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। তথ্যপ্রযুক্তিতে পারঙ্গম তরুণদের উদ্যোগে নানামুখী আউটসোর্সিং তথ্য বিজনেস প্রসেসিং শিল্পের প্রসার ঘটেছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সেরা ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সেরা দ্বিতীয় হিসেবে তালিকায় তার স্থান করে নিয়েছে।
চিত্রঃ অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট এর করা স্টাডিতে ফ্রিল্যান্সিং-এ বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় (অনলাইন লেবার ইনডেক্স)
বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট এর করা স্টাডিতে ফ্রিল্যান্সিং-এ বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় বলে দেখানো হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী ‘অনলাইন লেবার’-এ ‘সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, ক্রিয়েটিভ, মাল্টিমিডিয়া, ক্ল্যারিক্যাল, মাল্টিমিডিয়া ও ডাটা এন্ট্রি’-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানসহ বিপণন সহায়তায় বাংলাদেশ অন্যসব দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশের তরুণ সম্প্রদায় ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে উন্নতির শিখরে নিজেদের মেধা ও প্রযুক্তি দক্ষতায়। আর তাদের সেই প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে চলেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি প্রতিষ্ঠান সমূহ। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটি যারা বিগত ১০ বছরে প্রায় ৩০,০০০ এর অধিক জনসম্পদকে প্রফেশনাল আইটি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করেছে। এছাড়াও প্রযুক্তি দক্ষ কারিগরদের দিয়েছে সম্মাননা ও জব প্লেসমেন্ট সুবিধা।
ক্রিয়েটিভ আইটি’র পরিচালিত প্রফেশনাল আইটি কোর্সের মধ্যে রয়েছেঃ
প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইন:
নানা মুনি নানা মত- যত মত ঠিক ততটাই পথ- গ্রাফিক ডিজাইন, কে বলা হয় একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট, এমন একটি বিষয় যেখানে আপনি কিন্তু শিখছেন যোগাযোগেরমাধ্যম। আপনি সৃষ্টি করছেন ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন। একটিমাত্র লোগো, বিজনেস কার্ড এর সাথে আপনার ক্লায়েন্টের মতাদর্শে সৃষ্টি করছেন ব্র্যান্ড ইমেজ। তাহলে ভাবুন তো আপনার গুরুত্ব। বিশ্বের সফল সৃজনশীল পেশা হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইন সবসময়ই রয়েছে চাহিদার শীর্ষে।
ক্রিয়েটিভ আইটি’তে গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সঃ
ক্রিয়েটিভ আইটি’তে রয়েছে ৩ মাস মেয়াদী গ্রাফিক ডিজাইন বেসিক কোর্স, এছাড়াও রয়েছে অ্যাডভানস গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স (মার্কেটপ্লেস স্পেশাল), ১ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট কোর্স।
ক্রিয়েটিভ আইটি’র গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সে যে বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়ঃ
তাই যারা গ্রাফিক ডিজাইনের মত সৃজনশীল পেশায় গড়তে চাইছেন ক্যারিয়ার, সাফল্যের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন ক্রিয়েটিভ আইটি’কে।
প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ
আপনি কোন তথ্য দেখতে চাইলে কোথায় সার্চ করেন? অবশ্যই গুগলের মত সার্চ ইঞ্জিনে। আর সেখানে আপনি অবশ্যই খুঁজে পাবেন বিভিন্ন ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট টি দেখতে কেমন হবে, তার কালার, লে আউট, কোথায় সাইডবার বসবে, ইন্টারফেস কেমন হবে এই সব নির্ধারন করে ওয়েব ডিজাইন।
আপনার বানানো ওয়েব সাইট ডায়নামিক করতে অর্থাৎযে কোন ডিভাইসে যেন তা রেস্পন্সিভ হয় দেখার দায়িত্ব একজন ওয়েব ডেভেলপারের।
একজন সফল ওয়েব ডিজাইনার কে কোন বিষয় গুলো জানতে হয়ঃ
Sergei Garcia জনপ্রিয় ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার এর মতে যারা বেসিক ভালো করতে চান তাদের যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজনঃ
KELLI SMITH বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা তার মতে একজন ওয়েব ডিজাইনার এর মাঝে ২টি স্কিল এর সমন্বয় থাকতে হবে। তা হচ্ছে টেক স্কিল ও সফট স্কিলঃ
এই দুই স্কিলের অন্তর্ভুক্ত ৯টি বিষয় রয়েছে। সেগুলো হচ্ছেঃ-
আপনার স্বপ্নকে দক্ষতায় রুপান্তরিত করতেই আমরা চালু রেখেছি ক্রিয়েটিভ আইটি’র ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট কোর্সটি।
লারাভেল অ্যাপ্লিকেশনঃ
লারাভেল নিউ জেনারেশন ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক যা ২০১১ সালে পরিচিতি লাভ করে টেলর ওটওয়েল এর হাত ধরে। লারাভেল কে বেষ্ট ফ্রিল্যান্সার পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক ও বলা হয়। কারণঃ-
যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহী তাদের জন্য ক্রিয়েটিভ আইটি তে রয়েছে বিশেষ অফার।
প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিংঃ
বর্তমানে শেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ভিডিও। কারন একটি ভিডিও খুব সহজেই আপনাকে নতুন কিছু শেখাতে পারে। ঠিক সে কারনেই ইউ টিউব আজ বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তাহলে কেন বেছে নিবেন না সময়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেশা ভিডিও এডিটিং!!!
ভিডিও এডিটিং এমন একটি মজার পেশা যা শিখে আপনি তৈরি করতে পারবেনঃ
যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহী তাদের জন্য ক্রিয়েটিভ আইটি তে রয়েছে ৩মাস মেয়াদী বিশেষ কোর্স।
প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটিংঃ
অনলাইন মার্কেটিং বলুন, ডিজিটাল মার্কেটিং বলুন, ওয়েবসাইট মার্কেটিং বলুন বা ইন্টারনেট মার্কেটিং সবগুলো কিন্তু একই। যখন কোন পণ্য বা সেবা আমরা ডিজিটাল মাধ্যম বা সোশ্যাল চ্যানেল ব্যবহার করে বিক্রয় করছি, কোন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড নেম সৃষ্টি করছি, তখন যদি আমরা ব্যবহার করি ডিজিটাল মাধ্যম তখন তাকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বলি। কিন্তু এই ডিজিটাল মার্কেটিং যে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়। উদাহরণস্বরূপঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উদাঃ- ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং ইত্যাদি। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর উদাঃ হতে পারেঃ- আর্টিকেল, মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদি।
আপনি হতে পারেনঃ
ক্রিয়েটিভ আইটিতে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে রয়েছে ৩মাস মেয়াদী কোর্স।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ
কোনো ওয়েবসাইটকে গুগলের শীর্ষে নিয়ে আসার পেছনে অবদান রয়েছে “SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন” এর। SEO এর নানা কলাকৌশলের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই নিজেদের সার্ভিস বা পণ্য সম্পর্কিত ওয়েবপেইজকে গুগলের শীর্ষে আনতে চায়।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ২ টি অংশ যা আপনাকে তৈরী করতে পারে একজন দক্ষ গুগল স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবেঃ
এছাড়াও আছে –
এই সম্পর্কে ৩ মাস মেয়াদী কোর্স রয়েছে ক্রিয়েটিভ আইটিতে।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি ইন্টারনেট মার্কেটিং সিস্টেম যেখানে আপনি Amazon , eBay প্রভৃতি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সহযোগী হিসেবে তাদের পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে বিক্রয় করে কমিশন ভিত্তিক আয় করতে পারেন। জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, ক্লিক ব্যাংক, সিপিএ এম্পায়ার, শেয়ার এ সেল, কমিশন জাংশন ইত্যাদি।
সম্ভাবনা ও জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে ক্রিয়েটিভ আইটি এবার নিয়ে এসেছে যুগোপযোগী বিষয় অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েশন। কোর্সটি ৩মাস মেয়াদী।
প্রফেশনাল ইন্টেরিয়র ডিজাইন:
ইন্টেরিয়র ডিজাইন হচ্ছে শিল্প বোধ, জ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলিত ব্যবহার। যদি ইন্টেরিয়র কি জিজ্ঞেস করা হয়, তবে সহজেই প্রথম যে উত্তরটি পাওয়া যায় তা হচ্ছে একটি গৃহের অন্দর সজ্জা।ইন্টেরিয়র ডিজাইন হচ্ছে কিছু বিষয়ের সমন্বয় যার মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্য( Aesthatic Beauty) , আরাম(comfort zone with health and safety), দক্ষতা (Efficient Practice) , অর্থনীতি (Economical Expense) বা স্থায়িত্ব (Durabi।ity)”
এক্সটেরিয়র ডিজাইন হচ্ছে যে কোন স্ট্রাকচার বা কাঠামোর বাহ্যিক রূপ। যার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় সঠিক কম্পোজিসন, এন্ট্রি ও এক্সিট, ওপেনিং, ম্যাটেরিয়াল, টেক্সচারস, আবহাওয়া প্রভৃতি। এক কথায় এক্সটেরিয়র ডিজাইন হল বিল্ডিংয়ের বাইরের নকশা ডিজাইন করা। যার মধ্যে রয়েছে প্রবেশপথ, ছাদ, এবং কাঠামোগত হাজারো মৌলিক উপাদান। ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে যেমন আর্কিটেকচারাল তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োজন, ঠিক তেমনই এক্সটেরিয়র ডিজাইনে সিভিল এর তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান আবশ্যক। যা ক্রিয়েটিভ আইটি আপনাদের শিখাবে হাতে-কলমে।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার পেশাজীবী হিসেবে কাজ করতে পারেনঃ
কাজ করার সুযোগ রয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতেওঃ
ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের জন্য মার্কেট প্লেসগুলোতেও রয়েছে কাজের অনেক সুযোগ। চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন upwork, fiverr, peopleperhour, 99designs, Arkbazar থেকে। জানতে পারবেন ফ্রীল্যান্সার ইন্টেরিয়র ডিজানারদের চাহিদা ও তাদের আয়ের ধরন।
ইউ আই- ইউ এক্স ডিজাইনঃ
চাই মোবাইল/ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন হোক, চাই হার্ডওয়্যার হোক কিংবা সফটওয়্যার,যে কোন কিছুর আউটলুক কেমন হবে তা জানতে হলে আমাদের অবশ্যই লাগবে ইউজার ইন্টারফেইস সংক্ষেপে ইউআই। (User Interface/UI) কোন অ্যাপের প্রাথমিক চেহারাই(Primary Outlook) হচ্ছে ইউআই বা ইউজার ইন্টারফেস।অপরদিকে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বা ইউএক্স বলতে বুঝায়, কোন অ্যাপ, হার্ডওয়্যার/সফটওয়্যার একজন ইউজার কত স্বাচ্ছন্দ্যে (User Friendly Way) ব্যবহার করতে পারবে তা নির্ধারণ করা।
ক্রিয়েটিভ আইটিতে রয়েছে ৩মাস মেয়াদী ইউ আই- ইউ এক্স ডিজাইন কোর্স।
থ্রী-ডি অ্যানিমেশন ও মোশন ডিজাইনঃ
মোশন গ্রাফিক ডিজাইনাররা সাধারণত গ্রাফিক ডিজাইনের প্রিন্সিপল কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি করে ডিজিটাল অ্যানিমেশন। কাজ করে অডিও ভিজ্যুয়াল মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন নিয়ে। মোশন ডিজাইনাররা যে ৩টি এলেমেন্টের সমন্বয়ে তাদের প্রোজেক্ট রেডি করেন সেগুলো হলোঃ
চলুন জানি মোশন ডিজাইনারা কি ধরণের কাজ করেনঃ
যুগোপযোগী ও আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়ার বিষয় হতে পারে মোশন ডিজাইন। তাই সময়ের প্রয়োজনে ক্রিয়েটিভ আইটি নিয়ে এসেছে মোশন ডিজাইনিং কোর্স। এছাড়াও দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইন প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে ক্রিয়েটিভ আইটি’র অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ক্রিয়েটিভ-ই স্কুল।চাই অনলাইন বা অফলাইন ডিজিটাল বাংলাদেশ কে দিতে সেরা ডিজিটাল প্রতিভা ক্রিয়েটিভ আইটি রয়েছে সর্বোপরি এগিয়ে।
পাঠক মাত্র ভাবতে পারেন এই বিষয়গুলোর মধ্যে কোনটি ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্তপেশায় আয়ের ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। যে কোন বিষয়ই কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম যদি বিষয়টি আপনার পছন্দের হয়, সে বিষয় নিয়ে আপনি ‘প্যাশনেট’ হন।
কনফুসিয়াস বলেছেন,” সেই কাজটিকে বেছে নিন যেটাকে আপনি পছন্দ করেন, তারপরে সারাজীবনে আপনি একদিনও কাজ করবেন না।”
এই কথা দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ করলে আপনি কখনো ক্লান্তি অনুভব করবেন না,তাহলে সাফল্য তো আপনার দরজায় কড়া নাড়বেই।
তাই আজই বেছে নিন নিজের পছন্দের বিষয়, আত্মকর্মসংস্থান এ গড়ুন নিজের সাফল্য।, মুক্তপেশায় আসুক স্মার্ট আয় ও স্বাবলম্বিতা এই আমাদের কামনা।
জানতে ক্রিয়েটিভ আইটি সম্পর্কে আরও অনেক কিছু ভিজিট করুন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/CreativeITInstitute/ অথবা
https://www.youtube.com/channel/UCoAYYQs4FQkKliI8dUEV2Aw
আমাদের দেশের অযুত সম্ভাবনাকে আসুন কাজে লাগাই। নির্মাণ করি স্বনির্ভর উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ।