আধুনিক সময় যেন মুঠোফোন ও ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগত এ বন্দী। আজ বন্ধুত্বের সাড়া মেলে স্ন্যাপ চ্যাট,ভাইবার,ইমো,ফেসবুকের মেসেঞ্জার এর ইন বক্সে, এই যান্ত্রিক জগতের ব্যস্ততায় সবার আলাপ যখন সন্ধিক্ষণের, তখন সুশীল সমাজ সহ অনেকেই আজ ভাবছেন, আচ্ছা সবাই কি বই পড়া ভুলে গেছে ? আচ্ছা পাঠক আপনার কি মনে হয় আজকের প্রজন্ম বই পড়তে ভুলে গেছে? না আমার কেন যেন তা বিশ্বাস হতে চায় না। আমাদের ভালোবাসায় তো সেই ছোটবেলার চাচা চৌধুরী থেকে শুরু করে ফ্যান্টম, হী-ম্যান, তিনগোয়েন্দা, মাসুদ রানা, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, প্রফেসর শঙ্কু, পাণ্ডব গোয়েন্দা হয়ে দীপু নাম্বার টু, শার্লক হোমস এর নাম পর্যন্ত চলে আসে। এমন কি বয়স ও মননশীলতার পরিবর্তনে আমরা পড়ে ফেলি হীমুর হাতের ৩ টি নীলপদ্ম, শুভ্র বা মিসির আলী অমনিবাস। আবার পড়ি ড্যান ব্রাউন এর দ্যা ডি ভিঞ্চি কোড কিংবা লস্ট সিম্বল, স্টেফানি মেয়ার এর টোয়ালাইট সাগা বা জে কে রাওলিং এর হ্যারি পটার। হার্জের টিনটিন-ই বাদ যায় কেন? মোট কথা পড়তে কিন্তু আমরা ভালোইবাসি। যতই প্রজন্ম হয়ে যাক গেমার কিংবা সোশ্যাল সাইটস অ্যাডিক্টেড, আমি তাদের দেখেছি মুঠোফোনে জনপ্রিয় জাপানী অ্যানিমেও পড়তে।
তবু মাঝে মাঝে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন কেন যেন আগের মত বই পড়া হচ্ছে না। ভারতেও এই অবস্থাই চলছিলো। সোশ্যাল প্রেশার, পড়াশোনা, ক্যারিয়ার এর তীব্র প্রতিযোগিতা, র্যাগিং- সমস্যার কি অন্ত আছে ? আর তার মধ্যে কারো যদি বই পড়ার আলাদা সময় না থাকে তাকে কি দোষারোপ করা ঠিক হবে?তবে বিপ্লব কি আসে না? অবশ্যই আসে। বই এর রাজ্যে ফিরে আসার সে বিপ্লব নিয়ে আসেন কিছু উদীয়মান প্রতিভা যাদের লেখনীতে গল্পের ছলে থাকে নাটকীয়তা। পড়ে মানুষ খুঁজতে থাকে নিজের স্বপ্নকে। সেখানে মেলায় বাস্তবের তুলির আঁচড়। আমাদের আজকের আয়োজন এমন একজন ভারতীয় লেখক,তার উত্থান , তার সৃষ্ট সাহিত্য ও তার থেকে নির্মিত চলচিত্রকে ঘিরে। তিনি চেতান ভগাত। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কেন চেতান ভগাত? আপনারা তো ভারসেটাইল অনেক লেখকের সাথেই পরিচিত। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে চমক সৃষ্টি করে চলেছে এমন লেখক পাবেন আপনি হাতে গোনা কিছু। প্রথম জীবনে ছাত্র অবস্থায় একজন মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, পরবর্তীতে হয়ে যান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার, অতঃপর রাইটার, কলামিস্ট, চিত্রনাট্যকার, মটিভেশনাল স্পিকার, মিডিয়া প্রেজেন্টার কি নন তিনি। তাই তাকে নিয়েই আজকের আয়োজন।
চলুন তবে শুরু করি।
চেতান ভগাতঃ এক চিরচেনা অনুপ্রেরনা
একটি ঘটনা দিয়েই তবে শুরু করা যাক লেখাটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একদল শিক্ষার্থী নীলক্ষেতে গিয়েছে। উদ্দেশ্য বেষ্ট সেলিং কিছু বইয়ের অনুবাদ কিনবে। দোকানীর সাথে কথা প্রসঙ্গে উঠে এল চেতান ভগাত এর নাম। দোকানী শিক্ষার্থীদের বলে উঠলো অনুবাদ কি পড়বেন? তাতে কি অরিজিনাল বই পড়ার মজা পাওয়া যায়। তার চেয়ে চেতান ভগাত এর একটি বই পড়ে দেখুন। একদম সহজবোধ্য ইংরেজীতে লেখা। মজাও পাবেন ইংরেজীতেও সাবলীল হয়ে উঠবেন। একেই বলে ব্র্যান্ডিং।
আচ্ছা মনে আছে “টু স্টেটস”- এর সেই আকর্ষণীয় গল্প তা ছিল চেতান ভগাত এর নিজের জীবনের ছায়া গল্পই বা অটো বায়োগ্রাফি। যার অসম্ভব রোমান্টিসিজম আমাদের মনকে ছুঁয়ে যায়। প্রজন্ম কিন্তু প্রথম এই সাহিত্যিক কে চিনে নি। তবে আলিয়া ভাট ও অর্জুন কাপুর এর অভিনয় ও গল্পের কাহিনী খোঁজ করতে বাধ্য করেছে সবাই কে। কে এই চেতান ভগাত? ২০১৪ সালে মুক্তি প্রাপ্ত জনপ্রিয় চলচিত্র টু স্টেটস (2 States: The Story of my Marriage উপন্যাস অবলম্বনে রচিত) এর কথা আগে বললেও এই গল্প নিয়ে নির্মিত চলচিত্রটি কিন্তু লেখকের টুপিতে সাজানো চতুর্থ পালক। এর আগেও তার ঝুলিতে আছে আরও তিনটি রঙ্গিন পালক মানে তিনটি অসামান্য চলচিত্র যা তার রচিত উপন্যাস হতেই নির্মিত। সেগুলো হচ্ছে ২০০৮ সালে নির্মিত হ্যালো (One Night @ the Call Center অবলম্বনে), ২০০৯ সালে নির্মিত অসাধারন চলচিত্র থ্রী ইডিয়টস (Five Point Some One উপন্যাস অবলম্বনে), ২০১৩ সালে নির্মিত চলচিত্র কাই পো চেঃ- ব্রাদার্স ফর লাইফ ( The 3 Mistakes of My Life উপন্যাস অবলম্বনে ) এছাড়াও চলতি বছর ২০১৭ তে এলো তার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আরেক চলচিত্র হাফ গার্ল ফ্রেন্ড ( Half Girlfriend উপন্যাস অবলম্বনে)। এতক্ষন তো তার উপন্যাস ও চলচিত্র নিয়েই বলে গেলাম। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও তো কিছু বলতে হয়। চলুন জানি তার জীবন সম্পর্কে সংক্ষেপেঃ-
ব্যক্তি জীবনে চেতান ভগাতঃ
চেতান ভগাত ( বর্তমান বয়স ৪৩ বছর)- জন্ম ১৯৭৪ সালের ২২শে এপ্রিল ভারতের নিউ দিল্লীতে। বাবা ছিলেন আর্মি অফিসার, মা ছিলেন কৃষি অধিদপ্তরের সরকারী চাকুরে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন বড় ও কিছুটা খেয়ালী। তার ছোট ভাই কেতান ভগাতও একজন উপন্যাসিক। শুধু সাহিত্যিকই নন, তিনি একাধারে ইংরেজী উপন্যাসিক ও কলামিস্ট, চিত্রনাট্য লেখক, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ও মটিভেশনাল স্পিকার। হিন্দি, ইংরেজী উভয় ভাষাতেই কলাম লিখে থাকেন ভারতের প্রখ্যাত ইংরেজী দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও হিন্দী দৈনিক ভাস্করের জন্য। সমসাময়িক ঘটনা, তরুন প্রজন্ম ও তাদের ক্যারিয়ার ভাবনা নিয়ে তিনি লিখে থাকেন। ব্যক্তি জীবনে তুখোড় মেধাবী তিনি ১৯৯৫ সালে স্নাতক করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ আই আইটি- দিল্লী থেকে এবং এমবিএ করেছেন আই আই এম- আহমেদাবাদ থেকে, যে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই বিশ্ব সেরা একাডেমিক ইন্সটিটিউট বলা হয়ে থাকে। প্রথম কর্ম জীবনের শুরু বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান এন্ড স্যাক্স এ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে। জীবনের ১১ টি বছর চাকরী করেছেন উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের হয়ে হংকং ব্রাঞ্চে। কিন্তু ব্যাংকিং ও লোভনীয় উপার্জন তার মনকে আটকে রাখতে পারে নি। হংকংয়ে বসেই ২০০৪ সালে লিখে ফেলেন তার প্রথম জনপ্রিয় উপন্যাস Five Point Some One। সেই থেকে শুরু। এরপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৫ সালে লিখে ফেলেন আরেকটি জনপ্রিয় উপন্যাস One Night @ the Call Center। এই দুটি উপন্যাসই শীর্ষ বিক্রির মাইল ফলক অতিক্রম করে। ২০০৮ সালে তার উপন্যাস ৭ লাখ কপি বিক্রি হয়। সে সময় অর্থাৎ ২০০৮ সালের মার্চ মাসে নিউইয়র্ক টাইমস চেতান ভগাতকে ভারতের ইংরেজী উপন্যাস বিক্রির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ডের দাবীদার বলে অভিহিত করে। ২০০৮ সালেই চেতান ভগাত মুম্বাই চলে আসেন ও আবার কিছুদিন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং এর সাথে নিজেকে যুক্ত করেন এবং ২০০৯ সাল থেকে চাকরী ছেড়ে দিয়ে পুরোদস্তুর লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বই লেখা ছাড়াও চিত্রনাট্য রচনা ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রতি এই প্রতিভাবান লেখকের দুর্বলতা রয়েছে। ১৯৯৮ সালে লেখক তার ভালোবাসা অনুসা সুরইয়ানারাআনান কে বিয়ে করেন। বর্তমানে তিনি ঈশান ও শ্যাম নামে দুই জমজ সন্তানের জনক।
চেতান ভগাত এর উপন্যাস সমুহ (ক্রমানুসারে)
চেতান ভগাত এর নন-ফিকশন সমুহ (ক্রমানুসারে)
চেতান ভগাত এর জনপ্রিয় চিত্রনাট্য (চলচিত্রে রুপান্তরিত)
লেখকের অন্যান্য অর্জনঃ
১০টি কারণ- যে কারণে চেতান ভগাত অনেকের পছন্দের-অপছন্দের কাহিনীকারঃ
চেতান ভগাত এর লেখা নিয়ে আলোচনা- সমালোচনার কিন্তু অন্ত নেই। তবু পাঠকের দৃষ্টি কোণের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে ও তার সৃষ্ট সাহিত্য নিয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু ধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করছিঃ-
১। তার বেশীরভাগ গল্পই গতানুগতিকঃ
তার সব গল্পই একই রকম। ছোট মফঃস্বল শহর থেকে উঠে আসা সাধাসিধে একটি ছেলে। উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে এসে দেখা পায় কোন অনন্য অঙ্গনার যে বিশেষ কোন গুণে গুণান্বিতা। তারপর তারা কোন এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এই একই ধরনের ঘটনা দেখে ও পড়ে পাঠক একঘেয়েমির শিকার।
২। যেই পাঠকেরা আকর্ষণের ভক্ত তারা তার লেখা তেমন পছন্দ করে নাঃ
প্রথম কোন পাঠক যদি তার বই পড়ে তবে সে ভালোবাসায় পড়তেই পারে। কিন্তু যারা জাত পাঠক এবং বিভিন্ন ধরণের দেশী ও বিদেশী লেখকের বই পড়ে থাকে তাদের কাছে চেতান ভগাতের লেখা একেবারেই সাদামাটা মনে হতেই পারে।
৩। তিনি একজন আই আই টি আনঃ
কিছু অথবা বেশীর ভাগ ইঞ্জিয়ার ব্যাক্তিগত ভাবে চেতান ভগাতকে রীতিমত অপছন্দ করে থাকেন। বিশ্বের কিছু সেরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন যেমনঃ- আই আই টি এবং আই আই এম কিন্তু তারপর তিনি আবার লেখক হলেন যিনি লেখার অ আ ক খ জানেন না, এমন কি ভালো লিখেন ও না। যেখানে অনেক ইঞ্জিনিয়ার ভালো চাকরীর অভাবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছেন না, তারা লাভলী প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার এ পরিণত হন। চেতান কিছুটা তো এই অসহায়দের কথা ভাববেন!
৪। তিনি ১০০ জন নতুন লেখকের জন্য অণুপ্রেরণাঃ
যদিও এটি গুরুত্বপূর্ণ কিছু না, এই লাইন টি পড়ার পর আপনি আবেগে কেঁদেও ফেলতে পারেন! হাসবেন না কিন্তু। আপনি কি চাইছেন আরও ১০০জন চেতান ভগাত গড়ে উঠুক! একজন চেতান ভগাত কি যথেষ্ট নয়? ভারতের অর্ধেক আই আই টি আন চেতান ভগাত কে ফলো করতে গিয়ে লেখক হয়ে উঠলো। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার কি হবে? যদি সবাই আই আই টি থেকে চেতান ভগাত হয়ে বের হয় তবে যে এই প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠানটির নাম হয়ে উঠবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ #TheStupidStudentBecomingWriters
৫। তিনি একজন নার্সিসিস্টঃ-
তিনি নিজেকে মহাজ্ঞানী ও বাকিদের নির্বোধ বা তার উপরের খানিক টা ভাবেন যা তাকে একজন নার্সিসিস্ট বা আত্মঅহংকারী হিসেবে প্রমাণ করে। নিজেকে সাধারণ বানিয়ে তিনি যদি অন্যদের অসাধারন ভাবতে পারতেন তাহলে সত্যিই তিনি একজন অসামান্য মানুষ হতে পারতেন।
৬। তিনি বিজ্ঞাপনে দেখা দেন, মিডিয়ায় ও জ্ঞান ফলানঃ
আচ্ছা দেশে যেখানে হাজার হাজার স্ট্রাগলার অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছে না প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও, তার কি সস্তা প্রচারনায় অংশ না নিলেই নয়? তিনি বিজ্ঞাপনে অভিনয় ও নাচ বালিয়ে তে বিচারক হিসেবে ভুমিকা পালন করে শুধু সমালোচিতই হন না। পরিহাসের ও পাত্র হন। পাঠক ও দর্শকের মতামতের ভিত্তিতে জানা যায় তিনি যেমনইলিখুন না কেন, তার লেখা তার অভিনয়ের তুলনায় অনেক অনেক ভালো।
৭। তিনি বলেন তিনি সাধারনের জন্য সাধারণ হয়ে লিখেনঃ
আচ্ছা সাধারনের জন্য তো সবাই লিখেন। সাধারনের জন্য লিখলেই কি সাধারণ হওয়া যায়? জ্ঞানপাপীরা তো বলেন আমি বোকা তাই সবাই বোকা? ঘটনা তো এমন ও হতে পারে টি একটি গন্ডিতে আবদ্ধ যার বাইরে তিনি বের হতে বা লিখতে পারছেন না।
৮। তিনি নিজেকে বিক্রয় করছেনঃ
সত্যি কথা বলতে আমরা সবাই কমবেশি সেলফ ব্রান্ডিং করেই থাকি। তবে প্রতিটি জিনিসেরই তো একটি সীমা আছে। তিনি সালমান খানের ‘কিক’ ছবির চিত্রনাট্য লিখে তা মৌলিক বলে চালিয়ে দিলেন যেখানে দর্শক একটি সাউথ ছবির সাথে সিনেমাটির হুবুহু মিল ধরে ফেললো! একই অসচেতনতা না রসিকতা? তিনি বোধহয় ভেবেছিলেন কেউ সাউথের সিনেমা দেখে না,আর তিনিও একটি মোটা অঙ্কের অর্থ কোন সমালোচনা ছাড়াই আয় করবেন।
৯। কখনো কখনো চলচিত্রায়ন বইয়ের চেয়েও ভালো হয়ঃ
কোন এক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছিলেন, “বই সবসময়েই চলচিত্রের চেয়ে আকর্ষণীয়।“ অনেক বই ও সিনেমার ক্ষেত্রে এই মতামত একেবারেই সঠিক। যেমনঃ অ্যানে ফ্রাঙ্কের ডায়েরী। কিন্তু এই কথাটি যদি আপনি চেতান ভগাত এর বই সম্পর্কে ভেবে থাকেন তবে পাঠক সম্প্রদায় কিন্তু আপনাকেই ভুল বুঝবে। দর্শকদের দৃষ্টি কোণ হতে চেতান ভগাত এর লেখা বই এর চেয়ে সেই বই হতে নির্মিত চলচিত্র বেশী উপভোগ্য। কিন্তু এই ব্যপারে নানা মতবাদ ও তর্ক রয়েছে।
কন্ট্রোভারসিঃ
জনপ্রিয়তার হাত ধরেই যখন চলা তখন কিছু কন্ট্রোভারসি তো থাকবেই। সম্প্রতি টুইটারে করা একটি টুইটের কারনে চেতান ভগাত প্রচুর সমালোচনার ও ট্রলের শিকার হন। টুইট টিতে তিনি বলেছেন যে তিনি লেখা ছেড়ে দিয়ে ইলেক্ট্রিক কার বানাতে চান। এর জবাবে সাহিত্যবোদ্ধারা মন্তব্য করেন যে সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে বই বেঁচে তার অনেক টাকা হতে পারে তবে তার কোন লেখাই কালজয়ী সাহিত্য হবার ক্ষমতা রাখে না। যার যা অভিরুচি। তরুন প্রজন্ম হয়তো চলচিত্রের মোহেই তার লেখার প্রেমে পড়ে থাকবে। আজ্ঞে দাদা বলছিলাম যে হাইপ বলে একটা ব্যাপার আছে না।
লেখক চাই তিনি যেমনই হোন। তার ব্যক্তি জীবন কিন্তু যথেষ্ট অ্যাডভেঞ্চারাস তার আস্বাদ তো চলচিত্রেই পাওয়া যায়। কিছুটা যে তার বইতেও।
তথ্যসুত্রঃ
১। https://goo.gl/p2uPX2
২। https://goo.gl/az5Zmb
ফিচার ইমেজঃ http://lmt-lss.com