এ প্রসঙ্গে বলেছেন গীতিকার এবং সুরকার সাখাওয়াত হোসেন মারুফ। তাঁর সৃষ্টি বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই প্রতিটি শব্দে এবং প্রতিটি স্তবকেই হৃদয় নিংড়ানো আবেগ। সহজ কথা যায়না বলা সহজে। সহজ করে সহজ কথাটি বলেন তিনি যা গভীর বিশ্লেষনের দাবী রাখে। হ্যাঁ, তাঁর ভাষ্য এমনই-” ‘আমি’ নই, ‘আমরা’ পারি একটি সৃষ্টিকে তার কাঙ্খিত রুপ দিতে।”
অর্থাৎ একটি গান শ্রোতার কাছে আসার আগ পর্যন্ত গীতিকার, সুরকার, মিউজিক ডিরেক্টর এবং শিল্পীর যোগাযোগের মাধ্যমেই একটি গান সুন্দর হয়ে ওঠে। একাধারে গীতিকার এবং সুরকার সাখাওয়াত হোসেন মারুফ, অথচ মাঝে মাঝে অনেক গান তুলে দিচ্ছেন অন্য সুরকারের হাতে। গানের স্বার্থই তাঁর মূল স্বার্থ।
গান কি চাইছে তা শুনতে চেষ্টা করেন তিনি সবসময়। এই বিনয় তাঁর শিল্পস্বত্তাকে আরো উজ্জল করে তোলে। এটা তাঁর এবং সকল শিল্পীর সততার জায়গা, গানের প্রতি, সৃষ্টির প্রতি এটা দায়িত্বশীলতা এবং দায়বদ্ধতা। আমরা চাই এই দায়বদ্ধতার জায়গায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুক সকল শিল্পী।
নিজের অজান্তেই লিখতে শুরু করেছিলেন গীতিকার ও সুরকার সাখাওয়াত হোসেন মারুফ। অর্থাৎ লেখারাই তাঁকে আমন্ত্রণ করেছে। এমন স্বতঃস্ফূর্ত লেখাই হৃদয়ের কথা বলতে সক্ষম। ঠিক তেমনি- কথা, সুর, মিউজিক সবই স্বতঃস্ফূর্তভাবে যখন বেরিয়ে আসে তখনি একটি গান তার প্রকৃত রুপ লাভ করে।
তিনি বলেন- একজন গীতিকার যে কল্পনা থেকে কথাগুলো সাজিয়ে থাকেন, শেষে যদি সকল আয়োজনের মাধ্যমে সেখানে পরিবর্তন আসে তখণ কথাগুলো তার আবেদন হারায়। আর তাই হাতবদলের মাধ্যমে নয়, আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমেই একটি গান সুন্দর হয়ে ওঠে।
গতানুগতিক বাণিজ্যিক চিন্তাধারায় নয়, বরং গানকে তার চাহিদানুযায়ী সকল যোগান নিশ্চিত করলেই তা স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্য সফল হয়ে ওঠে। কারণ দিনশেষে শ্রোতা সাধারণ এমন একটি গান শুনতে চান যা হৃদয়কে বিশ্রাম দেবে, প্রশান্ত করবে। তাইতো যুগে যুগে যতো গানই সৃষ্টি হোক না কেন, হাজারো গানের ভিড়ে এখনো হাতে গোনা কিছু গানই আমাদের হৃদয়ের মলম হয়ে কাজ করে।